সুমন হোসেন, (যশোর) : যশোর অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার ছেলে শেখ তাসনিম ফেরদৌস মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় সারা বাংলাদেশের মোট ১ লাখ ২৭ হাজার পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩য় স্থান অধিকার করেছে। তার মোট প্রাপ্ত নং ৮৯.৫। সে ঢাকা মেডিকেল কলেজে চান্স পেয়ে। পিতা শেখ গোলাম রসুল এক জন অপসার প্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা ছিলেন।
মাতা রোকেয়া পারভীন গৃহীনী তাদের সন্তান শেখ তাসনিম ফেরদৌস। পৈত্রিক ভাবে তারা অভয়নগর উপজেলার পায়রা ইউনিয়নের বারান্দি গ্রামের বাসিন্দা। পরবর্তীতে নওয়াপাড়া বুইকরাতে স্থায়ী ভাবে বসবাস করছেন।
শেখ তাসনিম ফেরদৌসন নয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে পাশ করেন।পরে অভয়নগর উপজেলার সিংগাড়ি গ্রামের শেখ আব্দুল ওহাব মডেল কলেজ থেকে এবারই উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেছেন। উভয় পরীক্ষাতে গোল্ডেন প্লাস পেছেছিলেন তিনি। উল্লেখ্য শেখ তাসনিম ফেরদৌস ৫ম,৮ম শ্রেণীতে বৃত্তিও পেয়েছিলেন।
শেখ আব্দুল ওহাব মডেল কলেজ অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম বলেন তার সাফল্যে আমরা গর্বীত পড়ালেখা কালিন আমরা তাকে দেখেছি মেডিকেলই তার স্বপ্ন ছিল। সেই ভাবেই নিজের আমাদের ও পরিবারের প্রচেষ্টায় আজ সারা বাংলাদেশের মধ্য তৃতীয় স্থান অধিকার করেছেন। তার এই অভাবনীয় সফলতায় অভয়নগরের শিক্ষার্থীদের জন্য অনুকরণীয় হবে নিঃসন্দেহে।
শেখ তাসনিম ফেরদৌস এর সাফল্য নিকে তার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন পরিবাবের প্রচেষ্টায় মায়ের সহযোগীতায় এ সাফল্য আমার।
দুই ভাইয়ের মধ্য আমি ছোট। এ সময় রাইজিংবিডিকে বলেন সৃষ্টি কর্তার অশেষ কৃপায় আমি সারা বাংলাদেশে তৃতীয় হয়েছি, আশা ছিল আমি মেডিকেলে চান্স পাব,তবে তৃতীয় হবো তা ভাবতেও পারি নাই।
আমি চায় ডাক্তারদের প্রতি মানুষের যে ধারণা আছে সব কিছুর উদ্ধে থেকে মানুষের সেবায় কাজ করবো।
পাশাপাশি নিজেকে এমন ভাবে তৈরি করবো চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমন হতে রোধ করতে চায়।দেশেয় যেন উন্নত মানের সেবা পান।
শেখ তাসনিম ফেরদৌস এর পিতাঃ শেখ গোলাম রসুল বলেন আমার সন্তানের সাফলে আমরা গর্বীত, সকলে দোয়া রাখবেন সন্তান যেন অনেক বড় হয়ে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে পারে।