নারায়ণগঞ্জ  ফতুল্লা ইউনিয়ন  ভূমি অফিসের নায়েব কাজী মাহমুদের বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্য ও সীমাহীন দূর্নীতির অভিযোগ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি  : নারায়ণগঞ্জ জেলায় ফতুল্লা উপজেলার ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব কাজী মাহমুদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়ম দুর্নীতি ও একাধিক ঘুষ বাণিজ্যর অভিযোগ উঠেছে।


বিজ্ঞাপন

নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা ইউনিয়ন  ভূমি অফিসের অন্তর্গত সকল সম্পত্তি উচ্চমাত্রার দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নায়েব সাহেব ও তার সহযোগী চক্ররা মিলে দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির রাম রাজত্ব চালাচ্ছে নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লা ইউনিয়ন ভূমি অফিসটিতে।


বিজ্ঞাপন

তাছাড়া এই ইউনিয়নের মৌজা অনলাইনে খাজনা কার্যক্রম চালু হয়েছে বাকি মৌজা এখনো পর্যন্ত অনলাইনের আওতায় আসে নাই। আর এই সুযোগটাই সে কাজে লাগিয়ে একাধিক দালাল চক্রের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের অর্থ।


বিজ্ঞাপন

একাধিক সুত্রে জানা গেছে, ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা কাজী মাহমুদ অফিসটিকে দুর্নীতির স্বর্গরাজ্য করে গড়ে তুলেছেন। খাস সম্পত্তি আদালতের রায় পাওয়ার পরেও মোটা অংকের অর্থ দাবি করে না পাওয়ায় মিউটেশনের তদন্ত রিপোর্ট আটকে রাখা সহ বিলান সম্পত্তি ভাঙ্গা দেখিয়ে ৪০০ টাকার খাজনা ৬০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিচ্ছেন এই নায়েব। একাধিক স্বল্প টাকার খাজনা মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ আছে।

নায়েবের দাবিকৃত অর্থ কেউ দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাদের সম্পতি পূর্বের অনেকদিনের খাজনা বাকি আছে সম্পত্তি খাস খতিয়ানে ছিল এ ধরনের বিভিন্ন তালবাহানা করে ঘুরাতে থাকে। একই ওয়ারিশের সম্পত্তি একাধিক মালিক থাকলেও একজন খাজনা দিতে আসলে তার কাছ থেকে টোটাল সম্পত্তির খাজনা কেটে নেওয়া হচ্ছে এরকম একাধিক হতদরিদ্র পরিবারের সদস্যরা টাকার অভাবে খাজনা দিতে না পেরে দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বর্তমান সরকার শতভাগ অনলাইনে খাজনা কার্যক্রম চালু করলেও এখানে দেখা যাচ্ছে তার ব্যতিক্রম ভূমি অফিসের মধ্যে নগদ অর্থের ছড়াছড়ি হাতে কাটা দাখিলা দেয়া হচ্ছে দেদারসে।

তাছাড়া এ ভূমি অফিসে ২জন আউটসোর্স এর মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালনা করা হয় এদের দিয়েই এই ঘুষ বাণিজ্য গুলো নায়েব সাহেব করে থাকে, তার ভিতর একজনের নাম বাবু।

ভূমি অফিসে একজন বয়স্ক  লোক সে কোন লেখাপড়াই জানে না অথচ অফিসের প্রত্যেকটি ফাইল নিয়ে নাড়াচাড়া করা সহ সমস্ত দালাল চক্র নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। ইতিমধ্যেই সরকারিভাবে ঘোষণা হয়েছে কোন ভূমি অফিসে আউটসোর্স দিয়ে কাজ করানো যাবে না এখানে তার ব্যতিক্রম।

নায়েব সাহেবের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় অত্র ভূমি অফিসটিতে প্রায় ৪৫টি মিউটেশন মামলার রিপোর্ট পেন্ডিং অবস্থায় আছে। তিনি বলেন অতিরিক্ত কাজের চাপের কারণে এগুলো দিতে একটু বিলম্ব হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায় এই নায়েব সাহেব দালাল চক্রের মাধ্যমে কন্ট্রাকে নামজারী করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেয়। গোপন সূত্রে জান যায় এসকল ঘুস বাণিজ্য তিনি সুকৌশলে তার অফিস সহায়ক ও আউটসোর্স কর্মচারীদের দিয়ে করিয়ে আসছেন।

কেউ ঘুস না দিয়ে নামজারীর রিপোর্ট করাতে পারেনা সেবা গ্রহীতাদের তাই বাধ্য হয়ে ঘুস দিয়ে নামজারীর রিপোর্ট করাতে হয় এ ধরনের অভিযোগ আছে একাধিক ভুক্তভোগীর।
এ ভূমি অফিসে সেবা গ্রহীতাদের এমন অভিযোগের ভিত্তিতে সম্প্রতি সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে।

এ সময় বেশ কজন সেবা গ্রহীতার সাথে কথা বলে জানা গেছে , ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নামজারীর রিপোর্ট প্রস্তুতের জন্য সেবা গ্রহীতাদের কাছ থেকে ০৮ (আট) হাজার থেকে ২৫ (পঁচিশ) হাজার টাকা পর্যন্ত নিচ্ছেন আউটসোর্সে কাজ করা বাবু ও নাম না জানা এক মুরব্বি দালাল বলে খ্যত আর তাদের থেকে ইউনিয়ন ভূমি অফিসের নায়েব কাজী মাহমুদ বিভিন্ন গ্রাহকের কাছ থেকে নগদ অর্থ নেওয়ার সময় এ প্রতিবেদক ছবি তোলে যার জন্য ওই প্রতিবেদকের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে বিভিন্ন ধরনের গালিগালাজ ও মামলায় ফাঁসানোর হুমকি প্রদান করেন।

সুকৌশলে এই অবৈধ কর্মকান্ড চালাচ্ছে এই ভুমি কর্মকর্তা কাজী মাহমুদ। এদিকে খাজনা না দিতে পারায় হতদরিদ্র, অসহায় ও খেটে খাওয়া মানুষ এখন নাজেহাল হয়ে পড়েছে।আজ এই এলাকার অসহায় মানুষগুলো সরকারি বিনামূল্যে সেবা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আমাদের এই সোনার বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলা গুলোতে নিয়োজিত সরকারি উদ্বতন কর্মকর্তারা যতদিন পর্যন্ত তাদের অফিসারদের অপরাধ গুলোকে বিশেষ মনিটরিংয়ের মাধ্যমে পরিচালনা না করবেন ততদিন দেশের জনগণ অনিয়ম ও দুর্নীতির বেড়াজাল থেকে পরিপূর্ণ মুক্তি পাবে না।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *