বাহুবলের কাজী ফার্মে ৩ ছাত্র সম্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাদাবাজির  অভিযোগ!

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় বিশেষ প্রতিবেদন সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি  (হবিগঞ্জ)  :  হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলায়  অবস্থিত কাজী ফার্মে গিয়ে চাদাঁদাবীর অভিযোগ উঠেছে বাহুবলের কথিত ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে ৩ যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে গত ২২ জানুয়ারি দুপুর ২টারদিকে। এনিয়ে ফেসবুকসহ বাহুবলের সর্বত্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। বিগত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙ্গিয়ে কিছু ছাত্র-অছাত্র সমন্বয়ে গড়ে উঠে একটি সিন্ডিকেট।


বিজ্ঞাপন

তারা স্বার্থ হাসিলে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে প্রভাব খাটিয়ে অনৈতিক উপায় অবলম্বন করে হুমকি ধমকি ও চাঁদাবাজির চেষ্টা চালিয়ে আসছে এবং কোন কোন সময়ে তারা সফলও হচ্ছে জনশ্রুতি রয়েছে। এরই অংশ হিসেবে কাজী ফার্মে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটেছে।


বিজ্ঞাপন

স্থানীয় বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, ২২ জানুয়ারি, কাজী ফার্মে ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয়ে যায় মোগকান্দি গ্রামের রায়হান আখঞ্জী, উত্তরসুর গ্রামের অলি মিয়ার পুত্র আরাফাত ইসলাম শাওন (আ’লীগ নেতা বশির আহমদের ভাতিজা), ও আল আমিন নামে ৩ যুবক।

তারা সেখানে ফার্মের গেইটে গিয়ে নক করলে রাসেল মিয়া নামে দায়িত্বপ্রাপ্ত এক ব্যক্তি তাদের কাছে পরিচয় ও কার কাছে যাবেন জানতে চাইলে তারা ছাত্র সমন্বয়ক পরিচয় দেন। এসময় রায়হান তাকে বলে- কাজী ফার্মের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর বিস্তর অভিযোগ আছে তাদের কাছে। এর সমাধান করতে হলে আমাদেরকে খরচ বাবদ টাকা দিতে হবে। রাসেল মিয়া কোম্পানীতে ঠিকাদারী কাজে নিয়োজিত। এসময় রাসেল মিয়া অফিসে উর্ধতন কর্মকর্তা না থাকায় পরে যোগাযোগ করার কথা বলেন।

ওই ৩ যুবক ফিরে যাওয়ার পর রাসেল মিয়া ঘটনাটি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ ও শাকিল চৌধুরী নামে তার নিকটাত্মীয়কে জানালে বিষয়টি লোকমুখে ছড়িয়ে পড়ে এবং শাকিল চৌধুরী বিষয়টি স্বীকারও করেন। এ বিষয়ে ছাত্র সমন্বয়কারী পরিচয়ধারী রায়হান আখঞ্জীর সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি ঘটনা স্বীকার করে বলেন আমরা সেখানে গিয়েছি সত্য।

বানিয়াচং এলাকার এক ব্যক্তিসহ এলাকাবাসী বহু অভিযোগ আমাদের কাছে দিয়েছেন। সেকারণে আমরা সেখানে গিয়েছি। তবে কোন চাঁদা চাইনি। কি ধরণের অভিযোগ এলাকাবাসীর? এমন প্রশ্নের জবাব দিতে পারেনি ৩ যুবক। অনুসন্ধানে জানা যায়, ওই ৩ যুবকের টিমে গোহারুয়া গ্রামের সুজন নামে এক কলেজ ছাত্রকে অন্তর্ভূক্ত করে কাজী ফার্মে নিয়ে যাবার অফার করছিল।সুজন তাতে অনিহা প্রকাশ করে।

এ ব্যাপারে কাজী ফার্ম কর্তৃপক্ষ কড়া নজর রাখছে এবং যেকোন সময় মামলার প্রস্তুতি নিয়ে রাখছে বলে জানা গেছে। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ায় ওই ৩ যুবক দৌড়ঝাপ করছে বলে জানা গেছে।

এ নিয়ে কলেজ ছাত্র সুজন এ প্রতিনিধিকে বলেন- বাহুবল উপজেলায় কোন ছাত্র সমন্বয়কারী নেই বা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোন সুনির্দিষ্ট কমিটিও নেই। যারা এমন অপকর্ম করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবী জানাচ্ছি।

বাহুবলের সচেতন মহল এসব অপকর্মে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবী জানিয়েছেন এবং সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহবান জানান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *