শরীয়তপুর প্রতিনিধি : শরীয়তপুরে ১৪৯ প্রবাসীকে স্বেচ্ছা কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে ১৪ দিন বাড়িতে একা একা বসবাস করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কিনা তা জানার জন্য শরীয়তপুর স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে এ ব্যবস্থা নেয়া হয়। এ ছাড়া প্রত্যেকটি হাসপাতাল ও প্রাইভেট ক্লিনিকে আইসোলেশন রুম প্রস্তুতসহ র্যাপিড রেসপন্স টিম গঠন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শরীয়তপুরের সিভিল সার্জন ডা. এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ।
এসব প্রবাসীর মধ্যে মরিচা, কাতার, কুয়েত, জর্দান, ওমান, মালদ্বীপ, দ. আফ্রিকা, বাহরাইন, ফ্রান্স, ইতালি, সৌদি আরব, ব্রনাই, মালয়েশিয়া, দুবাই, গ্রিস, ও সিঙ্গাপুরফেরত যাত্রী রয়েছে।
বৃহস্পতিবার শরীয়তপুর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুর রশিদ জানান, করোনাভাইরাস রোগী শনাক্তকরণের লক্ষ্যে বিদেশ থেকে আগত প্রবাসী নাগরিকদের ১৪৯ জনকে (হোম কোয়ারেন্টাইন) নিজ বাড়িতে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। এর মধ্যে শরীয়তপুর সদর উপজেলার ২৪ জন, নড়িয়ার ৪৮, জাজিরার ১৯, ভেদরগঞ্জ উপজেলার ১৭, ডামুড্যার ৩৪, গোসাইরহাটের ৭ জন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে তাদের নিজ নিজ বাড়িতে (হোম কোয়ারেন্টাইন) নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে ইতিমধ্যে জেলার ৬ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন কক্ষে পাঁচটি আসন, শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে পাঁচটি আসনসহ প্রত্যেকটি বেসরকারি হাসপাতালে একটি করে কক্ষ প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
প্রাইভেট হাসপাতালে একটি আইসোলেশন রুম প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা রয়েছে। করোনা রোগীদের সেবা দিতে প্রত্যেক হাসপাতালে একটি করে র্যা পিড রেসপন্স দল প্রস্তুত রাখা আছে। এ পর্যন্ত কোনো করোনা রোগী শনাক্ত হয়নি।
এ ভাইরাস থেকে সতর্ক থাকার জন্য পপলিন কাপড়ের তিন লেয়ার তৈরি মাস্ক ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে জনসচেতনার জন্য ইতিমধ্যে লিফলেট বিতরণ করেছে।
এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন ডা. এসএম আবদুল্লাহ আল মুরাদ বলেন, আমরা বিদেশফেরত ১৪৯ প্রবাসীর প্রত্যেককে ১৪ দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছি। প্রত্যেকটি সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে আইসোলেশন রুম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
র্যাপিড রেসপন্স দল গঠন করা হয়েছে। প্রত্যেক ওয়ার্ডে স্বাস্থ্যকর্মীকে সর্বদা খোঁজখবর রাখার নির্দেশনা দেয়া আছে। এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়নি।