প্রধান প্রকৌশলী, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও নির্বাহী প্রকৌশলীদের সমন্বয়ে গঠিত গণপূর্তের ‘মাফিয়া’ চক্রের ১২ সদস্য ফাঁসছেন দুদকের জালে

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

!!  অভিযোগের নথিতে বলা হয়েছে, খোদ সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং শরীফ আহমদ বিতর্কিত এসব ঠিকাদারের মদতদাতা হিসাবে কাজ করেছেন। টেন্ডার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ ও রূপপুরের বালিশকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলব হিসাবে সামনে আসছে শ ম রেজাউলের নাম। একই অভিযোগ-সাবেক মন্ত্রী শরীফ আহমেদের বিরুদ্ধে। টেন্ডার মাফিয়াদের সহায়তা ও গণপূর্তের বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গণপূর্তের সাবেক ও বর্তমান অনেক কর্মকর্তা মন্ত্রীদের ম্যানেজ করেই নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই মামলা হলেও দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন। যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে তারা হলেন-সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন (বর্তমানে-প্রেষণে প্রকৌশল ও সমন্বয়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষে কর্মরত), অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মঈনুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একেএম সোহরাওয়ার্দী, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন (বরখাস্ত হয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া পলাতক), সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফজলুল হক মধু, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহমেদ ও সাবেক সিনিয়র সহকারী প্রধান মুমিতুর রহমান   !!


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিবেদক  ;  গণপূর্ত অধিদপ্তরের ‘মাফিয়া’ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অনুসন্ধানে অধিদপ্তরের সাবেক ও বর্তমান অনেক প্রকৌশলীর বিপুল সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের টেন্ডার মাফিয়া চক্রের সঙ্গে অনিয়ম-দুর্নীতিতে জড়িয়ে তারা হাতিয়েছেন হাজার হাজার কোটি টাকা। দুর্নীতির মাধ্যমে উপার্জিত এ অর্থে দেশে-বিদেশে সম্পদের পাহাড় গড়েছেন।


বিজ্ঞাপন

সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলেও গণপূর্তের মহাদুর্নীতিবাজ অনেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনুসন্ধান টিম গঠন হয়েছে। কিন্তু প্রভাবের কারণে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই অভিযুক্তদের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এবার দুদক ‘ম্যানেজ’ না হলে সংস্থাটির জালে আটকা অন্তত এক ডজন প্রকৌশলী ফেঁসে যাবেন। দুর্নীতিবাজ প্রকৌশলীদের মদতদাতা হিসাবে পরিচিত সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম ও শরীফ আহমেদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই মামলা করেছে দুদক। সংস্থাটির ভেতর ও বাইরের সমর্থিত একাধিক সূত্রে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।


বিজ্ঞাপন

দুদক থেকে প্রাপ্ত নথিতে দেখা গেছে, যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা সবাই ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গড়ে ওঠা আলোচিত টেন্ডার মাফিয়া চক্রে জড়িত। এদের মধ্যে গণপূর্তের টেন্ডার ‘ডন’ জিকে শামীম, রাজউক-গণপূর্তের প্লট বাণিজ্যের হোতা ও সোনা চোরাকারবারি গোল্ডেন মনির এবং বালিশকাণ্ডের ‘নায়ক’ সাজিন এন্টারইজের কর্ণধার শাহাদত হোসেনসহ বিতর্কিত অনেক ঠিকাদারের সঙ্গে এসব প্রকৌশলীর যোগসাজশ ছিল।

অভিযোগের নথিতে বলা হয়েছে, খোদ সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এবং শরীফ আহমদ বিতর্কিত এসব ঠিকাদারের মদতদাতা হিসাবে কাজ করেছেন। টেন্ডার সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণ ও রূপপুরের বালিশকাণ্ডের নেপথ্যের কুশীলব হিসাবে সামনে আসছে শ ম রেজাউলের নাম। একই অভিযোগ-সাবেক মন্ত্রী শরীফ আহমেদের বিরুদ্ধে। টেন্ডার মাফিয়াদের সহায়তা ও গণপূর্তের বদলি বাণিজ্যের মাধ্যমে তারা শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। গণপূর্তের সাবেক ও বর্তমান অনেক কর্মকর্তা মন্ত্রীদের ম্যানেজ করেই নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিলেন। মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই মামলা হলেও দুর্নীতিতে জড়িত কর্মকর্তারা এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে আছেন।

যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান চলছে তারা হলেন-সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম, শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন (বর্তমানে-প্রেষণে প্রকৌশল ও সমন্বয়, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষে কর্মরত), অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মঈনুল ইসলাম, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একেএম সোহরাওয়ার্দী, সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন (বরখাস্ত হয়ে বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া পলাতক), সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফজলুল হক মধু, সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ইলিয়াস আহমেদ ও সাবেক সিনিয়র সহকারী প্রধান মুমিতুর রহমান।

