নিজস্ব প্রতিনিধি (ময়মনসিংহ) : দেশে ২৪ ছাত্র-জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পরবর্তীতে বাংলাদেশ দূর্ণীতি দমন কমিশন দূদক এখন অনেক শক্তিশালী। দূদক বুঝতে পেরেছে পতিত আওয়ামীলীগ সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাবার আগে সারাদেশে যেমন বে-রহম লুটপাট চালিয়েছে দেশ জুড়ে তেমনি কর্তৃত্ববাদী আওয়ামীলীগ সরকারের অঙ্গুলি হেলনে সকল সরকারি প্রতিষ্ঠানে চরম দূর্ণীতি আর হাজার-কোটি টাকা আত্নসাৎ করে সারা দেশ টাকে একেবারে ফোকলা বানিয়ে গেছে ।
তবে বাংলাদেশ দূর্ণীতি দমন কমিশন দূদকের সাহসী সৎ এবং কর্তব্য পরায়ণ অফিসার এবং যোগ্য সদস্যরা দূর্ণীতি আর সরকারি অর্থ আত্নসাৎকারীদের আর ক্ষমা করবেন না। তারা দেশ প্রেমিকের অনণ্য দৃষ্টান্ত স্হাপন করতে বদ্ধ পরিকর ।
অভিযোগে জানা গেছে, ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন তার কার্যালয়টিকে একটি দূর্ণীতি আর অর্থ আত্নসাৎ এর আখঁড়া বানিয়ে লুটে নিয়েছেন সরকারের কোটি কোটি টাকা। সম্প্রতি একটি প্রিন্ট মিডিয়ার অনুসন্ধানী টিম অনুসন্ধান করে জানতে পেরেছেন, খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন ছিলেন বক ধার্মিকের মত মহা দূর্ণীতি বাজ। লোক মুখে শোনা গেছে, তিনি এমনিই ধুরন্ধবাজ ছিলেন যে, তিনি গোসল করতেন কিন্তু শরীর ভিজাতেন না।
অভিযোগে জানা গেছে , ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামীলীগ মাঝামাঝি ও শেষের দিকে খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন দুই হাতে পকেটে যেভাবে পেরেছেন জনগনের টাকা আর দাতা গোষ্ঠীর টাকা লুফে নিয়েছেন কারণ জবাবদিহি ছিলোনা।
এ ছাড়া ঠিকাদারদের বিভিন্ন বিল অনাহূত ভাবে আপত্তি দেখিয়ে তিনি বিল আটকে দিতেন।পরবর্তীতে দফায় দফায় ঠিকাদারদের কাছ থেকে মোটা অংকের ঘুষের টাকার বিনিময়ে খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন বিল খালাস দিতেন।
অভিযোগে জানা গেছে, এভাবে সড়কের সর্বেসর্বা হিসেবে নির্বাহী প্রকৌশলী খায়রুল বাশার মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন প্রতিটি সেক্টর থেকে চাদাঁর মতো করে টাকা উঠিয়ে নিতেন।
অভিযোগ আছে এক প্রকার প্রকাশ্যেই তিনি এটা করতেন।
ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগ হচ্ছে আতূড় ঘর। সুতরাং এই অফিসে ভেতরেকি ভয়ানক দূর্ণীতির দস্যুতা চলছে তা না দেখলে বিশ্বাস করা যায়না। প্রতিটি কলমে কলমে আর পাইয়ে পাইয়ে দূর্ণীতির যেনো মহোৎসব চলছিল যা ছিল সাধারণ মানুষের জানার বাইরে।
তবে দূর্ণীতি দমন কমিশনকে দেশের প্রত্যেকটি উপজেলায় সাঁড়াশী অভিযান চালাতে হবে এবং সবার আগে গোপণীয় অভিযান চালাতে হবে ময়মনসিংহ সড়ক বিভাগে। লোকে যাকে বলে দূর্ণীতির আঁতূড়ঘর।