নিজস্ব প্রতিবেদক : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা কুতুবপুরের শাহী মহল্লা আমতলা এলাকায় শাহী মদিনা জামে মসজিদ এর হাফেজ নিয়োগের আলোচনায়, মসজিদের সাধারণ সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক, আনোয়ার হোসেন ইমরান, আওয়ামী দোসরদের দ্বারা হেনস্থার শিকার হয় বলে জানায় কুতুবপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীবৃন্দ এবং স্থানীয় বিএনপি’র নেতা কর্মীবৃন্দ।

এ ব্যাপারে আনোয়ার হোসেন ইমরান প্রতিবেদককে বলেন, আমি শাহী মদিনা মসজিদে দীর্ঘ সময় ধরে আর্থিক অনুদান দিয়ে আসছি। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে আমি উক্ত মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

এই মসজিদের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে, আসন্ন রমজান উপলক্ষে হাফেজ নিয়োগের উদ্দেশ্যে ১৬ ফেব্রুয়ারী মসজিদে একটি মিটিংয়ে গেলে উক্ত মসজিদের সভাপতি ওয়াহাব মিয়ার ছেলে নাসির ও হোসেন আওয়ামী দোসরদের নিয়ে আমার সাথে এবং মসজিদে থাকা ইমাম সাহেব সহ পাঁচ মসজিদের ইমাম সাহেবদের সাথেও খারাপ ব্যবহার করে।
বিষয়টি জেনে স্থানীয় বিএনপি’র সকল নেতাকর্মী বৃন্দ প্রতিবাদ জানায় এবং পরের দিন ১৭ ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার বাবুল মিয়া, নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন সানি এবং এলাকার মুরুব্বীদের সাথে নিয়ে বিষয়টির সমাধান করতে গেলে, তারা মেম্বার সাহেব এবং মুরুব্বীদের সামনেই পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী, ৫ ই আগস্ট এর আগে যারা আওয়ামী লীগ করেছে এবং মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল তাদেরকে সাথে নিয়ে, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
আমার হাতে থাকা দুইটি স্মার্ট ফোন, যার মূল্য ৮০ হাজার টাকা, একটি বেসলাইট যার মূল্য ১ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা, গলার চেইন যার মূল্য ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা, এবং নগদ পকেটে থাকা ২০হাজার টাকা জোরপূর্ব নিয়ে যায়। উক্ত ঘটনার সাথে জড়িত ছিল, নাসির, হোসেন, উভয় পিতা-ওহাব মিয়া, ফয়সাল, পিতা-নুরুল হক, অনিক, পিতা- অজ্ঞাত, হৃদয়, পিতা- অজ্ঞাত, ওহাব মিয়া, পিতা- অজ্ঞাত, নাঈম, পিতা- শহীদ, সুমন, পিতা- আসলাম মোল্লা, রাজিব, পিতা-রমু, ফয়সাল, পিতা-অজ্ঞাত, রনি, পিতা-অজ্ঞাত সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৭/৮ জন। উক্ত বিষয়ে আমি থানায় ১টি অভিযোগ দায়ের করি। যাহা তদন্তাধীন রয়েছে। শুধু তাই নয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে, ১০ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে আমাকে যেকোন মূল্যে ক্ষতি করবে বলে।
উক্ত বিষয় জেনে, আমার মৎস্যজীবী দলের নেতাকর্মীবৃন্দ এবং কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মী বৃন্দ তীব্র প্রতিবাদ জানায়।
ঘটনা স্থলে থাকা সাধারণ জনগণের মাধ্যমে জানা যায়, কুতুবপুর ইউনিয়ন ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার বাবুল মিয়া এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফারুক হোসেন সানি পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করলেও, তাদের সামনেই আমতলা শাহী মদিনা মসজিদের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন ইমরানের উপর মসজিদটির সভাপতি ওহাব মিয়ার ছেলের নাছির, হোসেন ও ওয়াহাব মিয়া আওয়ামী লীগের ক্যাডার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ীদের সহযোগিতায় এই ঘটনায় ঘটায়।
উক্ত ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক বিবৃতির মাধ্যমে, এলাকার সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কুতুবপুর ইউনিয়ন পরিষদ ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ বাবুল মিয়া শাহি মদিনা জামে মসজিদের কমিটি বিলুপ্ত করেন।
জানা যায়, উক্ত ঘটনার পর ওহাব মিয়া গং ও ১ টি অভিযোগ, মামলা করার উদ্দেশ্যে থানায় দায়ের করেন।
জানা যায়, ওহাব পন্থির গ্রুপ, আওয়ামী লীগের দোসরদের সার্বিক সহযোগিতায়, কুতুবপুর ইউনিয়নের বিএনপির নেতাকর্মীদের জড়িয়ে ১৭ই ফেব্রুয়ারি মিথ্যা মামলা দেওয়ার প্রচেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়।