বিত্তবানদের টার্গেট প্রতারণার ফাঁদে আটকে টাকা গাড়ি বাড়ি আত্মসাতের অভিযোগ মুনা ও মুস্তফাসহ তপন গংদের বিরুদ্ধে প্রাণ বাঁচাতে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন ভূক্তভোগী ফরিদুল আলম

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত কর্পোরেট সংবাদ জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

প্রতারক চক্রের চার সদস্য।


বিজ্ঞাপন

 

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানী মিরপুর অপহরণের শিকার নারীদের সঙ্গে উলঙ্গ ছবি তুলে সন্ত্রাসী দিয়ে নির্যাতন করে খালি স্ট্যাম্পে জোর করে স্বাক্ষর নিয়ে মুচলেকা আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন এক ভূক্তভোগি। রাজধানীর মিরপুর থানা এলাকায় এ ঘটনায় ঢাকার চিফ ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা হলেও আসামিদের গ্রেফতার করতে না পারায় জীবনের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন মামলার বাদী ও ভূক্তভোগী ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম।


বিজ্ঞাপন

তবে ওই ঘটনার বিষয় মিরপুর থানায় অভিযোগ দিলেও তা গ্রহণ করেনি থানা পুলিশ। পরে নিরুৎসাহিত হয়ে সিএমএম আদালতে একটি মামলা করেন ফরিদুল আলম যাহার সি আর নম্বর ১২৫৮, ধারা ৩২৩/৩৪১/৩৪২/৪৮৮/৩৬৫/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ দ:বিধি) করেন। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন পিবিআই আঁগারগাঁও কার্যালয়ে সাব ইনস্পেক্টর মোহাম্মদ জাকারিয়া।

এদিকে প্রতারক চক্রটি মুনার স্বামী ফরিদুল আলম কে বিগত ১৭/৯ /২৪ ইং তারিখে মামলার হাজিরা দেওয়ার সময় মুস্তফা ও মুনা প্রতারক চক্রটির সাথে যুক্ত হয়েছে। আলম ফরিদুলের সাইবার ট্রাইবুনালের মামলায় উল্লেখিত মুনার পরকীয়া প্রেমিক অনুজ ও অন্য মামলার আসামী সাইদুল। তারা সংঘবদ্ধ হয়ে ভুয়া ডকুমেন্টস তৈরি করে ফরিদুল আলমের কাছে ১০ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। ফরিদুল আলম টাকা না দিলে তাকে প্রানে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় এই প্রতারক চক্রটি। ফরিদুল আলমের ব্যবসা-বাণিজ্য এমনকি পথচলাও হুমকির মুখে।

প্রতিমুহূর্তে ফরিদুল আলমের ভিতর আতঙ্ক অনুভব করছে। প্রতারক চক্র — ফিজিওথেরাপি’র নামে বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকান্ড করে হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থানান্তরিত হচ্ছে লাইফ লাইন নামক এই ফিজিওথেরাপি সেন্টারটি। লাইফ লাইন ফিজিওথেরাপি সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মোস্তফা প্রচার করে সে লন্ডন থেকে পিএইচডি ক্রীত ফিজিওথেরাপিস্ট। আসলে অনুসন্ধান করে জানা যায় এই মোস্তফা হল অষ্টম শ্রেণীর পাস। পিএইচডি তো দূরে থাক সে এসএসসি ও পাস করেনি। তার পরিবারের কাছ থেকে তথ্য সুত্রে জানা যায় আসল সত্যি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নাম ধারণ করে পিএসডি ফিজিওথেরাপিস্ট পরিচয় দিয়ে দিনের পর দিন মানুষকে ঠকিয়ে আসছে মুস্তফা।

ভুক্তভোগী ফরিদুল  আলম।

 

শুধু তাই নয় তার প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায় মুনা নামের মহিলা ও হাফিজুরের মাধ্যমে ফিজিওথেরাপির অন্তরালে এরা বিভিন্ন প্রবাসীর স্ত্রীদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত করে ভিডিও ধারণ করে এবং সেই ভিডিওকে পুঁজি করে কোটি কোটি টাকা ব্ল্যাকমেইল করে হাতিয়ে নেয়। চিটাগাং এর এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আনোয়ার সেলিমকে বিয়ে করে তার কাছ থেকে কোটি টাকা এবং ফ্লাট হাতিয়ে নিয়ে তাকে ডিভোর্স দিয়ে সেই ফ্ল্যাটে এখন সে বসবাস করছে। অনুজ নামের একবার জনকের সাথে তারা বৈধ মেলামেশা শুরু হয়।

তাছাড়া এই মুনা নামের মহিলা চিটাগাং এর এক বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরিদুল আলম কে তার রূপ যৌবনের জালে ফাসিয়ে বিয়ে করে। সাড়ে তিন বছর সংসার করার পর তার থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে ডিভোর্স না দিয়ে মোস্তফার সাথে অবৈধ পরকীয়ায় লিপ্ত হয়।এবং এরা সেখানে বাসা এবং ফিজিওথেরাপি সেন্টার খোলে। সেখানে মোস্তফা এবং মুনা স্বামী স্ত্রী পরিচয় দেয়।

অথচ তাদের কোন বৈধ বিয়ের কাবিনের সন্ধান পাওয়া যায়নি। আলম ফরিদুল কে ডিভোর্স না দিয়ে কিভাবে সে মোস্তফার সাথে স্ত্রী রূপে একই ছাদের নিচে বসবাস করে?প্রশ্ন প্রতিবেশীদের। মোস্তফা মুনা ও হাফিজুর মিলে দীর্ঘদিন ধরে এভাবে মানুষ ঠকিয়ে আসছে।

অথচ তারা ধরাছোঁয়ার অন্তরালে থেকে যাচ্ছে।মুনার এরুপ প্রতারণার শিকার হয়ে আলম ফরিদুল বাধ্য হয়ে মুনার ও মোস্তফা এবং হাফিজুরের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছেন।যেগুলো আদালতে চলমান রয়েছে।আলম ফরিদুল জানান মুনা এবং তার ছেলে ও মোস্তফা মিলে ফরিদুলের নিজের ফ্ল্যাটে নিজের ফ্ল্যাটে তাকে ঢুকতে দেয় না মৃত্যুর হুমকি দেয়।

এ বিষয়ে বিভিন্ন থানায় জিডি ও মামলা হয়েছে। সর্বোপরি প্রতারক মোস্তফা মুনা এবং হাফিজুর মিলে দিনের পর দিন মানুষকে ঠকিয়ে তাদের অনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করছে।যা সমাজের জন্য আতঙ্ক স্বরূপ। সচেতন ব্যক্তিবর্গের অভিমত এ সকল প্রতারক চক্রের শিকড় উপড়ে ফেলে সমাজকে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *