রাজধানীর উত্তরখানে কৃষকলীগ নেতা সোহরাব হোসেন বাবুলের বিরুদ্ধে ৩৩ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ 

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সংগঠন সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  রাজধানী, উত্তরখান থানার মাস্টারপাড়া (শাহী মসজিদ এলাকা) এলাকায় কৃষকলীগ নেতা মোঃ সোহরাব হোসেন বাবুল ও তার সহযোগী স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আদম আলীর বিরুদ্ধে জমি বিক্রির নামে ৩৩ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে।


বিজ্ঞাপন

ভুক্তভোগী মোঃ রফিকুল ইসলাম (৩৭), পিতা- মৃত নুরুল আমিন, পল্লবী, ঢাকা, গত ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং সালে উত্তরখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে, সোহরাব হোসেন বাবুল তার সাততলা বাড়ি ও ৪৯ শতাংশ জমি বন্ধক রেখে আইএফআইসি ব্যাংক উত্তরা শাখা থেকে হোম লোন ও পিওডি লোন গ্রহণ করেন। অর্থনৈতিক সংকটের কারণে লোন পরিশোধ করতে না পারায়, তিনি ১৩.২০ শতাংশ জমি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেন।


বিজ্ঞাপন

রফিকুল ইসলাম জানান, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ইং সালে ব্যাংকে বসে ৩০০ টাকার নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে একটি বায়না চুক্তি সম্পন্ন হয়। ব্যাংকের পরামর্শে উভয় পক্ষ নিজ নামে দুটি নতুন হিসাব খোলে এবং সেখানে রফিকুল ইসলাম সেটন স্টার লিমিটেডের সিটি ব্যাংক, পল্লবী শাখা থেকে দুইটি চেক প্রদান করেন—একটি ২২ লক্ষ টাকার (চেক নং- ৫৩৮৬২৬২) এবং অন্যটি ৬.৫ লক্ষ টাকার (চেক নং- ৫৩৮৬২৬৩)। এছাড়াও তিনি নগদ ১.৫ লক্ষ টাকা দেন। পরবর্তীতে ১৪ জানুয়ারি ২০২৫ ইং সালে আরও ২ লক্ষ টাকা এবং ২১ জানুয়ারি ২০২৫ ইং সালে ১ লক্ষ টাকা পরিশোধ করেন। সর্বমোট ৩৩ লক্ষ টাকা দেওয়ার পরেও জমির মালিকানা পাননি।


বিজ্ঞাপন

বায়না চুক্তি অনুযায়ী, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং সালের মধ্যে জমি রেজিস্ট্রি করার কথা থাকলেও, চলতি বছরের ৪ ফেব্রুয়ারি,   সোহরাব হোসেন বাবুল জানিয়ে দেন যে, তিনি জমি বিক্রি করবেন না। এরপর তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা আদম আলীর সহযোগিতায় রফিকুল ইসলামকে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি ও হুমকি দিতে থাকেন। এমনকি, নারী নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার ভয় দেখিয়ে তাকে দমন করার চেষ্টা চালানো হয়।

রফিকুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, “সোহরাব হোসেন বাবুল ও আদম আলী দুজনই দাঙ্গাবাজ, প্রতারক ও সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। আমি আমার জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি এবং আমার অপূরণীয় ক্ষতির আশঙ্কা করছি।”

ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম আরও জানান, তিনি নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ ইং সালে উত্তরখান থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন, যাতে প্রতারকচক্রের বিচার হয় এবং তিনি ন্যায্য অধিকার ফিরে পান।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *