নিজস্ব প্রতিনিধি (বরিশাল) : ভোলার হালিমা চতুর্মূখী পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে স্বামীর দুই কোটি টাকা লোপাট এর অভিযোগ তুলেছেন ভূক্তভোগি স্বামী। ভোলা পৌর সভার চার নং ওয়ার্ডের আবু সাইদের কন্যা হালিমা খাতুনের সাথে ভেদুরিয়া ইউনিয়নের হানিফ মোল্লার ছেলে হাবিবুর রহমানের সাথে ২০০৮ সালে ইসলামী শরীয়ত মোতাবেক বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সাংসারিক ধন্যদশা লাঘব করতে হাবিব ২০১২ সালে প্রবাস গমন করেন।
বিদেশে যাওয়ার পর থেকে হালিমা বিভিন্ন অসৎ চরিত্রের লোকের সাথে জড়িয়ে পরে পরকিয়া প্রেমের জালে। তার অন্যতম প্রেমিক আব্দুর রহমান বিশ্বাস লুটে নেয় সর্বস্ব।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
এদিকে হাবীব বিদেশ থেকে তার স্ত্রীর কাছে বিভিন্ন ব্যাংকের একাউন্টে প্রায় দুই কোটি টাকা পাঠান। হালিমার অন্য প্রেমিকরা হলেন হাসান, ইব্রাহিম ও রিয়াজ। পরকিয়া প্রেমে আসক্ত হয়ে হাবিবের পাঠানো সকল টাকা লুটে নেন প্রেমকরা। হালিমা নিজেকে বাঁচাতে হাবিব দেশে আসলে তার বিরুদ্ধে একে একে চার টি মামলা দায়ের করেন।
যার মধ্যে সি আর মামলা নারী শিশু মামলা ৩১৯/২৪, এমপি মামলা ৯৯/২৪ ও যৌতুক মামলা ৪৬৮/২৪ । এর মধ্যে নারী শিশু মামলা ৩১৯/২৪ থেকে হাবিব অব্যাহতি পেয়েছেন। হাবিব বিগত ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ পরিক্রমা মানবাধিকার সাংবাদিক সোসাইটির কাছে পরিত্রাণ ও আইনী সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনের প্রেক্ষিতে এ সংস্থাটি ঘটনার বিশদভাবে তদন্ত করে হালিমার প্রতারণা ও টাকা আত্মসাৎ করার প্রমাণ পরিস্কার হয়েছে। সংস্থাটি তাদের প্রতিবেদনে হালিমার ভয়ংকর অনেক তথ্য উপস্থাপন করে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করেন। হাবীব তার পাঠানো টাকা উদ্ধার করার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হন। হাবীব তার টাকা উদ্ধার করার জন্য দায়ের করা মামলার নাম্বার সি আর ৩৯৬/২৪।
এব্যাপারে হাবিব বলেন আমি যখন বিদেশ থেকে ২০২৩ সালে দেশে আসি তখন হালিমাকে খুব অসুস্থ অবস্থায় দেখে গাইনি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাই তখন ডাক্তার পরীক্ষা নীরিক্ষা করে বলেন, আপনার স্ত্রী বাচ্চা এবোশন করার কারণে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়েছে। তখন হাবীব উক্ত বিষয়ে হালীমার কাছে জানতে চাইলে হালীমা কোন উত্তর না দিয়ে হাবিবের উপর ক্ষেপে যায়। গত জানুয়ারি মাসে হালীমার করা নারী শিশু নির্যাতন মামলা থেকে আদালত হাবীবকে নিষ্কৃতি দিয়ে মামলার দায় থেকে হাবিবকে পুরোপুরি অব্যাহতি দেয়।
হাবীব আরো বলেন, হালিমা খাতুন আমার অবর্তমানে পরপুরুষের সাথে থেকে আমার টাকা পয়সা দিয়ে আমার বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রকার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন। হাবীব আরও জানান হালিমা আমাকে নিঃস্ব করে দিয়েছে। আমি যেখানে যার কাছে যাই সবাইকে হালিমার সাথে টাকার বিনিময়ে কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। গত মাসে আমার পক্ষের আইনজীবীও তার টাকার কাছে বিক্রি হয়ে গেছে।
এব্যাপারে অভিযুক্ত হালিমার ব্যবহৃত মুঠোফোনে যোগাযোগ করার জন্য একাধিকবার চেষ্টা করলেও ফোন রিসিভ করেননি। ভুক্তভোগী হাবীব নিঃস্ব হয়ে সঠিক বিচার পাওয়ার আশায় বিভিন্ন সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন। কবে হবে পরকিয়া প্রেমের অবসান,আর কত পরকিয়া প্রেম আসক্ত হলে ক্ষান্ত হবে হালিমার মতো ডেভিল ওমেন রা?