যশোরের অভয়নগরে এবার সরিষার বাম্পার ফলনের আশা কৃষকদের

Uncategorized অর্থনীতি খুলনা গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বানিজ্য বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

সুমন হোসেন, (যশোর)  :  যশোরের অভয়নগর উপজেলায় সরিষা আবাদে বাম্পার ফলনের আশা করছে চাষীরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ উপজেলায় ভালো ফলন হয়েছে বলে জানান কৃষি অফিস। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১ হাজার ৩শ” ৬০ হেক্টর জমি সরিষার চাষযোগ্য থাকলেও সরিষার আবাদ করা হয়েছে ১ হাজার ৩শ” ৪০ হেক্টর জমিতে।


বিজ্ঞাপন

এবারের সরিষার আবাদ আশানুরূপ ভালো হয়েছে বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লাভলী খাতুন।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে, উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের কোদলা, বাহিরঘাট, পালপাড়া, পাকেরগাতি, দেয়াপাড়া, মথুরাপুর, ফকির বাগান, মরিচা, চাকই, পাইকপাড়া, সিঙ্গেড়ী, ভাটপাড়া, বাঘুটিয়া, এক্তারপুর, ফকিরহাট এলাকার মাঠগুলোতে সরিষার আবাদ ভালো হয়েছে।

অন্যদিতে ভবদহের সুন্দলী, পায়রা,চলশিয়া ও প্রেমবাগ ইউনিয়ন এলাকায় জলাবদ্ধতা থাকার কারণে সরিষার আবাদ তেমন হয়নি। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন ধরনের তেলবীজের মধ্যে কৃষকরা প্রধানত সরিষা চাষ করেন। এবার ধানের দাম কম পাওয়ায় কৃষকরা বোরোর বদলে সরিষা আবাদে জোর দিয়েছেন। শীত বেশি পড়ায় এবার উপজেলায় সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।

ফলন বাড়ানোর জন্য এবার বিএডিসি উন্নত মানের উচ্চফলনশীল জাতের সরিষা বীজ কৃষক পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়েছে । এসব বীজের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাষ হয়েছে বারি-১৪, ১৫, ১৭, বিনা-৯ ও সম্পদ জাত। এছাড়া কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের সারও বিতরণ করা হয়েছে।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, বেশির ভাগ সরিষা ক্ষেতে ফুল এসেছে, ফলও আসছে। চাষীরা বলছে বিঘা প্রতি ৪-৭ মন সরিষা উৎপাদন হলে মোটা মুটি লাভবান হবো আমরা।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, চাষ সফল করতে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ কর্মসূচি গ্রহণের পাশাপাশি সরিষা সংরক্ষণে ব্যাগ বিতরণ করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের সরিষা বীজ ও সার দেওয়া হয়েছে। সরেজমিন চাষিদের কাছে গিয়েছি এবং বিভিন্ন এলাকার সরিষার ক্ষেত দেখেছি। পরিদর্শন শেষে রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠিয়েছি। আশা করি সরিষার ফলন ভালো হবে।

অন্যদিকে সরিষার ভাল ফুল আসায় সেখানে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মৌয়ালদের আসতে দেখা যায়, তারা সেখানে খাচায় মৌ চাষ করে মধু সংগ্রহে ব্যাস্ত সময় পার করছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন সব কিছু সুন্দর থাকলে এক একটি মৌমাছির খাচা থেকে বছরে প্রায় ৫০ কেজি মধু আহরণ করা সম্ভাব হবে এবং তাদের মধু সংগ্রহে সকল প্রকার সহযোগীতা আমরা প্রদান করবো।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *