নিজস্ব প্রতিবেদক : লাইফ লাইন ফিজিওথেরাপির মালিক মোস্তফা সরদার তপন ও মুনার অপকর্মের খতিয়ান স্ক্রিন শর্টসহ প্রতিবেদন ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ পেতে যাচ্ছে। মুনার সঙ্গে ফরিদুল আলমের ইতিপূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়।
পরিচয় হওয়ার দুইদিন পর মুনা নিজ দায়িত্বে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়ে দেবেন এমন প্রতিশ্রুতি দেয়। এ পরিচয়ের সুবাদে ফরিদুল কে ডেকে নিয়ে মিরপুর -২ বড় বাগ আমিনাসপাল ৬২/৬৩ 2/L ফ্ল্যাট টি নিজ দায়িত্বে ভাড়া নিয়ে দেয়।ওই ভাড়াটিয়া চুক্তিপত্রে সিত্তুল মুনা এক নম্বর সাক্ষী হিসেবে স্বাক্ষর করে এ চুক্তিপত্র এখনও বহাল রয়েছে।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2024/05/WhatsApp-Image-2024-05-31-at-21.07.07_c7f123fd.jpg)
ফরিদুল বাসায় ওঠার দিন থেকে সিত্তুল মুনার সাথে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্পর্কের সুবাদে ফরিদুল আলমের নিকট থেকে সকল আসবাবপত্র কেনার জন্য নগদ টাকা নিয়ে নিজ হাতে ক্রয় করে। এছাড়া সংসারের আর্থিক খরচ ফরিদুল আলম বহন করেন সিত্তুল মুনা সংসারের কাজ নিজে করেন। তাদের শারীরিক সম্পর্কের সব ভিডিও এবং ছবি গোপনে সিত্তুল মুনার মোবাইলে কৌশলে ধারণ করে রাখে।
পরবর্তীতে ওই ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল করার উদ্দেশ্যে নগদ ১০ কোটি টাকাসহ ঢাকার অভিজাত এলাকায় একটি ফ্লাট একটি প্যারাডো গাড়ি দাবি করে এবং বিয়ে করার জন্য চাপ সৃষ্টি করে। তবে যদি বিয়ে না করে তাহলে গোপনে ধারণ করা ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ ইন্টারনেটে ছেড়ে দিয়ে মানসম্মান নষ্ট করবেন এবং মামলায় জড়ানোর ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে।
ওই ফলশ্রুতিতে ২০২২ সালের ১৫ এপ্রিল রেজিস্ট্রারী কাবিনমূলে ফরিদুল আলম সিতুল মুনাকে বিয়ে করেন। কিন্তু সিত্তুল মুনা বাসা ভাড়া নেওয়ার প্রথম দিন থেকে নিজের সংসারের যাবতীয় খরচ এবং হাত খরচ ফরিদুল আলম সব বহন করছেন। বিভিন্নভাবে ব্ল্যাকমেল করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এছাড়াও নগদ টাকা এবং বিকাশে একাধিক বার টাকা সেন্ড এবং স্বর্ণালঙ্কার দিয়েছেন তার যথেষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে।
সিত্তুল মুনার ব্লাকমেইলের সকল তথ্যপ্রমাণ প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে। তার বিভিন্ন লোকের সঙ্গে মেলামেশা শারীরিক সম্পর্ক ফরিদুল আলমের নজরে আসলে ঘটে যায় বিপত্তি। এখনো লাইফ লাইন ফিজিওথেরাপির ভুয়া পিএইচডি নামধারী মোস্তফা সরদার তপন এর অবৈধ মেলামেশা হাতেনাতে দেখে ফেলেন ফরিদুল। ওই পরিস্থিতি ধামাচাপা দিতে মুনা বলেন , আমি মোস্তফা কে নিয়ে যা করেছি তা তুমি দেখার কে। আমার পরিবার দেখে শুনে মোস্তফার কাছে বিয়ে দিয়েছেন।
মোস্তফা ও মুনা একত্রিত হয়ে বিগত এক বছর আগে ফরিদুল আলমের ভাড়াটিয়া বাসা থেকে মোস্তফা ও মুনা এবং তার ছেলে আফনান জোরপূর্বক ফরিদুল কে বাসা থেকে বের করে দেয়। আরো হুমকি দিয়ে বলে বাসায় ঢুকলে জানে মেরে ফেলবে। যে কারণে ফরিদুল আলম এক বছর যাবত তার নিজ ফ্ল্যাটে ঢুকতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে ফরিদুল আলম দাম্পত্য সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে পারিবারিক আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলা নাম্বার ৯৭/২০২৪ ।
মামলা চলাকালীন গতবছরের ১৫ অক্টোবর ফরিদুল আলম নিজ ফ্ল্যাটে গেলে মুনা ও মোস্তফা ও মুনার ছেলে আফনান ফরিদুল এর উপর আতর্কিত হামলা চালায়। হামলার প্রতিবাদে বিচারের দাবিতে ফরিদুল ঢাকা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ফৌজদারী মামলা করেন নম্বর ১৫৮/২৪ যাহা বিচারাধীন আছে।
এদিকে বিভিন্ন অনুসন্ধানে জানা গেছে মোস্তফা সরদার তপন একটা প্রতারক চক্রের সদস্য। সে অষ্টম শ্রেণী পড়ুয়া ভুয়া পিএইচডি পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে আসছে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তার আসল চরিত্র উন্মোচিত হয়।
![](https://ajkerdesh.com/wp-content/uploads/2025/02/IMG_20250214_185426-300x258.jpg)
আবার বিভিন্ন পরিস্থিতি অনুকূলে রাখতে বাইক চালক ,কাঁচামাল ব্যবসায়ী, পরিচয় দেয়। মুনা ও মোস্তফা প্রতারণার অনৈতিক কাজ করার সুবিধার্থে ঢাকা বাবর রোড, এসপি রোড, আগারগাঁও, মিরপুর চিড়িয়াখানা রোড স্বামী স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বাসাভাড়া নিয়েছেন।অথচ সিত্তুল মুনা মামলার জবান বন্দিতে মোস্তফা কে তার অভিভাবক পরিচয় দেয়।
মুনা ও মোস্তফার আসল চরিত্র প্রকাশ পাওয়ায় সর্বশেষ যে ঘটনা সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে গত বছর ২ ডিসেম্বর মুনা মোস্তফার পোষা সন্ত্রাসী দিয়ে ফরিদুল আলম কে অপহরণ করে সবকিছু লিখে নেওয়ার উদ্দেশ্যে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় এবং ভিডিও ধারণ করে।এর প্রতিবাদ জানিয়ে বিচারের দাবিতে ফরিদুল আলম ঢাকা সিএমএম আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন যাহার নম্বর ১২৫৮/২৪ ।
সিত্তুল মুনা একজন অসৎ পুরুষ লোভী চরিত্রহীন মিথ্যাবাদী নারী ,আর অনৈতিক কাজে সহযোগিতা করে তার প্রতারক বাইক চালক স্বামী মোস্তফা সরদার তপন। ইতিপূর্বে এবং বর্তমানে যে সকল লোকের বিছনা সঙ্গী হয়েছেন তার তথ্য প্রমাণ সহকারে আসতেছে পরবর্তী সংখ্যা।