!! ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি দুদক গণপূর্তের বৃক্ষপালন শাখার ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে তদন্তকাজ শুরু করে। দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর এই চিঠি ইস্যু করা হয়। ওই সময় দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা গণপূর্তের বৃক্ষপালন শাখার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা দুদকের কাছে প্রধান বৃক্ষপালনবিদের দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য দেন। পরে দুদক একজন কর্মকর্তা ও দুজন কর্মচারীকে চিঠি দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এরপর দুদক গণপূর্তের ওই শাখার বেশ কিছু ফাইল তলব করে। কিন্তু তিনি দুদককে সেই সব ফাইল জমা দেননি। পরে দুদক গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে চিঠির মাধ্যমে ওই সব অভিযোগের তদন্ত করে দেখার সুপারিশ করে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার ভিত্তিতে গণপূর্ত অধিদপ্তর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির কাছেও ওই সব ফাইলের তথ্য দেয়নি। এর প্রমাণ পাওয়া যায় ২০১৬ সালের ১৯ জুন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের শাখা-১ থেকে ইস্যু করা এক চিঠিতে। তৎকালীন উপসচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব কথা বলা হয়েছে। প্রধান বৃক্ষপালনবিদ শেখ মো. কুদরত-ই খুদাকে ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি ওই সব কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। দুদকের চাহিদার বিষয়ের মধ্যে ছিল ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ভুয়া পোশাক ভাতা বিলের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন, কাজ না করে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা খাতের ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৯৯ টাকা আত্মসাৎ, সীমানাপ্রাচীর ও বহিঃবিভাগে হেজবেড এবং ফুলের বেড প্রস্তুত, চারা রোপণসহ বিভিন্ন খাতের ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭২ টাকার কাজ না করে বিল উত্তোলন, ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঘাস কর্তন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নার্সারির উন্নয়ন কার্যক্রম এবং শিখা চিরন্তন এলাকায় ফুলের বেড প্রস্তুত ও চারা রোপণের হিসাব, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ১ নম্বর ভবন, ২ নম্বর ভবন, ৩ নম্বর ভবন, ৪ নম্বর ভবন, ৮ নম্বর ভবন, ৯ নম্বর ভবনসংলগ্ন মাঠে গ্রীষ্ম ও শীতকালীন মৌসুমি ফুলের বেড প্রস্তুত ও চারা রোপণের তথ্য-উপাত্ত, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের আরবরিকালচার (বৃক্ষপালন শাখার) কর্মীদের পোশাকের নথি এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর দিকের সীমানা প্রাচীরের বহিঃবিভাগ হেজবেড প্রস্তুত ও চারা রোপণ এবং শাখাতে চারা কলম উৎপাদনের হিসাব, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রাঙ্গণে গ্রীষ্ম ও শীতকালীন মৌসুমের ফুলের বেড প্রস্তুত ও চারা রোপণ এবং পূর্ত ভবন প্রাঙ্গণের ফুলের বেড প্রস্তুত ও চারা রোপণ ও শোভাবর্ধন গাছ সরবরাহকরণ এবং ইস্কাটন গার্ডেনে উচ্চপদস্থ সরকারি বাড়ির আঙিনায় শীতকালীন মৌসুমি ফুলের বেড প্রস্তুত ও চারা রোপণের খরচের হিসাব।দুদকের কাছে প্রধান বৃক্ষপালনবিদের বিষয়ে দুর্নীতির তথ্য দেওয়ায় নানা হয়রানির শিকার হয়েছেন গণপূর্ত উপবিভাগ-১-এর আরবরিকালচারের মেকানিক মো. সোলেমান। ২০১৬ সালের ৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ। কিছুদিন পর তাকে ঢাকা থেকে চাঁদপুরে বদলি করা হয়। তার পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় বসবাস করায় ২০১৯ সালের আগস্টে বদলি হয়ে ঢাকায় আসেন। আগের আক্রোশে ২০২২ সালের মার্চে পুনরায় তাকে সাতক্ষীরায় বদলির আদেশ করেন। এ ঘটনার প্রতিকার পেতে শ্রম আদালতে মামলা করেন মেকানিক সোলেমান। এরপর আদালত থেকে নোটিস ইস্যু হলে প্রধান প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপে তার বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়েছে !!
নিজস্ব প্রতিবেদক : বৃক্ষ পালনের বদলে দুর্নীতি লালন, ভুয়া বিলে কর্মীদের পোশাকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বাগান পরিষ্কারের টাকা তুলে পকেট ভরেছেন। খাতায় কর্মচারী দেখিয়ে ৩০ জনের টাকা তুলে নিয়েছেন। আর ঠিকাদারের সঙ্গে আঁতাত করে চারা রোপণ, সীমানাপ্রাচীর তৈরি, হেজবেড ও ফুলের বেড প্রস্তুতের বরাদ্দ হাওয়া করে দিয়েছেন। এসব ঘটনার নায়ক গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান বৃক্ষপালনবিদ শেখ মো. কুদরত-ই খুদা।
গণপূর্তের এই কর্মকর্তার দুর্নীতির বিষয়ে ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ওই সময় তার দুর্নীতির বিষয়ে মুখ খোলেন এক কর্মকর্তা ও কয়েক জন কর্মচারী। তারা হলেন উপবিভাগীয় বৃক্ষপালনবিদ মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, মেকানিক মো. সোলেমান, পাওয়ার লেন মেশিন অপারেটর মো. মিজানুর রহমান, মালি মো. নয়ন মোল্লাহ, সামছু বিশ্বাস, জালাল আহমেদ ও শহিদ মিয়া এবং ফরাশম্যান মো. ইব্রাহিম। এ ঘটনার পর প্রধান বৃক্ষপালনবিদ প্রশাসনকে ম্যানেজ করে দুর্নীতির প্রতিবাদকারীদের একজনকে চাকরিচ্যুত করেন। আর বাকিদের শাস্তিমূলক বদলি করেন। ৭ বছর ধরে চেপে রেখেছেন দুর্নীতির তদন্ত; আর এটা করতে বিপুল অর্থও খরচ করতে হয়েছে তাকে। বার্ষিক বরাদ্দের রক্ষণাবেক্ষণের টাকা নয়ছয় করে সেসব করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনায় প্রতিবাদকারীরা শাস্তি পেলেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন তিনি।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ শামীম আখতার গণমাধ্যম কে বলেন, ‘প্রধান বৃক্ষপালনবিদের দুর্নীতির বিষয়ে বেশ কিছু অভিযোগ ছিল। সেসবের সবশেষ কী অবস্থা, সেটা আমি যাচাই-বাছাই করে দেখব। দুর্নীতির ঘটনার পরও যদি তদন্তকাজে কোনো বিচ্যুতি থেকে থাকে, তাহলে তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি দুদক গণপূর্তের বৃক্ষপালন শাখার ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরের ব্যয়ের সুনির্দিষ্ট কিছু বিষয়ে তদন্তকাজ শুরু করে। দুদকের বিশেষ অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর এই চিঠি ইস্যু করা হয়। ওই সময় দুদকের তদন্ত কর্মকর্তা গণপূর্তের বৃক্ষপালন শাখার বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন। তারা দুদকের কাছে প্রধান বৃক্ষপালনবিদের দুর্নীতির বিষয়ে তথ্য দেন। পরে দুদক একজন কর্মকর্তা ও দুজন কর্মচারীকে চিঠি দিয়ে সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন। এরপর দুদক গণপূর্তের ওই শাখার বেশ কিছু ফাইল তলব করে। কিন্তু তিনি দুদককে সেই সব ফাইল জমা দেননি। পরে দুদক গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে চিঠির মাধ্যমে ওই সব অভিযোগের তদন্ত করে দেখার সুপারিশ করে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার ভিত্তিতে গণপূর্ত অধিদপ্তর একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। ওই কমিটির কাছেও ওই সব ফাইলের তথ্য দেয়নি। এর প্রমাণ পাওয়া যায় ২০১৬ সালের ১৯ জুন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের শাখা-১ থেকে ইস্যু করা এক চিঠিতে। তৎকালীন উপসচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে এসব কথা বলা হয়েছে।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের সার্কেল-১-এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী জামিলুর রহমান গণমাধ্যম কে বলেন, ‘বেশ আগের ঘটনা। তা ছাড়া তার ব্যাপারে কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত হয়েছে। কোনোটার তথ্য-উপাত্ত দিয়েছে, আর কোনোটির দেননি। সেটা মনে করতে পারছি না।’
