নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম পটিয়ার নুরুল আবসারের বড় মেয়ে সিত্তুল মুন্না চৌধুরী পাবনার খাসচর গ্রামের বেল্লাল সরদারের ছেলে প্রতারক বাইক চালক মোস্তফা সরদার তপন কে স্বামী পরিচয় দিয়ে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। এ অভিযোগ মিরপুর থানাসহ বিভিন্ন দপ্তরে জমা দিয়েছেন। বিত্তবানদের বাগে এনে তাদের কাছে পৌঁছে দেয় প্রতারক স্বামী মোস্তফা সরদার তপন।
অভিজাত আবাসিক হোটেল বাসা বাড়িরসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন নামিদামি পর্যটন কেন্দ্রে পৌঁছে দেন সিত্তুল মুনা কে। এ কাজে সর্বাত্মক সহযোগিতা করে তার পাতানো স্বামী মোস্তফা সরদার তপন। কক্সবাজার ,কুয়াকাটা , চট্টগ্রাম, সিলেটসহ ঢাকার অভিজাত পর্যটন কেন্দ্র,আবাসিক বাড়ি বিত্তবানদের বাসায় পৌঁছে দেয়। সিত্তুল মুনার পাতানো স্বামী মোস্তফা সরদার তপন একেক সময় বিভিন্ন নাম পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে ব্ল্যাক মেইলের অভিযোগ রয়েছে।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
তিনি কখনো বাইক চালক, আবার কাঁচামাল ব্যবসায়ী ,ফিজিও থেরাপিতে পিএইচডি করেছেন নিজেকে জাহির করেন। পিএইচডি পরিচয় দিয়ে অনুর্ধ্ব ১৫ টি বিয়ে করেছেন এ প্রতারক। ফিজিওথেরাপির আড়ালে সিত্তুল মুনা তার পাতানো স্বামীকে নিয়ে মাদক ও দেহ ব্যবসা রমরমাভাবে চালিয়ে আসছে। নারী দের সাথে ব্ল্যাকমেইল করে প্রেম, পরিণয় , অতপর শারীরিক সম্পর্ক করে ভিডিও ধারণ করে হাতিয়ে নেয় সর্বস্ব।
এভাবে একাধিক নারীদের টাকা-পয়সা স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নিয়ে পথে বসিয়েছে। বিভিন্ন খদ্দেরের নিকট থেকে তাদের চাহিদা মোতাবেক অর্থ আদায় করতে না পারলে গোপনে ভিডিও করে ভুয়া আইডি খুলে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। ওই খদ্দেরের মান-সম্মানের ভয় দেখিয়ে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয় এ প্রতারক চক্র।
জানা গেছে সিত্তুল মুনার দেহ ব্যবসা ও মাদক ব্যবসায় সহযোগিতা করে তার ছেলে ও দুই মেয়ে। সিত্তুল মুনার ডিভোর্সি স্বামী আনোয়ার সেলিমের নিজ বাসায় নিজে এবং রুবি কে দিয়ে খদ্দেরের মনোরঞ্জন করান। বিভিন্ন খদদেরকে বাসায় নিয়ে আসেন মোস্তফা সরদার তপন। চট্টগ্রামের পটিয়ার স্থানীয় একটি সূত্র বলছে মুনা ছোটবেলা থেকে অর্থ ও পুরুষ লোভী। সে ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত সাতবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। কোন বিয়ে এক বছরের বেশি স্থায়ী হয়নি।
তার অনৈতিক দেহ ব্যবসার কারণে কোন দাম্পত্য জীবন স্থায়ী হচ্ছে না। সাম্প্রতিক পাতানো স্বামী মোস্তফা সরদারকে সংসারে এনে নির্বিঘ্নে দেহ ব্যবসা চালিয়ে আসছে। তার উশৃংখল জীবন যাপনের জন্য মুনার পরিবার সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। আবার প্রতারক মোস্তফা সরদার তপনের পরিবার অনৈতিক কাজের জন্য সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করে দিয়েছেন। সিত্তুল মুনার অনৈতিক কাজে সহযোগিতায় রয়েছেন কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নিয়মিত নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য যে মোস্তফা সরদারকে নিয়ে বাসাভাড়া নেওয়ার সময় ভাড়াটিয়া ফর্মে স্বামী ও স্ত্রী পরিচয় দিয়েছেন। আবার গণমাধ্যমকে বলেন, মোস্তফা সরদার আমার ছেলের বন্ধু তার সঙ্গে আমার কোনো দৈহিক সম্পর্ক নেই। তবে মুনা ও মোস্তফা দম্পতির অনৈতিক কাজের জন্য নুর হোসাইন ও মঈনুল ইসলাম নামের ব্যক্তিগন নোটিশ দিয়ে বাসা ছাড়তে বলেছেন।এটা গণমাধ্যমের কাছে মিথ্যা তথ্য উপস্থাপন করে চরম প্রতারণা করেছেন।
এদিকে চট্টগ্রামের পদুয়ার ইসহাক নামের এক দালাল বাসার কাজের জন্য মেয়ে ঠিক করে দেন। ওই বাসায় এনে জোর করে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করেন। মোস্তফার পরিবারের একাধিক সদস্য গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা পরিবারের সবাই যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছি। আমাদের কথার অবাধ্য হয়ে অনৈতিক কাজে জড়িয়েছেন ।
আমরা একাধিকবার থানা পুলিশের কাছ থেকে মুসলেকা দিয়ে ছাড়িয়ে আনছি। আমরা ওর বিষয়ে আর খোঁজখবর নেবনা। চট্টগ্রাম ইসহাকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন , আমি লোক ঠিক করে দিয়েছি জানিনা কি কাজ করাবেন। সে বাসায় নিয়ে দেহ ব্যবসা করালে আমি দায়ী না। আমাকে বলছে বাসায় রান্নার কাজ করবেন।