বিশেষ প্রতিবেদক : মোঃ কামাল উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব, বাংলাদেশ সরকার যিনি ২০১৪ সালের ভোটার বিহীন বিতর্কিত নির্বাচনকালীন সময়ে মাদারীপুরের জেলা প্রশাসকের দায়িত্ব নিয়োজিত ছিলেন, ব্যালট পেপার কাটা ডিসিদের মধ্যে অন্যতম একজন। ২০১৮ সালের রাতের ভোটের নির্বাচনকালীন সময়ে নির্বাচন কমিশনে রাতের ভোটের কারিগর হিসাবে দায়িত্ব পালন করে ফ্যাসিবাদী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম সহযোগীর ভূমিকা পালন করেছেন। তার অতীত কর্মজীবন প্রশ্নবিদ্ধ। কর্মক্ষেত্রের প্রতিটি এলাকায় বুদ্ধিভিত্তিক অনাচারের জনক হিসাবে জনমনে অশান্তি তৈরী, অমানবিক আচরণসহ বিস্তর আর্থিক দূর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে।

সর্বশেষ সরকারী নির্দেশনা অবমাননা করে অনুপস্থিত রয়েছেন সরকারী দায়িত্ব পালন হতে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে দেখা যায় তার কর্মস্থল পরিচালক পদ মর্যাদায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনে। খোঁজ নিয়ে জানাগেছে ৮জানুয়ারি হতে তিনি বিসিকে কোন দায়িত্ব পালন করছেন না। বিসিক ওয়েবসাইটে তার অবস্থান অনুপস্থিত। তার এ ধরনের আচরণ সরকারী কর্মচারী চাকরি আইন ২০১৮ এবং কর্মচারী আচরণ ও শৃংখলা বিধি-২০১৮ এর সংশ্লিষ্ট ধারার বিধান অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একজন উচ্চপদস্থ সরকারী কর্মচারী প্রচলিত আইনের অবমাননা করে বেতন ভাতা গ্রহণ সহ অন্যান্য সুবিধাদি ভোগ করছেন জনগণের দেয়া ট্যাক্সের টাকায়।

িবিসিক ওয়েবসাইটে প্রকাশিত পর্ষদ সভার সদস্যদের তালিকা অনুযায়ী দেখা যায় চেয়ারম্যান পদে কর্মরত আছেন মোঃ সাইফুল ইসলাম, যিনি সরকারের একজন অতিরিক্ত সচিব, পরিচালক (প্রশাসন), পরিচালক (অর্থ) এবং পরিচালক (শিল্প উন্নয়ন সম্প্রসারণ) পদে কর্মরত আছেন কাজী মাহবুবুর রশীদ, যিনি সরকারের একজন উপ-সচিব, পরিচালক (প্রকৌশল ও প্রকল্প বাস্তবায়ন) পদে কর্মরত আছেন মোঃ আব্দুল মতিন, যিনি সরকারের একজন উপ-সচিব, পরিচালক (দক্ষতা ও প্রযুক্তি) পদে কর্মরত আছেন মোঃ সহিদুজ্জামান, যিনি সরকারের একজন উপ-স্বচিব, পরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) পদে কর্মরত আছেন রাজিব আহমদ, যিনি সরকারের একজন উপ-সচিব, পরিচালক (বিপণন, নকশা কা রুশিল্প) পদে কর্মরত আছেন খন্দকার মুঃ মুশফিকুর রহমান।
সর্ব শেষ জানাগেছে,মোঃ কামাল উদ্দিন বিশ্বাস বিসিকের পরিচালকের পদে কর্মরত নেই। তিনি গ্রেফতার এড়াতে কোথাও পলাতব আছেন। তার প্রকৃত অবস্থান জানা অতি প্রয়োজন। ফ্যাসিবাদের দোসর হিসাবে তাকে আইনের আওতায় এনে বিচার করা প্রয়োজন বলে মনে করেন সুশীল সমাজ। ব্যবস্থা নেয়ার দায়িত্ব শিল্প এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের।