নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রতারক মোস্তফা অপরাধ জগতের মাফিয়া ডন হলেও তার অপরাধ প্রতিরোধে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। প্রতারণা, মাদক সাপ্লাই, নারী পাচারসহ নানা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলেও প্রকাশ্যে নিয়ন্ত্রণ করছে অপরাধ জগত। এ চক্রের মূল সহযোগী সাইদুল ও অনুজ দাশের জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। নিজ গ্রামে পাবনায় গিয়ে পিএইচডি পরিচয় দিয়ে রোগীর ব্যবস্থাপত্র দেন এ অভিযুক্ত। মরণব্যাধি ক্যান্সার রোগের চিকিৎসার নামে আরও ঝুঁকিতে ফেলার অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় একটি সূত্র।
প্রতারক মোস্তফার বিরুদ্ধে প্রথম সারির গণমাধ্যমসহ একাধিক পত্রিকায় নিউজ প্রকাশ হলে চট্টগ্রামের পদুয়ার ফরিদুল আলম কে দোষারোপ করে এ চক্রটি। এ প্রতিবেদনের জেরে তার ছেলে শিশু শিক্ষার্থী রাকিবুলের বিরুদ্ধেও একটি মিথ্যা ১০৭ তারার অভিযোগ দেন। পাবনার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দুই নম্বর আদালতে এ মামলাটি করেন। মামলার ভিতরে ফরিদুলের ছোট ভাই বশির উদ্দিনকেও বিবাদী করেন। যাহার পিটিশন কেস নাম্বার ৫২২/২০২৪ ধারা ১০৭
জানা গেছে ফরিদুল আলম শিশু শিক্ষার্থী রাকিবুল ও বশির উদ্দিন ঘটনার সময় চট্টগ্রামের পদুয়ার ঠিকানা থাকলেও বসবাস করছেন হালিশহর।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
ঘটনার তারিখ পাবনায় আসেননি। মামলার ১ নম্বর বিবাদী ফরিদুল আলমের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় প্রতিবেদক এর সঙ্গে একাধিকবার কথা হয় তিনি তখন চট্টগ্রাম কোর্ট কাচারি হালিশহর বিভিন্ন জায়গার নেটওয়ার্ক এ ছিল। অথচ প্রতারক বাদী মুস্তফা তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার জন্য এ অভিযোগ দাখিল করেছে। শিশু রাকিব চট্টগ্রাম গভর্নমেন্ট মুসলিম হাই স্কুলের এসএসসি পরীক্ষা।
মোস্তফার পরিবার সূত্রে জানা গেছে তিনি দৈনিক হাজিরায় অন্যের কৃষি খামারে ৩০০ টাকা হাজিরায় কাজ করতেন। নিজ গ্রামের একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে চাকরির নামে টাকা হাতিয়ে ঢাকায় পালিয়ে এসে থেরাপিতে পিএইচডি বনে যান। তখন থেকে শুরু হয় প্রতারণা বানিজ্য। বিভিন্ন অপরাধে ডিএমপির ছয়টি থানায় আটক হয়েছিলেন পুলিশের হাতে।আটকের পর পুলিশের কাছে ভিন্ন ভিন্ন নামে ছয়টি এনআইডি কার্ড জমা দেন পুলিশের কাছে।
বিভিন্ন আইডি কার্ডের নমুনা প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে যথাযথ সময় প্রকাশ করা হবে। প্রতারণা করে বিভিন্ন নারীদের সঙ্গে প্রেম পরকীয়া পরে শারীরিক সম্পর্ক করে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল করে টাকা স্বর্ণ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। বাসা বাড়িতে কাজের বুয়ার নাম করে চট্টগ্রাম থেকে মেয়েদেরকে ঢাকার বাসায় নিয়ে আসতেন এবং বাসায় এনে জোরপূর্বক দেহ ব্যবসায় বাধ্য করতেন।
এ কাজে সহযোগিতা করতেন চট্টগ্রামের ইসহাক নামে এক যুবক। তাকে ১৫ হাজার টাকা করে পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা থাকলেও তাকে দিয়েছেন ৫০০০ হাজার টাকা।
এ নিয়ে এসহাকের মোস্তফা ভেতরে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়াও প্রতারণা করে ঢাকা বনশ্রী, ধানমন্ডি ,মিরপুর ,খুলনা, কুষ্টিয়াসহ, বিভিন্ন জায়গায় ১০ থেকে ১৫ টি বিয়ে করেছেন এ প্রতারক । বিয়ের পরে বিভিন্ন প্রলোবনে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে পথে বসিয়ে পালিয়ে যায় এ মাফিয়া প্রতারক।
এসব বিষয় জানতে চাইলে চট্টগ্রামের বছির উদ্দিন প্রতিবেদক কে বলেন, আমার জীবনে কোনদিন পাবনা যাওয়া হয়নি। আমাকে অহেতুক হয়রানি করার জন্য ভাক্ত অভিযোগ দিয়েছেন। শিশু রাকিব চট্টগ্রাম মুসলিম গভর্নমেন্ট স্কুল এর এবছর এস এসসি পরীক্ষার্থী তাঁকে ও ১০৭ ধারার অভিযোগ আনছেন এ জন্য মোস্তফা কে শাস্তির দাবি জানাই।