মুহাম্মদ রাওফুল বরাত বাঁধন ঢালী, (লালমনিরহাট) : লালমনিরহাট বিএনপি নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করা হয় বলে দাবি করেন সেচ্ছাসেবক দল লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক, সাত্তার মিয়া, সেই দাবির ভিক্তিতে দুই ওসিকে প্রত্যাহার করা হয় তারা হলেন—লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের, ও ডিবি পুলিশের ওসি ফিরোজ হোসেন।
আজ বুধবার দুপুরে তাদের কর্মস্থল থেকে প্রত্যাহার করে লালমনিরহাট পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টার ও গ্লোবাল নিউজকে কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে কথা বললে তাঁরা জানান, গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সদরের মোস্তফি এলাকায় একটি কোল্ড স্টোরেজে দাওয়াত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার ও দুই ওসি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা আখের ইসলাম।
সে সময় তিন বিএনপি কর্মী অনুষ্ঠানের ছবি তোলেন ছবি তোলার কারণ জিজ্ঞেস করলে তারা বাজে ব্যাবহার করেন, তাই পুলিশ তাদের আটক করে। এ খবর বাইরে গেলে তারা শতাধিক বিএনপি নেতাকর্মী সেখানে যান এবং আজেবাজে কথা বলেন, দারা জানান,
পরে বিএনপি নেতাকর্মীরা পুলিশ কর্মকর্তাদের শাস্তির দাবিতে রংপুর-কুড়িগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করলে রাত ১১টার দিকে পুলিশ সড়ক অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ শুরু করেন বলে জানা যায় । এতে অতিউৎসাহী বিএনপির কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।
আহতরা লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রাজু আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, দুই ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা বিনা কারণে বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করে। এতে আমাদের প্রায় ২০ নেতাকর্মী আহত হন।’
‘আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে বসা পুলিশ কর্মকর্তাদের বিচার দাবি করেছিলাম আমরা। এ কারণে পুলিশ আমাদের ওপর চড়াও হয়,।
বর্তমান প্রত্যাহার হওয়া ওসি আব্দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘যারা আমাদের খাওয়া-দাওয়ার ছবি তুলছিলেন তারা মাদক কারবারি ও মাদক সেবন কারি । তাদের আমরা আটক করেছিলাম। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা সড়ক অবরোধকারীদের ওপর লাঠিচার্জ করেছি, বিএনপির কোনো নেতাকর্মীদের ওপর লাঠিচার্জ করিনি।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা আখের ইসলামকে আমরা চিনতাম না। কোল্ড স্টোরেজের মালিকের দাওয়াতে আমরা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলাম শুধু তাকে চিনার জন্য এর থেকে বেশি কিছু নয়,কিন্তু তারা সে খানে কি করছে তা আমাদের অজানা ।’
পুলিশ সুপার মো. তরিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ‘দুই ওসিকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি সুষ্ঠুতদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
সাধারণ জনগণের মতে বি এন পি নেতা কর্মীদের জ্বালায় অতিষ্ঠ লালমনিরহাট সদরবাসি, আইনের গতিধারা ঠিক রাখা হোক এবং পুলিশের বিরুদ্ধে বি এন পি নেতাদের দাবি কতোটুকু যুক্তিক তা বিবেচনা করা হোক।