নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট) : তিনটি শুল্ক ষ্টেশন থেকে ছেড়ে আসা কয়লা চুনাপাথর পরিবাহি ৬ শতাধিকের উপর নৌযানের জট লেগে আছে পাটলাই নদীর নৌপথ জুড়ে। সুনামগঞ্জের তাহিরপুরের সীমান্তনদী পাটলাইয়ে নাব্যতা সংকটের মুখে ৬ দিন ধরে ওই নৌজট লেগে আছে।
শুক্রবার সরজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তাহিরপুরের বড়ছড়া, চারাগাঁও, বাগলী স্থল শুল্ক ষ্টেশন থেকে বাল্ক হেড (ষ্টিল বডি ইঞ্জিন চালিত) ট্রলার,ষ্টিল বডি ট্রলার, কাঠের তৈরী ইঞ্জিন চালিত ট্রলার কয়লা বোঝাই করে দেশের বিভিন্ন ইটভাটা ও কয়লা বিক্রয়ের মোকামের উদ্দেশ্যে ১৯ জানুয়ারি ছেড়ে আসে।
এরপর উপজেলার সুলেমানপুর বাজার সংলগ্ন পাটলাই নদীর প্রায় তিন কিলেমিটার নৌপথ জুড়ে ২০ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেল পর্য্যন্ত টানা ৬দিন ধরে নৌ জটের কবলে আটকে পড়ে আছে প্রায় ৬ শতাধিকের উপর বাল্কহেড সহ কয়লা বোঝাই ট্রলারগুলো।
পাটলাই নদীতে নৌ জটে আটকেপড়া একাধিক বাল্কহেডের মাঝি সুকানিরা জানান, নৌজটের কবলে পড়ে নানা বিরম্ভনা ভোগান্তির পোহানোর পাশাপাশি হাওর এলাকায় নৌপথে নৌযান থেকে কয়লা চুনাপাথর চুরি লুপাট প্রতিরোধ নিয়ে নিরাপক্তাহীনতা ভুগছি , শিকার হতে হচ্ছে নৌজট নিরসনের নামে নানা চাঁদাবাজির।
শুক্রবার তাহিরপুরের কয়লা ব্যবসায়ি আহমেদ জুয়েল জানান, গত ৬দিনে প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ৮টি কয়লা চুনাপাথর বাহি নৌযান জট থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন গন্তেব্যে কিন্তু নৌজটে আটকে পড়ে আছে শুক্রবার বিকেল পর্য্যন্ত ৬ শতাধিকের অধিক কয়লা চুনাপাথর বোঝাই নৌযান।
বিআইডব্লিউটির একটি এক্সেভেটর (খননযন্ত্র) দিয়ে নদী খননের মাধ্যমে সাময়িকভাবে নৌজট নিরসনের কাজ চলছে ধীরগতিতে।
শুক্রবার নৌ পুলিশ সিলেট অঞ্চলের সুনামগঞ্জের টুকেরবাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন খান জানান, সুলেমানপুর সংলগ্ন পাটলাই নদীর নৌপথে নৌজটে যে জঠিলতা তৈরী হয়েছে সেই নৌজট নিরসনে আরো দুয়েক দিন সময় লাগতে পারে। নিরাপক্তার সার্থে নৌ পুলিশের একটি টহল দল ওই নৌপথে টহলরত রয়েছে বলেও জানান নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ওসি।