দুদক কমিশনার (তদন্ত) মিঞা মুহাম্মদ আলি আকবার আজিজী বলেন, সরকারি দপ্তরগুলোকে দুর্নীতিমুক্ত করা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সরকারি বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে। টিমের প্রতিবেদন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার :  দুদক থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, গোপালগঞ্জ কোটালীপাড়ার বাসিন্দা গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার। অভিযোগ আছে-ক্ষমতাধর এই কর্মকর্তা রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রের কেনাকাটা দুর্নীতিতে জড়িত। তিনি আলোচিত বালিশকাণ্ডের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সাজিন এন্টারপ্রাইজকে অতিরিক্ত দরে কেনাকাটার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। পরে তার ইশারায় লিখিত তদন্ত প্রতিবেদন গায়েব করে নিরীহ কর্মকর্তাদের ফাঁসিয়ে রাঘববোয়ালদের মুক্তি দেওয়া হয়। রাজউক ও জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ থেকে অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে নিজ নামের পাশাপাশি ২ সন্তান, স্ত্রী-শ্যালক, শ্বশুর-শাশুড়ি, বেয়াই-বেয়াইন, এমনকি ছেলের স্ত্রীর নামে প্লট ও ফ্ল্যাট নিয়ে বিক্রি করে বহু টাকা হাতিয়েছেন। অস্ট্রেলিয়ায় বসবাসরত বড় ছেলে সৌরভের কাছে ও ছোট ছেলে ইমনের প্যারাডাইম আর্কিটেক্ট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স নামক অংশীদারী ফার্মের মাধ্যমে অর্থ পাচার করেছেন। ঢাকায় বনশ্রীতেই ৫টি প্লট আত্মীয়স্বজনের নামে ক্রয় করেছেন তিনি। এসব তথ্যের রেকর্ডপত্র সংগ্রহের কাজ করছে দুদক।

সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম ;  আরও জানা গেছে, গণপূর্ত অধিপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম রূপপুর বালিশকাণ্ডের প্রাক্কলন তৈরির সময় অস্বাভাবিক দর নির্ধারণে সরাসরি জড়িত। অভিযোগ রয়েছে-যাচাই-বাছাই করতে না দিয়ে জোরপূর্বক জুনিয়র অফিসারদের দিয়ে তাৎক্ষণিক প্রাক্কলনে সই করতে বাধ্য করতেন তিনি। উত্তরা অ্যাপার্টমেন্ট প্রকল্পে টেন্ডার জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া বিপুল টাকা তিনি এইচএসবিসি ব্যাংকে কর্মরত ছেলের মাধ্যমে বিদেশে পাচার করেছেন। প্রায় একই ধরনের দুর্নীতিতে জড়িয়ে বিপুল সম্পদের মালিক হয়েছেন গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক প্রধান প্রকৌশলী শাহাদাত হোসেন।

অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন : দুদকের কাছে তথ্য আছে, মিস্টার ১৫% বলে পরিচিত গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোসলেহ উদ্দিন। তিনি বর্তমানে জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রকৌশল ও সমন্বয়) হিসাবে কর্মরত। রাজধানীর মোহাম্মদপুরের ৮০৭/১/এ বাইতুল আমান হাউজিংয়ের অভিজাত বাড়িতে তার বসবাস। তার বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া ও দুবাইতে টাকা পাচারের অভিযোগ আছে। সাজিন এন্টারপ্রাইজের শাহাদাত হোসেন এবং নভেল্টি এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী লিটুর সঙ্গে তার গোপন ব্যবসায়িক চুক্তি রয়েছে। এছাড়াও বাবর অ্যাসোসিয়েটসের ব্যবসায়িক অংশীদার গোল্ডেন মনিরের সঙ্গে যোগসাজশে বিপুল টাকা অর্জন করেছেন। এখানো তিনি বহাল তবিয়তে আছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মোসলেহ উদ্দিন গণমাধ্যম কে বলেন, ‘২০১৯-২০ সালে দুদক আমাদের অনেকের বিরুদ্ধে তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পায়নি। পরে কেবিনেট ডিভিশন চিঠি দিয়ে আমাদের সেটা জানিয়ে দেয়। নতুন করে অনুসন্ধানের কোনো তথ্য আমি জানি না।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমি অস্ট্রেলিয়ায় পড়াশোনা করেছি। এখন নিন্দুকেরা বলে অস্ট্রেলিয়ায় আমার বাড়ি আছে। আমি চাকরি জীবনে স্বচ্ছতার সঙ্গে কাজ করেছি। বাকিটা সময় মান-ইজ্জতের সঙ্গে কাজ করে বিদায় নিতে চাই।’

অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মঈনুল : দুদকে আমলে নেওয়া অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মিস্টার টেন পার্সেন্ট হিসাবে পরিচিত গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মঈনুল আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নিকটাত্মীয়। তিনি হাসিনা সরকারের বিশেষ সুবিধাভোগীদের অন্যতম। দুই বছরের বৈদেশিক ছুটি নিয়ে ১০ বছর অননুমোদিতভাবে বিদেশ থাকায় তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। কিন্তু আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর প্রভাবে চাকরিতে পুনর্বহাল হন। এলাকায় নামে-বেনামে ২০০ একরের বেশি সম্পদ কিনেছেন তিনি। বিদেশে পাচার করেছেন বিপুল পরিমাণ অর্থ। গণপূর্ত সার্কেল-৪ এর তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী একেএম সোহরাওয়ার্দী সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলামের ক্যাশিয়ার এবং পোস্টিং বাণিজ্যের হোতা। টানা ১৬ বছর ঢাকায় থেকে গুলশান, ধানমন্ডি, বনানী এবং উত্তরার মতো অভিজাত এলাকায় নামে-বেনামে একাধিক প্লট ও ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছেন।আরও অভিযোগ আছে-গণপূর্ত মেট্রোপলিটন জোনের সাবেক অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী প্রদীপ কুমার বসু গোল্ডেন মনিরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। তিনি বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব চক্ষু হাসপাতাল নির্মাণ কাজে দুর্নীতির দায়ে বরখাস্ত ও দণ্ডপ্রাপ্ত।

সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ রোকনউদ্দিন : সাবেক তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোহাম্মদ রোকনউদ্দিন (বরখাস্ত) বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ায় পলাতক। সাবেক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুলের ডানহাত রোকন বাগেরহাটের নির্বাহী প্রকৌশলী থাকতেই শতকোটি টাকার মালিক বনে যান। জিকে শামীমকে এনবিআর ভবন ও নিউরো সায়েন্স ভবনের কাজ পাইয়ে দেন রোকন। অভিযোগ আছে-রোকন তার স্ত্রীর নামে অস্ট্রেলিয়ার সিটি সেন্টারে ২৫টি দোকান, সিডনিতে মেয়ের নামে সিএনজি স্টেশন (মালিক স্ত্রী), বিলাসবহুল বাড়ি ও ১৫টি দোকান ক্রয় করে স্ত্রীর মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন। মাদারীপুরের কালকিনিতে আলিশান বাংলোবাড়ি, ধানমন্ডিতে ২৫ কোটি টাকার সুবিশাল ফ্ল্যাট রয়েছে।

সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ :  গণপূর্ত অধিদপ্তরের সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ শওকত উল্লাহ সবশেষ হাসিনা সরকারের অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসেকা রহমানের পিএস ছিলেন। এর আগে টানা নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী হিসাবে ১২ বছর চাকরি করে অবৈধভাবে উপার্জন করেছেন অন্তত দেড় হাজার কোটি টাকা। ঢাকায় ধানমন্ডি, লালমাটিয়া, গুলশান ও বনানীতে তার নামে-বেনামে ফ্ল্যাট রয়েছে। পূর্বাচলে আছে ১০টি প্লট, ৫ বিঘা জমি (রাজউকের এরিয়ার পাশেই) এবং চট্টগ্রামে বিপুল জমি ও আলিশান বাংলোবাড়ি।

তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফজলুল হক মধুর :  তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফজলুল হক মধুর বিরুদ্ধে অভিযোগ-তিনি কাজ না করিয়েই নিউরো সায়েন্স হাসপাতাল নির্মাণ প্রকল্পে ১০ দশমিক ৫ কোটি টাকার বিল দিয়ে দেন জিকে শামীমকে। তদন্তে তা প্রমাণিত হলেও প্রভাবশালীদের তদবিরে তাকে লঘুদণ্ড হিসাবে বেতনের এক ধাপ নিু পদে অবনমন করা হয়। পরে পদোন্নতিসহ রাজশাহীতে গুরুত্বপূর্ণ পোস্টিং বাগিয়ে নেন।

তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদ :  তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ইলিয়াস আহমেদের বিরুদ্ধেও আছে দুর্নীতির এন্তার অভিযোগ। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তিনি বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন। একই চক্রের আরেক সদস্য গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মহিতুর রহমান। তিনি টেন্ডার সিন্ডিকেটে জড়িত ছিলেন।

জানা গেছে, দুদকের সাবেক মহাপরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেনের নেতৃত্বে গঠিত একটি দল জিকে শামীমসহ গৃহায়ণ ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের এসব সিন্ডিকেটের বিষয়ে অনুসন্ধানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ছিল। তবে সৈয়দ ইকবাল অবসর গ্রহণ এবং টিমের অপর সদস্য উপপরিচালক মো. সাইফুল ইসলাম ও উপপরিচালক মোহাম্মদ নেয়ানুল আহসান গাজী বদলি হয়ে অন্যত্র চলে গেলে অনুসন্ধান কাজ থেমে যায়। সম্প্রতি আরেকটি অনুসন্ধান দল গঠন করেছে বর্তমান কমিশন। পরিচালক মো. আব্দুল মাজেদের নেতৃত্বে অনুসন্ধান টিমে রয়েছেন উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার, সহকারী পরিচালক মাহমুদুল হাসান ভূঁইয়া, উপসহকারী পরিচালক এলমান আহাম্মদ অনি। এই টিমের প্রধান আব্দুল মাজেদের চাকরির মেয়াদ শেষের পথে। আর গুলশান আনোয়ার বদলি হয়ে গেছেন। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, প্রভাবমুক্তভাবে দ্রুত অনুসন্ধান প্রতিবেদন দাখিল করা হলে উল্লিখিত সবাই ফেঁসে যাবেন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *