নিজস্ব প্রতিবেদক : এলজিইডি’র অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ও বর্তমানে এলজিইডি কল্যাণ সমবায় সমিতি লি: (এল.কে.এস.এস.) এর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার মো: নুরুল ইসলাম অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় পাঁচ’শ কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন। ঢাকায় তিনি ১০টি বিলাসবহুল ফ্লাট কিনেছেন। ঢাকায় রয়েছে বহুতল বাড়ি। রয়েছে একাধিক প্রাইভেট কার। গ্রামের বাড়িতে মার্কেট,বাংলো,কৃষি খামার,ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ প্রচুর স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ রয়েছে।
বিভিন্ন ব্যাংকে তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের নামে রয়েছে প্রায় ৫ কোটি টাকার এফডিআর। যা তার জ্ঞাত আয়ের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তার নিজ ও পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক একাউন্ট তলব এবং সরজমিন তদন্ত করলে অভিযোগের প্রমান পাওয়া যাবে বলে সম্প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশনে দায়েরকৃত এক অভিযোগে দাবি করা হয়েছে।
সূত্রমতে, এলজিইডি’র উপজেলা প্রকৌশলী থাকা কালে তার বিরুদ্ধে ঘুষ গ্রহন সহ বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। নানা অনিয়ম দুর্নীতির কারনে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছিল। অবসরের পর এলজিইডি’র সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতারের আশির্বাদে এলজিইডি কল্যাণ সমবায় সমিতি লি: (এল.কে.এস.এস.) এর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজারের দায়িত্ব নেয়ার পর এখানেও শুরু করেছেন লুটপাট।
প্রধান প্রকৌশলী আলী আখতারের ঘনিষ্ঠ পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রকল্পের পিডি’দের ওপর প্রভাব বিস্তার করে নানা অনৈতিক সুবিধা আদায় করেছেন। তিনি দিনের বেলা অফিস টাইমে এলকেএসএস-এ অফিস করতেন না। এখনো করেন না। সারা দিন প্রকল্প পরিচালকদের কক্ষে ঘুরাঘুরি করেন। পরোক্ষভাবে নিজে এলজিইডি’র ঠিকাদারী করেন। প্রকল্পের বিভিন্ন ঠিকাদারী কাজ তদবির করে পছন্দের ঠিকাদারদের পাইয়ে দিয়ে কমিশন বাণিজ্য করছেন। টাকার বিনিময়ে আউটসোর্সিং জনবল নিয়োগ দিচ্ছেন।
আলী আখতারের আশির্বাদে বদলি,পদোন্নতি ও ঠিকাদারী কমিশন বাণিজ্য করে বিগত প্রায় এক বছরে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। আলী আখতারের অবসরের পরও তার দৌরাত্ম অব্যাহত রয়েছে। বর্তমান প্রধান প্রকৌশলীকে ম্যানেজ করে; চতুর নুরুল ইসলাম নিজের দাপ্তরিক কাজ না করে পুরান কায়দায় প্রকল্প পরিচালকদের কার্যালয়ে বসে তদবির বাণিজ্য করে যাচ্ছেন।
এলজিইডি’র অবসরপ্রাপ্ত প্রকৌশলী ও বর্তমানে এলজিইডি কল্যাণ সমবায় সমিতি লি: (এল.কে.এস.এস.) এর হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজার মো: নুরুল ইসলাম এর জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অনিয়ম দুর্নীতি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্যে দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রতি আহবান জানিয়েছেন এলজিইডি’র সাধারণ কর্মকর্তা-কর্মচারিগণ।
এবিষয়ে মো: নুরুল ইসলাম এর বক্তব্য নেয়ার জন্যে তার মোবাইল ফোনে চেষ্টা করেও সংযোগ স্থাপন করা সম্ভব হয়নি বিধায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।