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, প্রধান বৃক্ষপালনবিদ শেখ মো. কুদরত-ই খুদাকে ২০১৬ সালের ২৮ জানুয়ারি ওই সব কাগজপত্র জমা দিতে বলা হয়েছিল। দুদকের চাহিদার বিষয়ের মধ্যে ছিল ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরে ভুয়া পোশাক ভাতা বিলের মাধ্যমে ৫ লাখ টাকা উত্তোলন, কাজ না করে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা খাতের ৩ লাখ ৯৯ হাজার ৩৯৯ টাকা আত্মসাৎ, সীমানাপ্রাচীর ও বহিঃবিভাগে হেজবেড এবং ফুলের বেড প্রস্তুত, চারা রোপণসহ বিভিন্ন খাতের ১৩ লাখ ৭৭ হাজার ৭২ টাকার কাজ না করে বিল উত্তোলন, ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থবছরের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ঘাস কর্তন ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং নার্সারির উন্নয়ন কার্যক্রম এবং শিখা চিরন্তন এলাকায় ফুলের বেড প্রস্তুত ও চারা রোপণের হিসাব, বাংলাদেশ সচিবালয়ের ১ নম্বর ভবন, ২ নম্বর ভবন, ৩ নম্বর ভবন, ৪ নম্বর ভবন, ৮ নম্বর ভবন, ৯ নম্বর ভবনসংলগ্ন মাঠে গ্রীষ্ম ও শীতকালীন মৌসুমি ফুলের বেড প্রস্তুত ও চারা রোপণের তথ্য-উপাত্ত, ২০১৩-১৪ অর্থবছরের আরবরিকালচার (বৃক্ষপালন শাখার) কর্মীদের পোশাকের নথি এবং বাংলাদেশ সচিবালয়ের দক্ষিণ-পশ্চিম ও উত্তর দিকের সীমানা প্রাচীরের বহিঃবিভাগ হেজবেড প্রস্তুত ও চারা রোপণ এবং শাখাতে চারা কলম উৎপাদনের হিসাব, ২০১৪-১৫ অর্থবছরের বাজেটের ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন প্রাঙ্গণে গ্রীষ্ম ও শীতকালীন মৌসুমের ফুলের বেড প্রস্তুত ও চারা রোপণ এবং পূর্ত ভবন প্রাঙ্গণের ফুলের বেড প্রস্তুত ও চারা রোপণ ও শোভাবর্ধন গাছ সরবরাহকরণ এবং ইস্কাটন গার্ডেনে উচ্চপদস্থ সরকারি বাড়ির আঙিনায় শীতকালীন মৌসুমি ফুলের বেড প্রস্তুত ও চারা রোপণের খরচের হিসাব।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, দুদকের কাছে প্রধান বৃক্ষপালনবিদের বিষয়ে দুর্নীতির তথ্য দেওয়ায় নানা হয়রানির শিকার হয়েছেন গণপূর্ত উপবিভাগ-১-এর আরবরিকালচারের মেকানিক মো. সোলেমান। ২০১৬ সালের ৩ মে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হন প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ। কিছুদিন পর তাকে ঢাকা থেকে চাঁদপুরে বদলি করা হয়। তার পরিবারের সদস্যরা ঢাকায় বসবাস করায় ২০১৯ সালের আগস্টে বদলি হয়ে ঢাকায় আসেন। আগের আক্রোশে ২০২২ সালের মার্চে পুনরায় তাকে সাতক্ষীরায় বদলির আদেশ করেন। এ ঘটনার প্রতিকার পেতে শ্রম আদালতে মামলা করেন মেকানিক সোলেমান। এরপর আদালত থেকে নোটিস ইস্যু হলে প্রধান প্রকৌশলীর হস্তক্ষেপে তার বদলির আদেশ স্থগিত করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মেকানিক মো. সোলেমান গণমাধ্যম কে বলেন, ‘ প্রধান বৃক্ষপালনবিদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অনেক দুর্নীতি করেছেন। কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দকৃত পোশাক, জুতা, ছাতাসহ অন্যান্য বরাদ্দ মেরে দিয়েছেন। দপ্তরের জনবল দিয়ে কাজ করিয়ে সেসব কাজ বাবদ ঠিকাদারকে দিয়ে বিল করিয়ে টাকা তুলে নিয়েছেন। তার দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ হয়ে অধীন কর্মচারী হয়েও তার বিরুদ্ধে মুখ খুলেছি। তিনি বলেন, দুদকে সাক্ষ্য দেওয়ার পর কেটে গেছে প্রায় ৭ বছর। কিন্তু যিনি দুর্নীতি করলেন তার কিছুই হলো না; যারা প্রতিবাদ করলাম, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে সাক্ষ্য দিলাম, আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি। আর দুর্নীতিবাজ স্বপদে রয়েছেন বহাল তবিয়তে। ’
