
নিজস্ব প্রতিবেদক : জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরাদ্ধে চলমান কাজে ইপিজেড এলাকায় ১১ কোটি টাকা কাজের পার্টনার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম। আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এম্পি মির্জা আজমের আত্মীয় পরিচয়ে তিনি কোটি কোটি টাকার সরকারী কাজ গুলো বিভিন্ন লাইসেন্সের নামে বেনামে নিয়ে তিনি নিজেই কাজ করেন।
জানা গেছে, মাদারগঞ্জ উপজেলার সিধুলী ইউনিয়নে গ্রামে জন্ম গ্রহণ করেন মাজেদুল ইসলাম। এরপর ২০১২ সালে উপ সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে তিনি যোগদাদ করে শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলায় কর্মরত থাকেন।
অন্যদিকে মির্জা আজম গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী হওয়ায় তিনি ২০১৬ সালে জোর তদবীর করে জামালপুর বদলী নিয়ে যোগদান করেন। এরপর থেকেই তিনি শুরু করে ক্ষমতার দাপট। ভুয়া বিল বাউচার, নানারকম দুর্নীতি, অনিয়ম, স্বেচ্ছাচারিতা ও নিম্নমানের কাজের মধ্যদিয়ে প্রকল্পের শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি সমালোচিত হলে তড়ি ঘড়ি করে আবারো জোর তদবীর করিয়ে ২০১৮ সালে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী হিসেবে যোগদান করেন মাজেদুল ইসলাম।
তিনি তার নিজ এলাকা মাদারগঞ্জ এবং জামালপুর শহরে শুশুড় বাড়ী চন্দ্রা এলাকায় দীর্ঘ সাড়ে আট বছরে সীমাহীন দুর্নীতির মাধ্যমে প্রায় শত কোটি টাকার সম্পদ ও কোটি কোটি নগদ অর্থ গড়ে তুলেন। তার অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করে সঠিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন জেলার সচেতন মহল।
সিধুলী ইউনিয়নের কৃষক সলিম উদ্দিন জানান, মির্জা আজমের আত্মীয় পরিচয়ে সব চলা ফেরা করত। চাকরির পর অনেক জমি জমা ক্রয় করেছেন। ইতোমধ্যে তার দুর্নীতির কিছু আলামতও স্পষ্ঠ হতে শুরু করেছে। উপ সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম আপদ মস্তক একজন দূর্নীতিবাজ মানুষ। টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, কমিশন বাণিজ্যসহ কাজ না করে সরকারি অর্থ তসরুপের বহু অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এ নিয়ে রহস্যজনক কারনে আজ পর্যন্ত কোন তদন্ত কিংবা ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি ।
সে সব ফাইল আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে তিনি আটকে রেখেছিলেন। বর্তমানে বেশ খানিকটা ভীতির মধ্যে রয়েছে এই দূর্নীতিবাজ সহকারী প্রকৌশলী। এ কারণে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করে সরকারি দপ্তরে আটকে থাকা ফাইল গুলো যাতে নতুন করে গতি না পায় সে জন্য তৎপরতা শুরু করেছে তিনি ।
এদিকে দেওয়ানগঞ্জ ও জামালপুর সদরের নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন ঠিকাদার জানান, এদিকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজমের ভাগনী জামাই পরিচয় দিয়ে জেলার বিভিন্ন জায়গায় জনস্বাস্থ্যের কাজ গুলো তিনি নিজেই করতেন ।
এ ছাড়াও আমাদের কাজ গুলো সম্পন্ন হলেও ৩ থেকে ৫% টাকা না নিয়ে বিলে স্বাক্ষর করে না। তার টাকা না দিলে তিনি সাইডে নানা ভাবে হয়রানী করে যার কারনে আমরা দিতে বাধ্য হই । আর তা ছাড়া চলমান প্রতিটি ল্যাটিন থেকে তাকে আলাদা করে ১০০০ টাকা দিতে হয়েছে । ১০০ ল্যাট্রিনের কাজ করেছি বিল নেওয়ার সময় তাকে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে এসেছি । টাকা না দিলে তিনি বিলে স্বাক্ষর করে না । প্রতিবাদ করলে হয়রানী হতে হয়।
এদিকে রবিবার দুপুর ৩ টায় দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী মাজেদুল ইসলাম জানান, আমি দেওয়ানগঞ্জ কিভাবে কাজের পার্টনার হবো। এগুলা মিথ্যা। যে বলে তারে আমার সামনে নিয়ে আসেন বলেই তিনি এডিয়ে যান।
এদিকে জামালপুর জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো: সুলতান মাহমুদকে একাধিক ফোন দেওয়া হলে তিনি রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি ।
Post Views: 105