ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর এবং সিনিয়র স্টেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত মুহম্মদ জহিরুল ইসলাম।
বিশেষ প্রতিবেদক : ঢাকাতেই যেন তিনি খুঁজে পেয়েছেন অদৃশ্য অমৃত মধুর স্বাদ। যে কারণে ছলে বলে কৌশলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে দীর্ঘ দুই যুগ ধরে ঢাকাতেই কর্মরত আছেন ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর এবং সিনিয়র স্টেশন অফিসার হিসেবে কর্মরত মুহম্মদ জহিরুল ইসলাম। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট মহলে সহকর্মীদের মধ্যে সৃষ্টি হয়েছে ব্যাপক আলোচনা কৌতূহলের।
গাজীপুরের সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা ও সিটি কর্পোরেশন মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত এই সিনিয়র কর্মকর্তা ঢাকাতে কি এমন মধু খুঁজে পেয়েছেন? এই প্রশ্ন তার সহকর্মীদের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে।
দীর্ঘ ২ যুগ ধরে ঢাকাতে কর্মরত থেকে গাজীপুরে প্লট ও বাড়ি নির্মাণ করেছেন ইন্সপেক্টর জহিরুল। ২০০৬ সাল থেকে ঢাকায় কর্মরত থেকে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ ও তার ঘনিষ্ঠ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীরের ক্ষমতার প্রভাব ঘটিয়ে বদলি ও নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে নিবিড়ভাবে জড়িত ছিলেন এবং প্রচুর অর্থ কমিয়েছেন তিনি। বিগত দিনে স্টেশন অফিসার হিসেবে গাজীপুরে থাকা জহিরুল পরবর্তীতে সিনিয়র স্টেশন অফিসার হিসেবে লালবাগ এবং বর্তমানে সদরঘাট ফায়ার স্টেশনে কর্মরত আছেন।
আশ্চর্যের ব্যাপার হল ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর এবং সিনিয়র স্টেশন অফিসার জহিরুল চাকরি জীবনে কখনোই ঢাকার বাইরে বদলি না হওয়ায় তাকে নিয়ে সহকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক কৌতূহলি প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
বিগত স্বৈরাচার সরকারের ক্ষমতাসীন নেতাদের সাথে সুসম্পর্ক থাকার সুবাদে স্টেশন অফিসার জহিরুল ইসলাম নিজেকে অনেক বড় মাপের অফিসার মনে করেন যে কারণে নিজ সহকর্মীদের সঙ্গে অহংকার এবং দাম্ভিকতা দেখিয়েছেন। ফায়ার ফাইটার ও জুনিয়র অফিসারদের সাথে তিনি তাচ্ছিল্য সহ অপমান করা তার নিত্য ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ফায়ার সার্ভিস এর বর্তমান মহাপরিচালক কয়েক মাস ক্ষমতা গ্রহণ করলেও দৃশ্যমান কোন সংস্কার বা পরিবর্তন করার বিষয়ে বেশ অনীহা মনোভাব দেখিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একাধিক সংবাদ প্রচার হলেও তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। জহিরুলের মত অসংখ্য স্বৈরাচারীর দোসর কর্মকর্তা যারা দীর্ঘ বছর ধরে বহাল তবিয়াতে থেকেও সংস্কারের আওতায় আসেনি।