তথ্যানুসন্ধানে আরও জানা যায়, গণপূর্তের বৃক্ষপালন বিভাগে মালি হিসেবে কর্মরত ছিলেন মো. নয়ন মোল্লা। ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনের কর্মী হিসেবে অবসরে গেছেন। প্রধান বৃক্ষপালনবিদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিষয়ে দুদকে সাক্ষ্য দিয়েছেন। মো. নয়ন মোল্লা গণমাধ্যম কে বলেন, ‘আমরা কয়েকজন দুদকের কাছে ঘটনার বিবরণ তুলে ধরেছিলাম। এরপর দুদক ডেকেছিল, সেখানেও সত্য ঘটনা বলে এসেছি। কিন্তু প্রধান বৃক্ষপালনবিদকে দুদক চিঠি দেয় ফাইল দিতে; কিন্তু তিনি তা দেননি। পরে দুদক মন্ত্রণালয়কে তদন্ত করার সুপারিশ করে। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গণপূর্ত অধিদপ্তর তদন্ত কমিটি গঠন করে। সেখানেও ফাইলপত্র জমা দেয়নি। এরপরও তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’
২০১৬ সালে গণপূর্তের বৃক্ষপালন শাখার রমনা এলাকার পাওয়ার লন মেশিন অপারেটরের দায়িত্বে ছিলেন মিজানুর রহমান। প্রধান বৃক্ষপালনবিদের দুর্নীতির তথ্য দুদকের প্রতিনিধির কাছে বলে দেওয়ায় তাকে গোপালগঞ্জে বদলি করেন। চলতি বছরের জুন মাসে ঢাকায় বদলি হয়েছেন। ঢাকায় পরিবার-পরিজন রেখে সাত বছর গোপালগঞ্জে কেটেছে তার। দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় শাস্তি পাওয়া এই কর্মচারী গণমাধ্যম কে বলেন, ‘আমি সে সময় গণপূর্ত বৃক্ষপালন শাখা শ্রমিক লীগের সভাপতি ছিলাম। আমি নিজ থেকে দুদকে কোনো কিছু জানাইনি। দুদকের প্রতিনিধি এলে আমরা তার কাছে সত্য তুলে ধরেছি।’
গণপূর্তের বৃক্ষপালন শাখার উপবিভাগীয় বৃক্ষপালনবিদ মো. মোয়াজ্জেম হোসেন। বর্তমান চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০১৬ সালে দুদক অনুসন্ধানে নেমে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিল। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান বৃক্ষপালনবিদ তার অসাধু সিন্ডিকেট ব্যবহার করে এই কর্মকর্তাকে রাজশাহীতে বদলি করেন।
জানতে চাইলে মো. মোয়াজ্জেম হোসেন গণমাধ্যম কে বলেন, ‘বছরে এই বিভাগে ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা বরাদ্দ থাকে। এই বরাদ্দের বড় একটি অংশ তিনি ভুয়া বিল-ভাউচার করে লুটপাট করছেন। কুদরত সাহেব টাকা-পয়সা খরচ করে দুর্নীতির তদন্ত ধামাচাপা দিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন। আর আমাকেসহ দুর্নীতির প্রতিবাদকারীদের নানাভাবে হয়রানি করছেন।’
অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে প্রধান বৃক্ষপালনবিদ শেখ মো. কুদরত-ই খুদার কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার অফিসের কর্মীরা জানান, তিনি দিনে একবার অফিসে আসেন। ১০ থেকে ৩০ মিনিট অফিসে থাকেন; এরপর চলে যান। কোনো দিন কখন আসবেন তা কেউ বলতে পারে না। এরপর তার ব্যক্তিগত নম্বর সংগ্রহ করে কয়েক দিন ফোনে চেষ্টা করে তাকে পাওয়া যায়নি বিধায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।