মকবুল হোসেন (ময়মনসিংহ) : বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব ফার্মের গাজর মাঠে গতকাল সোমবার ২৭ জানুয়ারী সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত মাঠ দিবস এবং কৃষকদের গাজর ও টমেটো উৎপাদন প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের অর্থায়নে এবং এস.সি.বি. প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া।
বাউরেস পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ হাম্মাদুর রহমান এর সভাপতিত্বে এবং এস.সি.বি. প্রজেক্টের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ও হর্টিকালচার ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ হারুন-অর-রশীদ এর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. মাসুম আহমাদ ডিন(ভারপ্রাপ্ত) কৃষি অনুষদ। কৃষক প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন আব্দুল কাদির জিলানী।
এছাড়াও আরো বক্তব্য রাখেন প্রফেসর ড.মোঃ হাবীবুর রহমান, প্রফেসর ড.মোঃ আখতারুল ইসলাম কো-পিআই সংশ্লিষ্ট প্রকল্প, প্রফেসর ড. মোঃ রোস্তম আলী, ড. মোঃ সামছুল আলম ভুইয়া, প্রক্টর প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল আলীম, বিশেষ অতিথি প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুল হক ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রফেসর ড. মোঃ জহির উদ্দিন সাবেক ডিন কৃষি অনুষদ, প্রফেসর ড.মোঃ গোলাম রব্বানী সাবেক ডীন কৃষি অনুষদ এবং সহযোগী প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর এস.সি.বি. প্রজেক্ট। উক্ত অনুষ্ঠানে এছাড়াও অন্যান্য আমন্ত্রিত শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং কৃষক-কৃষাণী উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া গাজর এবং টমেটো সংশ্লিষ্ট এই প্রকল্পের গবেষণার বিষয়ে প্রশংসা করেন এবং কৃষি সেক্টরের উন্নয়ন তথা দেশের উন্নয়নের লক্ষ্যে গবেষণার উপর সর্বাধিক গুরুত্ব আরোপ করেন। বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুস্টি নিরাপত্তায় বাকৃবির অবদান মনে করিয়ে দেন।
তিনি এই প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট সকলকে বিশেষ করে প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর প্রফেসর ড. মোঃ হারুন অর রশীদের সাফল্য কামনা করেন একই সাথে উপস্থিত কৃষক-কৃষাণীদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। তিনি গাজরের অধিকতর ব্যবহারের উদ্দেশ্যে পাইলট প্রজেক্টের মাধ্যমে স্কুল কিংবা কলেজের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য গাজরের সালাদ/মেন্যু চালু করার বিষয়ে পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ হাম্মাদুর রহমান অন্যান্য সবজির তুলনায় গাজর এবং টমেটোর বাজার মূল্য বিবেচনায় দীর্ঘমেয়াদে অধিক লাভজনক উল্লেখ করে এই দুটি সবজি চাষের উপর জোর দেন এবং উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী ৩৫ জন কৃষক-কৃষাণী ছাড়াও বাকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের ১০ জন ছাত্র-ছাত্রী ও আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।