বিশেষ প্রতিবেদক : সুনামগঞ্জের নবাগত পুলিশ সুপার হিসাবে পদায়ন করা হয়েছে তোফায়েল আহম্মেদকে। তোফায়েল আহম্মেদ এর পুর্বে পুলিশ সুপার হিসেবে খুলনায় (এ্যাডমিনিষ্ট্রেশন এন্ড ফিন্যান্স) রেঞ্জ ডিআইজির কার্যালয়ে দায়িত্বরত ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের দায়িত্বশীল সুত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ হেডকোয়ার্টারের দায়িত্বশীল সুত্র জানায়, মঙ্গলবার (৪ মার্চ) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহাবুর রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জনস্বার্থে এক প্রজ্ঞাপনে সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার পদে ব্যাচ (বিসিএস ২৪) তোফায়েল আহম্মেদকে পদায়ন করা হয়। অন্যদিকে একই প্রজ্ঞাপনে সুনামগঞ্জের সদ্য প্রত্যাহারকৃত বিতর্কিত পুলিশ সুপার আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান (বর্তমানে পুলিশ অধিদপ্তরে রিপোর্টকৃত) তাকে পুলিশ অধিদপ্তর ঢাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে।

একই প্রজ্ঞাপনে সুনামগঞ্জের সদ্য প্রত্যাহারকৃত বিতর্কিত পুলিশ সুপার আফ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান সহ চার পুলিশ সুপার ব্যাতিত দেশের ১৪ জেলায় ১৪ জন নতুন পুলিশ সুপার (এসপি)কে পদায়ন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সদ্য প্রত্যাহারকৃত বিতর্কিত পুলিশ সুপার ব্যাচ (বিসিএস ২৪) আ.ফ.ম আনোয়ার হোসেন খান ২০২৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার পদে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই তিনি নিজস্ব সিন্ডিক্যাচ তৈরী করে পুরো জেলার ঘুসের হাট খুলে বসেন।
পোষ্টিং বাণিজ্য, মামলা, গ্রেফতার বাণিজ্য, সীমান্ত চোরাচালান, খনিজ বালি পাথর সমৃদ্ধ সীমান্ত নদী কোটি কোটি টাকার ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ চুরিতে সহযোগিতা করে দু. হাতে কামাতে থাকেন কোটি কোটি টািকা। নিরীহদের মামলা, গ্রেফতার ভয় ভীতি দেখিয়ে নিজের অবৈধ আয় রোজগারের পথ প্রসারিত করতে থাকেন।
এসব কান্ডে পুলিশ বাহিনীর ভাবমুর্তি ক্ষুণ্য হলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার নির্দেশে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স ডিআইজি (প্রশাসন) কাজী মোহাম্মদ ফজলুল করিমের স্বাক্ষরিত এক আদেশে গত (১৭ ফেব্রুয়ারি) আনোয়ার হেগাসেন খানকে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপারের পদ থেকে প্রত্যাহার করা করে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে সংযুক্ত করা হয় ।
আনোয়ার হোসেন বর্তমানে পুলিশ অধিদপ্তরে রিপোর্টকৃত এবং তাকে পুলিশ অধিদপ্তর ঢাকায় সংযুক্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে এবং তার সময়কালে সুনামগঞ্জ জেলার ডিবির ওসি, জেলার তাহিরপুর, সদর, ছাতক, বিশ্বম্ভরপুর, দিরাই, জামালগঞ্জ, দোয়ারাবাজার, মধ্যনগর সহ বিভিন্ন থানায় পোষ্টিং দেয়া ওসি, এসআই, এএসআই, কনস্টেবল, বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, টেকেরঘাট অস্থায়ী পুরিশ ক্যাম্প’র দায়িত্বরত পুরিশ অফিসারদের পোষ্টিং বেপরোয়া ঘুস বাণিজ্যের বিষয়ে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সসহ একাধিক রাষ্ট্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা, দুদকের গোপন তদন্ত চলমান রয়েছে বলেও পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের দায়িত্বশীল সুত্র গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।