ব্যাংক কর্মকর্তা অনুজ দাশের নির্দেশে প্রতারক মোস্তফা ও সাইদুল গংরা সরকারি উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী মাস্তান দিয়ে ফরিদুল আলম কে অপহরণের চেষ্টা

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  :  ব্যাংক কর্মকর্তা অনুজ এবং প্রতারক মোস্তফা ও সাইদুল গংরা সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের নাম ভাঙিয়ে সন্ত্রাসী মস্তানদের দিয়ে ফরিদুল আলমকে অপহরণের অভিযোগ তুলেছেন ভূক্তভোগি ফরিদুল আলম। ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা হচ্ছেন চট্টগ্রাম বিভাগের জেলা প্রশাসকের ছোট ভাই অন্য জন চট্টগ্রাম জেলা দায়রা জজ আদালতের কর্মকর্তা পরিচয় দেন। তাদের নাম ভাঙ্গিয়ে সাইদুল অনুজদের পক্ষে দুইজন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীর নাম আলোচনায় উঠে এসেছে। ওই ব্যক্তিদের নাম সনাক্তকরণের জন্য মোবাইল ডাটাবেজ সংগ্রহ প্রক্রিয়াধীন আছে।


বিজ্ঞাপন

মোস্তফা সাইদুল এর সাথে থাকা সন্ত্রাসীরা উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা পরিচয় দিয়ে ফরিদুল আলম কে চট্টগ্রামের নিজ বাসার সামনে থেকে তার ছেলেসহ দুইজনকেই অপহরণের চেষ্টা চালিয়ে স্থানীয়দের প্রতিরোধের মুখে পড়েছে। ওই প্রতারক চক্রের মূল পরিকল্পনাকারী মোস্তফা,অনুজ, সাইদুলের বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগে ঢাকা সিএমএম আদালতে একটি অপহরণ মামলা করেন ফরিদুল আলম। ওই মামলা তুলে নিতে চাপ প্রয়োগ করে আসছিল এ চক্রটি। ফরিদুল আলম কে বাগে আনতে না পেরে নতুন করে সন্ত্রাসী ব্যবহার করছেন চক্রটি।এ চক্রের অর্থের যোগান দাতা ব্যাংক কর্মকর্তা অনুজ দাশ। অনুজ দাশ এর ব্যাংক দুর্নীতির অনুসন্ধান অব্যহত রয়েছে।


বিজ্ঞাপন

জানা গেছে গত বছর ২ ডিসেম্বর প্রথম শ্রেণীর ঠিকাদার ফরিদুল আলমকে ৬২/৬৩ আমিনার্সপাল মিরপুর বড়বাগের বাসা থেকে অপহরণ করে ইব্রাহিমপুর মাঠে নিয়ে শারীরিক নির্যাতন ,উলঙ্গ ছবি, সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নিয়েছেন অপহরণকারী চক্রটি। ওই ঘটনায় ফরিদুল আলমকে পুরোপুরি মিশন পরিচালনা করে মেরে ফেলতে ব্যর্থ হয়ে তাদের অপতৎরতা এখনো সক্রিয় রয়েছে। ওই ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার নিজ বাসা থেকে তুলে নেওয়ার জন্য দুইজন ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী জড়িত থাকার অভিযোগ করেছেন ফরিদুল আলম। ওই সন্ত্রাসী চক্রটি সরকারি উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়েছে। ঘটনার সময় চট্টগ্রামের স্থানীয়দের তোপের মুখে পড়ে মিশন পরিচালনায় ব্যর্থ হলে হুমকি ও ভয়-ভীতিসহ পরবর্তীতে সুযোগ পেলে জীবনে শেষ করে দিবেন বলে স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে।


বিজ্ঞাপন

এসব বিষয় জানতে চাইলে ফরিদুল আলম গণমাধ্যমকে জানান , প্রতারক মোস্তফা, ব্যাংক কর্মকর্তা অনুজ, সাইদুল আমার অপহরণ মামলার আসামি। ইতোপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করলে ব্যাংক কর্মকর্তা অনুজ দাশ এর চাকরি যাওয়ার ভয়ে মামলা তুলে নিতে চাপ দিয়ে আসছিল। আমাকে বাগে আনতে না পেরে নতুন করে সন্ত্রাসী লেলিয়ে আবারো ছেলেসহ দুইজনকেই অপহরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমি এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *