
পীর ছাহেব কেবলা পীর ভাই ও মুহিব্বীনদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেন- ছারছীনা দরবার আপোষহীন দরবার। বর্তমানে একদল লোক ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়, তাদের থেকে আমাদের সকলকে দূরে থাকতে হবে। ইসলাম নাম দিয়ে একদল লোক ইসলামকে ধ্বংসের পাঁয়তারা করছে, তাদের কাছ থেকে আমাদের ঈমান ও আমল হেফাজত করে আত্মশুদ্ধি অর্জন করতে হবে। মনে রাখতে হবে আমরা আল্লাহর নিকট দায়বদ্ব। কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর জন্য নয়, জীবনকে উৎসর্গ করতে হবে একমাত্র আল্লাহর জন্য।গতকাল বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলাধীন আমড়াগাছিয়া হুসাইনপুরস্থ দ্বিতীয় ছারছীনা খ্যাত খানকায়ে ছালেহিয়া কমপ্লেক্স ময়দানে তিনদিনব্যাপী ছারছীনা শরীফের মরহুম পীর ছাহেব কেবলাদের ঈছালে ছওয়াব মাহফিলের শেষ দিন বাদ জুময়া আখেরী মুনাজাতের পূর্ব আলোচনায় হযরত পীর ছাহেব কেবলা আগত লাখো লাখো মেহমানদের উদ্দেশ্যে একথা বলেন।

এছাড়াও অন্যান্যের মধ্যে আরও আলোচনা করেন- বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সিনিয়র নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মুফতি হাফেজ শাহ্ আবু বকর মোহাম্মদ ছালেহ নেছারুল্লাহ, বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নায়েবে আমীর আলহাজ্ব হযরত মাওলানা মির্জা মোঃ নূরুর রহমান বেগ, বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর নাজেমে আ’লা ও বাংলাদেশ দ্বিনীয়া মাদ্রাসা বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ মুহাঃ শরাফত আলী, বাংলাদেশ জমইয়াতে হিযবুল্লাহর সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মোঃ হেমায়েত বিন তৈয়্যেব, ছারছীনা আলিয়া মাদ্রসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোঃ রুহুল আমিন আফসারী, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-এ-নেছারিয়া দ্বিনীয়ার মুদীর মাওলানা মোঃ মাহমুদুম মুনীর হামিম, ছারছীনা আলিয়া মাদ্রাসার প্রধান মুহাদ্দিস মাওলানা মোঃ সিরাজুম মুনীর তাওহীদ, ছারছীনা দারুচ্ছুন্নাত জামেয়া-এ-নেছারিয়া দ্বিনীয়ার মুহাদ্দিস মাওলানা মোঃ মুহিব্বুল্লাহ আল মাহমুদ প্রমূখ।

পরিশেষে হযরত পীর ছাহেব কেবলা দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সার্বিক কল্যাণ ও শান্তি কামনা করে এবং বিশেষ করে এলাকার মুর্দেগাণদের রূহের মাগফিরাত কামনা করে তিনদিনব্যাপী মাহফিলের আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন। এ সময় লাখো লাখো মুসল্লিদের আমীন আমীন ক্রন্দনে এক ভারাক্রান্ত পরিবেশের সৃষ্টি হয়। আখেরী মুনাজাত ও জুময়ার নামাজে অংশগ্রহণ করতে আশ-পাশের জেলাসমূহ হতে তিনদিনপর্যন্ত রিজার্ভ বাস, ট্রলার, মাহিন্দ্রা সহ অসংখ্য যানবাহনে লাখো লাখো মুসুল্লি উপস্থিত হয়। প্রায় আধাঘন্টাব্যাপী মুনাজাতের শেষে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়কের উভয় পার্শ্বে কিলোমিটার পর্যন্ত যানজট লেগে যায়।