আশুলিয়ার টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

Uncategorized ইতিহাস ঐতিহ্য জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন শিক্ষাঙ্গন সংগঠন সংবাদ সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক  : ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার আশুলিয়ায় টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষার্থীদের অংশ গ্রহণে শীতকালীন পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। উৎসবে শিক্ষার্থীরা নানা ধরণের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছে দিনভোর এ অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল থেকে আশুলিয়ার ইউনিক এলাকার টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল লতিফেল সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়।


বিজ্ঞাপন

এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল, স্যোসাল ইসলামিক ব্যাংক আশুলিয়া শাখার ম্যানেজার আব্দুল আল মামুন, প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ কামরুল ইসলাম,দক্ষিণ অঞ্চল সাংবাদিক ইউনিয়নের উপদেষ্টা মোঃ আব্দুল মান্নান ভূঁইয়াসহ প্রতিষ্ঠানের সকল শিক্ষক,অভিভাবক শিক্ষার্থীবৃন্দ ও এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ । পিঠা উৎসবে হরেক রকমের পিঠা নিয়ে ১৫টি পিঠার স্টল বসে। স্টল গুলিতে দুধ কুলি, ভাপা পিঠা, পাটি সাপটা, নকশী পিঠা, পুলি পিঠা, চিতই, ঝিনুক পিঠা, তেলের পিঠা, নারু পিঠা, সন্দেশ পিঠা সহ হরেক রকমের পিঠা শোভা পেয়েছে ।


বিজ্ঞাপন

টেবিলে প্লেটে থরে থরে সাজানো নানা রঙের পিঠাসহ নাম না জানা হরেক রকম পিঠা। এ যেন রসের মেলা। নানা স্বাদের বাহারী এসব পিঠা দেখলেই মুখে জল চলে আসবে যে কারো। দর্শনার্থীরাও এগুলা কেউ কিনে খাচ্ছে আবার কেউ কিনে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছে।

পিঠা উৎসবে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ প্রকারের পিঠা প্রদর্শন করা হয়।পিঠা উৎসবে স্থানীয়দেরও ব্যাপক ভিড় ছিল। তারাও আনন্দ সহকারে পিঠার স্টলগুলো ঘুরে দেখেছেন, পিঠা স্বাদ নিয়েছেন।পিঠা উৎসবে এসে ঢাকা প্রেস ক্লাবের সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল বলেন, এবারের টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের পিঠা উৎসব অত্যন্ত সুশৃঙ্খ ভাবে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

তিনি আরো বলেন,পিঠা উৎসব শুধুমাত্র আমাদের ঐতিহ্যের রক্ষক হিসেবে কাজ করে না, বরং এটি আমাদের সামাজিক সম্পর্ক, পারিবারিক বন্ধন এবং গ্রামীণ জীবনের সৌন্দর্যকে আরো দৃঢ়ভাবে তুলে ধরে যা সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের জন্য আনন্দ ও সম্প্রীতির উৎস।

এছাড়া পিঠা উৎসবে আসা দর্শনার্থীরা জানান, সুস্বাদু ও মুখরোচক পিঠা মানেই গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য। শীতের মধ্যে এ রকম একটা আয়োজন সত্যিই অসাধারণ। পিঠা পুলির সাথে পরিচয়ও হওয়া যায় তাই আমরা এখানে এসেছি।

এ সময় পিঠা উৎসবের আয়োজক টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের উদ্যোগে এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল লতিফ জানান, এখন শীতকাল চলছে। শীতের ঐতিহ্য নানান ধরণের পিঠা। কালের বিবর্তনে শীতের পিঠা পুলির ঐতিহ্য বিলুপ্তির পথে। নানা ধরণের পিঠা পুলির সাথে এ প্রজন্মের শিশু-কিশোর সহ সকলের কাছে পরিচয় করিয়ে দেয়াই এ পিঠা উৎসবের মূল উদ্দেশ্য।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *