# একাধিক মামলার গ্রেফতারী পরোয়ানা থাকলেও অদৃশ্য কারণে আটক হচ্ছে না # ফিজিওথেরাপির আড়ালে মাদক ব্যবসা নারী সাপ্লাই অপরাধে মামলা #
বিশেষ প্রতিবেদক : রাজধানীতে একটি সংঘবদ্ধ ও প্রতারক চক্রের মূল হোতা মুনাও মোস্তফা গংদের অবৈধ ও অসামাজিক মাদক ব্যবসা ,দেহ ব্যবসা , প্রতারণা, চাঁদাবাজি , অপহরণসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে বেপরোয়াভাবে জড়িত থাকার অভিযোগে থানা এবং কোর্টে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী ঠিকাদার ফরিদুল আলম। এ প্রতারক চক্রের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে এলাকাবাসী ডিএমপি কমিশনারের দপ্তরে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে মুনা ও মোস্তফা দম্পতি লাইফলাইন ফিজিওথেরাপি ব্যবসার অন্তরালে সেবা গ্রহীতা নারী পুরুষের ভিডিও ধারণ করে মুক্তিপণ আদায় , নারী পাচার , চাকুরীর প্রলোভন দিয়ে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে প্রতারণা করে আসছেন ।
এ প্রতারক চক্রের একাধিক সদস্যের মধ্যে অনুপ দাস, সাইদুল, হাফিজুর রহমান, ও খলিল, নারী সদস্য মধ্যে রয়েছেন শাহনাজ পারভিন, ফেরদৌসী ,লিমা ,ও মেরি বেগম।
একই অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে ফেসবুকে ছড়িয়ে ব্লাকমেইল করতেন। প্রতারক চক্রের অন্যতম মূলহোতা মুনা চৌধুরী ও মোস্তফা সরদার তপন এ অপরাধচক্রের বিরুদ্ধে অপহরণ , প্রতারণা, চাঁদাবাজি , মাদক, সাইবার ট্রাইবুনালে মামলা বিভিন্ন আদালতে চলমান রয়েছে। তবে একাধিক মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও তাদের গ্রেফতার করছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সূত্রের দাবি এলাকার কিছু মাস্তান, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ,অসাধু কিছু পুলিশ কর্মকর্তা এবং কিছু ভুয়া সাংবাদিক মাসিক মাসোয়ারার ভিত্তিতে তাদের অসামাজিক কাজ করতে সহযোগিতা করে আসছেন। সিত্তুল মুনা চৌধুরী ও তার স্বামী মোস্তফা সংশ্লিষ্ট থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও অদৃশ্য কারণে আটক করছেন না পুলিশ। সিত্তুল মুনা ও তার স্বামী মোস্তফা বিভিন্ন সময় একাধিক পরিচয় দেন ।
কখনো তরকারি ব্যবসায়ী , কখনো পাঠাও চালক , আবার ফিজিওথেরাপির উপর পিএইচডি করা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। মোস্তফার একাধিক আত্মীয় গণমাধ্যমকে বলেন , মোস্তফা অষ্টম শ্রেণী পাস করে ঢাকায় এসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। অভিযোগে আরো বলেন , তারা বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে একেই প্রতারণায় বারবার জড়িয়ে পড়ছেন।
এছাড়াও মুনা চৌধুরী ও মোস্তফার একাধিক বিয়ের কাবিননামাও পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকলেও গ্রেফতার হচ্ছে না তাদের বাড়িওয়ালাসহ সবাইকে আইনের আওতায় আনা উচিত। সাম্প্রতিক সময় তাদেরকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে অপরাধ জগতের অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য বেরিয়ে আসবে।
প্রতারক চক্রটি সর্বশেষ যে ঘটনাটি ঘটিয়েছে সেটাও অনাকাঙ্ক্ষিত। রাজধানীর মিরপুরে ফরিদুল আলম কে অপহরণ করে উলঙ্গ ছবি তুলে শারীরিক নির্যাতন করে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে মুসলেকা আদায়ের অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগী।
পরে ওই স্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য ঢাকা সিএমএম আদালতে একটি পিটিশন মামলা করেন ফরিদুল আলম। ওই মামলা নম্বর সিআর ১২৫৮। আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই ) তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা নিযুক্ত হন পিবিআই আগারগাঁও কার্যালয়ের সাব-ইন্সপেক্টর মোঃ জাকারিয়া। বিস্তারিত আসতেছে পরবর্তী সংখ্যায়।