নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট) : সিলেটের সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলায় এজাহার নামীয় আসামি না হওয়া সত্বেও আব্দুর রউফ নামে এক শ্রমজীবী সাধারন ব্যবসায়িকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।
রবিবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রউফ উপজেলার উওর শ্রীপুর ইউনিয়নের কলাগাঁও গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে। পেশায় চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনে বিভিন্ন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এলসিকৃত কয়লা-চুনাপাথর পরিবহন কাজে সম্পৃক্ত শ্রমজীবী ও একজন সাধারন কয়লা সরবরাহকারি ব্যবসায়ি।
এরপুর্বে শনিবার বিকেলে তাকে কলাগাঁও বাজার থেকে থানার টেকেরঘাট অ¯ায়ী পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবুল কালাম চৌধুরী, এএসআই কার্তিক থানার ওসি দেলোয়ার হোসেন দেখা করতে বলেছেন বলে রউফকে মোটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যায়।
রাতভর থানা হাজতে রেখে রবিবার সকালে গেল ২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর নিষিদ্ধ ঘোষিত তাহিরপুর উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আশ্রাউজ্জামান ইমন সহ ও আওয়ামী লীগ অঙ্গ সংগঠনের ২৪ নেতাকর্মীর নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০ থেকে ৮০ জনকে আসামি করে তাহিরপুর থানার এসআই মো. আমির উ্দ্দিন বাদী হয়ে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইন সেকশন:১৫(৩)/২৫ডি ধারায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার তদন্তকারি অফিসার থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোহাম্মদ পারভেজ ভুঁইয়া।
আজ রবিবার তাহিরপুর থানার মামলার বাদী এসআই মো. আমির উ্দ্দিন জানান, আসলে আব্দুর রউফ ওই মামলায় কোন এজাহার নামীয় আসামি ছিলেন না, মামলার তদন্তকারি অফিসার বলতে পারবেন কি কারনে তাকে আসামি হিসাবে ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারি অফিসার তাহিরপুর থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই মোহাম্মদ পারভেজ ভুঁইয়ার নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন,২০২৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের অন্যদের নামে দায়েরকৃত মামলার তদন্তে ঘটনার সাথে আব্দুর রউফের সম্পৃক্ততা পাওয়া গেছে।
রবিবার উপজেলার কলাগাঁও গ্রামের মৃত চাঁন মিয়ার স্ত্রী গ্রেফতার রউফের বিধবা মা মোসা. বানেছা বেগম অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে কোন রাজনৈতিক দলের পদবীধারী নেতা-কর্মী বা সমর্থকই না। সে দরিদ্র পরিবারের সন্তান হিসাবে চারাগাঁও শুল্ক ষ্টেশনে কয়লা চুনাপাথর পরিবহন কাজে থাকা শ্রমজীবী ও একজন সাধারন কয়লা ব্যবসায়ি।
তিনি আরো বলেন, থানা পুলিশ মহল বিশেষের আক্রোশে ও ইন্দনে হয়রানি করতে আমার ছেলের নামে অতীতে কোন ধরণের মামলা না থাকার পরও ওসির রোশানলে পড়ায় তাকে অজ্ঞাতনামা আসামির সুযোগ নিয়ে গ্রেফতার দেখিয়ে কৌশলআদালতের মধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
রবিবার তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের নিকট গ্রেফতার রউফের মায়ের অভিযোগ প্রসঙ্গে বক্তব্য জানতে সরকারি মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি। বিধায় তার কোন প্রকার বক্তব্য প্রকাশিত হলো না।