সুমন হোসেন, (যশোর) : যশোর জেলার অভয়নগর উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের বাগদাহ গ্রামের কণা ইকো পার্কে একটি ব্যতিক্রম ধরনের বনভোজন কাদা খোঁচা’র আয়োজনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১০ সালে ১৫ বছর আগে ১৩ জন বন্ধু মিলে শুরু করেন কাদা খোঁচা বনভোজন। তারপর থেকে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী মাসে কাদা খোঁচা পিকনিক গ্রুপ আয়োজন করেন একটি অরাজনৈতিক বনভোজনের।
উপজেলার বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষ নির্ধারিত টাকা চাঁদা দিয়ে স্বতস্ফুতভাবে অংশ গ্রহন করেন ওই বনভোজনে। এ সময় কাদা খোঁচা পিকনিক গ্রুপের সকল সদস্য একত্রিত হয়ে আনন্দ উপভোগ করেন। শুরু থেকে প্রতি বছর তারা নওয়াপাড়া থেকে নদী পথে ট্রলারে করে কোনো গন্তব্য ছাড়া যাত্রা শুরু করেন। এক পর্যায়ে তারা নদীর তীরে অবস্থান করে নদীর জোয়ারের পানি নেমে যাওয়ার পর পাড়ে জেগে থাকা কাদায় নেমে নিজেরা আনন্দ উল্লাশে মেতে ওঠেন।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
সকলে বয়সের ভেদাভেদ ভুলে ফিরে যান শৈশবে। এই আনন্দঘন মুহুর্তকে তারা কাদা খোঁচা পিকনিক নাম দিয়েছেন। এই অনুষ্ঠানটি অরাজনৈতিক বনভোজন হওয়ায় প্রতি বছর মানুষের অংশ গ্রহন বৃদ্ধি পেয়েছে অনেক বেশি। বর্তমানে এবছর ১ হাজার ৫শ” জন সদস্য অংশ গ্রহন করেছেন কাদা খোঁচা বনভোজনে।
কাদা খোঁচা বনভোজনের সদস্যরা জানায়, এ বছর এলাকার মানুষের মাঝে বিনোদন উপহার দেওয়ার জন্য শুক্রবার ও শনিবার সন্ধ্যায় বাগদাহ গ্রামের কণা ইকো পার্কে দুই দিন ব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ওই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন এলাকাবাসী। এতে এলাকার অনেকে খুশি হয়ে ধন্যবাদ সহ কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন কাদা খোঁচা’র সদস্যদের।
কাদা খোঁচা বনভোজনে অংশ গ্রহনের জন্য বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সর্বশেষ সদস্য নিবন্ধন করা হয়। শুক্রবার সকালে কাদা খোঁচা নকশা করা একটি টি শার্ট পরে সকলে একসাথে নাস্তা এবং দুপুরে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। সন্ধ্যায় ঢাকা ও খুলনা থেকে আগত শিল্পীদের পরিবেশনায় জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
কাদা খোঁচা পরিবারের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও নওয়াপাড়া পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো: আসাদুজ্জামান জনি বলেন, কাদা খোঁচা পরিবারের আয়োজনে ব্যতিক্রমধর্মী একটি অরাজনৈতিক বনভোজন। প্রতি বছর সকল সদস্যদের সহযোগিতায় একসাথে শৈশবের আনন্দ উল্লাসের সাথে উপভোগ করে থাকে। কাদা খোঁচা পরিবার ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে সকল সদস্যদের নিয়ে কেক কাটা হয়েছে শুক্রবার সন্ধ্যায়।
এবছর এলাকাবাসীদের সাথে আনন্দ উপভোগ করতে দুই দিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও লটারীর আয়োজন করা হয়েছে। যার প্রথম পুরষ্কার ১৫০ সিসি একটি পালসার মোটরসাইকেল সহ আকর্ষনীয় ১৫টি পুরষ্কার। এলাকার সব ধরনের মানুষের সহযোগিতা পেলে ভবিষ্যতে আরও ভালো উপহার দেওয়ার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।