মোঃ সাইফুর রশিদ চৌধুরী : গোপালগঞ্জের রঘুনাথপুর ইউনিয়নের সিঙ্গারকুল গ্রামে পূর্ব শত্রুতার জেরে আনিছুর রহমান শেখের মাদ্রাসা পড়ুয়া ছেলে আরিফ শেখকে (১১) মসজিদ থেকে ধরে নিয়ে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। যাদের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তারা হলেন একই এলাকার প্রবাসী মুরছালিন শেখ (৪৫),তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও তার শ্যালক রাসেল মুন্সী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার ৮ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৮ টায় আরিফ শেখ মসজিদে তারাবি নামাজ পড়তে গেলে মুরছালিন শেখ তাকে জোরপূর্বক পাশের একটি বাগানে নিয়ে হত্যা চেষ্টায় চালায়। আরিফের চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এলে মুরছালিন শেখ ও তার সহযোগী তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম ও শ্যালক রাশেল মুন্সি পালিয়ে যায়। জানা যায় আরিফ পারকুশলী মাদ্রাসার এক জামায়েতের ছাত্র।

এ ব্যপারে শিশু আরিফ শেখ জানায়, আমি মসজিদে জামাতে নামাজে দাঁড়িয়েছি এমন সময় মুরছালিন শেখ মসজিদ থেকে বাহিরে আসতে বললে আমি ভয়ে বের হতে চাই নাই। সে আমাকে জোর করে পাশের বাগানে নিয়ে যায়। ওখানে উপস্থিত ছিল ওনার স্ত্রী ও তার শ্যালক রাসেল মুন্সী। মুরছালিন দাদা আমার মাথায় চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কোপ দেয়। আমার দুই হাত ধরে রেখেছিল দাদি ও তার ভাই।
এ ব্যপারে ভুক্তভোগীর বাবা আনিছুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলেকে ওরা হত্যা করার উদ্দেশ্য বাগানের ভিতরে নিয়ে গিয়েছিল। মুরছালিন বিদেশে থেকে বাড়িতে এসে টাকার গরমে কাউকেই কেয়ার করছেন না। সে একজন সুদের কারবারি।
ওদের উদ্দেশ্য ছিল আমার ছেলেকে হত্যা করে ওর শ্যালকের আটোতে করে কোথাও ফেলে দেবে। মসজিদের মুসল্লিরা আমার ছেলের চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে ওরা পালিয়ে যায়। আমার শিশু ছেলেটি বর্তমানে গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। আমার ছেলেকে যারা হত্যা করতে চেয়েছে তাদেরকে অতি দ্রুত আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
এ ব্যপারে মামলার প্রস্ততি চলছে বলে ভুক্তভোগীর বাবা জানান।