তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে মামলার শিকার সাংবাদিক খালেদ হাসান

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :  কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে মাদক বিরোধী অভিযানের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন দৈনিক ঘোষণা পএিকার ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক খালেদ হাসান।


বিজ্ঞাপন

গত রোববার ৫ ডিসেম্বর উপজেলার বাবুরহাট এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ। সংবাদ পেয়ে সাংবাদিক খালেদ সেখানকার তথ্য সংগ্রহ করেতে যান।


বিজ্ঞাপন

পুলিশ অভিযান শেষ করে মাদক কারবারি হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে পুলিশ ভ্যানে তোলার সময় এলাকাবাসী অবরুদ্ধ করে মাদক ব্যবসায়ী হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে ছিনিয়ে নেয়।

পরবর্তীতে পুলিশ আসামি হাফিজুর ও তার স্ত্রীকে কে না পেয়ে থানায় ফেরত আসে। এবং মাদক ব্যবসায়ী হাফিজুরের বিরুদ্ধে একটি এজাহার দায়ের করে।

এজাহারে এলাকাবাসী কে ইন্দন দেয়ার অভিযোগ করে সাংবাদিক খালেদ হাসান কে ৬ নং আসামী করে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।

সাংবাদিক খালেদ হাসান জানান, মাদক বিরোধী অভিযানের ঘটনা শুনে আমি ঘটনাস্থলে চাই এবং সেখানকার তথ্য সংগ্রহ করতে ভিডিও ধারন করতে থাকি। একপর্যায়ে স্থানীয় মাদক সিন্ডিকেট কয়েকজন সদস্য আমাকে ভিডিও করতে নিষেধ করেন এবং মোবাইল ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেন। পরে আমি কৌশলে সেখান থেকে চলে আসি। পরবর্তিতে জানতে পারি পুলিশ আমাকে আসামি করে মামলা করেছে। যেখানে ঝুকি নিয়ে আমরা তথ্য সংগ্রহ করে নিয়ে আসি, সেখানে উল্টো আমাদের নামেই মামলা দেয়া হয়। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়। আমি এই ভিত্তিহীন মিথ্যা মামলার তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানাই এবং সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানাই।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি এ এস খোকন বলেন, মাদক বিরোধী অভিযানের ঘটনাটি শুনেছি। আমাদের সাধারণ সম্পাদক খালেদ হাসান সেখানে তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। কিন্তুু তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে নিজেই মামলার আসামি হয়েছেন। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং দ্রুত মিথ্যা হয়রানিমূলক মামলা থেকে খালেদ হাসানের নাম প্রত্যাহারের আহ্বান জানাই।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *