নিজস্ব প্রতিনিধি (সিলেট) : সিলেটের সুনামগঞ্জে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) এসিল্যান্ড’র বিরুদ্ধে সপ্তাহে আড়াই লাখ টাকা ঘুস নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা শহরের নতুন বাসস্টেশন এলাকায় এক ট্রাক চালককে আটকের পর গুস নেয়ার অভিযোগটি সামনে আসে।
সুনামগঞ্জে সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভুমি) এ্যাসিল্যান্ড মো. ইসমাইল হোসেনের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগ আনেন যান বাহন চালকরা। অবশ্য এসিল্যান্ড নিজে সরাসরি ঘুস নেয়ার ওই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
মঙ্গলবার সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল রহমান সড়কে ট্রাক আড়াআড়ি ভাবে রেখে যান বাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়ে এক চালককে আটক করেন।
চালকরা অভিযোগ আনেন এসিল্যান্ড অফিসে সাপ্তাহিক চাঁদা না দেয়ায় ট্রাক চালক আটক করা হয়েছে। এরপর চালকরা নিজেরাই প্রতিবাদে যান চলাচল বন্ধ করে দেন ।
চালকদের অভিযোগ এসিল্যান্ড অফিসে সাপ্তাহিক চাঁদা না দেয়ায় এক ট্রাক চালককে আটক করা হয়। এ কারনে সিলেট-সুনামগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়ক অবরোধ করেন বিক্ষুব্ধ চালকরা। তোপের মুখে পরে আটক চালককে ছাড়তে বাধ্য হন এসিল্যান্ড।
এ সময় এসিল্যান্ডের সামনেই ট্রাক চালকরা অভিযোগ করে জানান, কর্মহীন হয়ে পড়ায় আমাদের শতাধিক ট্রাক চালক ও শ্রমিকরা বিভিন্ন মালামাল ও মাটি কেটে জীবিকা নির্বাহ করছি। এর জন্য এসিল্যান্ড অফিসের নামে সপ্তাহে আড়াই লক্ষ টাকা চাঁদা নেন নাজির কাম ক্যাশিয়ার মুরাদ মিয়া। এ সপ্তাহে টাকা না দেয়ায় আমাদের একজনকে আটক করা হয়। ঘটনাস্থলেই অভিযোগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা দাবি করেন অভিযুক্ত নাজির কাম ক্যাশিয়ার মুরাদ মিয়া।
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইসমাইল রহমান বলেন, আমার কার্যালয়ের কেউ যদি চাঁদা নিয়ে থাকে তাহলে লিখিত অভিযোগ দিলে আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করব।