কক্সবাজার প্রতিনিধি : টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের উনছিপ্রাং সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার দেশীয় পন্য পাচার হলেও চোরাচালানিরা অধরায় রয়েছে। চোরাকারবারিদের রোষানলে পড়ে উনছিপ্রাং এলাকার অসহায় দুই টমটম চালক কারাভোগ করছে।

জানা যায়, গত ৭ মার্চ, ২ টি টমটম দ্বারা দেশীয় পন্য টাইগার, স্পীড, সেভেনাপ, মুড়ি,প্রাণ জুস নিয়ে হোয়াইক থেকে উনছিপ্রাং স্টেশনের জনৈক মাঈনুদ্দিন সওদাগরের দোকানে আসার পথে উনছিপ্রাং এর চিহ্নিত একটি দালাল চক্র চোরাইপন্য পাচার হচ্ছে মর্মে স্থানীয় হোয়াইক্যং ফাঁড়ির পুলিশ কে খবর দেয়।

এক পর্যায়ে তারা মোটা অংকের টাকা দিয়ে পুলিশ কে ভুল তথ্য দিয়ে মিসগাইড করে। পরে পুলিশকে ম্যানেজ করে দেশীয় পন্য গুলোকে মিয়ানমারে পাচারের মিথ্যা অজুহাত তুলে মালামাল জব্দ করে নিয়মিত মামলা রুজু করে পুলিশ।
এতে টমটম চালক গিয়াস উদ্দিন (৪০), পিতা-নুরুল কবির,মোহাম্মদ হোছন (৩৪), পিতা-নুুরুল হাসান কে আটক দেখিয়ে আব্দুর রহমান প্রঃ ডালিম (৪০), পিতা-নুরুল হক মিস্ত্রি, রমজান আলী প্রঃ লেদু (৪৩) পিতা-ঠান্ডা মিয়া, মোঃ সেলিম (৪০), পিতা-মৃত মোহাম্মদ হোছন, সর্ব সাং- উনচিপ্রাং, ০৩নং ওয়ার্ড, হোয়াইক্যং
কে পলাতক আসামী করে মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়,মোটা অংকের মিশন নিয়ে এলাকার একটি অসাধু দালাল ও চোরাচালানী চক্রের ইন্ধনে নিরীহ ২ টমটম চালককে বলির পাঠা বানিয়েছে।
উক্ত সাজানো ঘটনায় আরো ৩ জন নিরীহ চিংড়ি ব্যবসায়ীকে পলাতক আসামী করা হয়। তা নিয়ে এলাকায় জনমনে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে।
উনছিপ্রাং টমটম মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, চোরাইপন্য আটকের ঘটনায় নিরীহ দুই অসহায় টমটম চালক যথাক্রমে গিয়াস উদ্দিন, মোঃ হোছনকে অনতিবিলম্বে মুক্তি দেয়া হোক। তাদের পরিবার টমটম চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে।
তাদের পরিবার এখন অর্ধাহারে অনাহারে জীবন যাপন করছে। বিষয়টি পুলিশের উর্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।