# থেরাপিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন ভূয়া প্রমাণ হলে এখন বাইক চালক # লালসার টার্গেট প্রবাসীর স্ত্রী ও ডিভোর্সি নারী # শারীরিক সম্পর্কের পর অনৈতিক ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল #

নিজস্ব প্রতিবেদক : মোস্তফা সরদার পেশায় একজন কৃষক। পাবনা নিজ গ্রামে চাকরির প্রলোভনে একাধিক ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা হাতিয়ে পালিয়ে খুলনায় অবস্থান করে। মোস্তফা নাম পরিবর্তন করে তপন নাম দিয়ে হিন্দু পরিচয় এক এনজিও হিন্দু নারী কর্মীকে বিয়ে করেন। ওই নারীর সঙ্গে কিছু দিন সংসার করলেও টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে কুষ্টিয়া পালিয়ে যান। এখানে আরেক নারীর সঙ্গে প্রতারণা করে বিয়ে করেন।

একই কৌশলে বগুড়ায় অবস্থান নিয়ে প্রতারণা করে আরেকটি বিয়ে করেন। তার অপকর্ম বুঝতে পারলে জীবন বাঁচাতে কৌশলে ঢাকায় পালিয়ে এসে রাজধানীর বনশ্রী ফেরদৌসী নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় লিপ্ত হয় পরে বিয়ে করে। সে মেটলাইফ ইন্সুরেন্স এ চাকরি করতেন।বিয়ের পরে ওই নারীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ মূহূর্তের গোপনে ভিডিও ধারণ করে সর্বস্ব হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে প্রবাসীর স্ত্রীকে জিম্মি করে স্বর্নালঙ্কারসহ টাকা পয়সা হাতিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে অবস্থান নেয়। ধানমন্ডির শাহনাজ নামের আরেক নারীর সঙ্গে থেরাপিতে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন পরিচয় দিয়ে তাকে বিয়ে করেন।
ওই নারী পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লেডিস হোস্টেলের দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।তার পুরো পরিবার এর সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। পরে তার সাথে কাটানো বিশেষ মূহুর্তের গোপনে ভিডিও ধারণ করে শুরু হয় ব্ল্যাকমেইল। সহজ সরল নারীদের ভিডিওর ভয় দেখিয়ে লুটে নেয় অর্জিত টাকা। সর্বশেষ প্রতারক মোস্তফা সাহানাজের সহযোগিতায় লাইফ লাইন ফিজিওথেরাপি পিএইচডি পরিচয় দিয়ে মিরপুর এক নারীর সঙ্গে পরিচয় হয়। প্রথমে প্রেম পরিণয় পরে শারীরিক সম্পর্ক করে ভিডিও ধারণ করে।
পরবর্তীতে ওই নারীর অনৈতিক ভিডিওর ভয় দেখিয়ে জিম্মি করেন। তবে মাদক ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত করে এবং রাজধানী বিভিন্ন থানায় গ্রেফতার হয়। অভিভাবক হিসাবে প্রতারক মোস্তফার বোন জামাই বিভিন্ন থানায় মুচলেকা দিয়ে মুক্ত করেন। মুক্ত হয়ে আবার পুরনো অপকর্মে জড়িয়ে পড়েন। প্রতারক মোস্তফার সকল অপকর্মের মদদ দিচ্ছে ফখরুদ্দিন আহমেদ। তিনি এখন মোস্তফার অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। রাজধানী ঢাকার সকল বাসা ভাড়া নিয়েছেন ফখরুদ্দিন আহমেদ এর মদদে।
তিনি তার অপকর্মের মদদ যোগাচ্ছে।ওই প্রতারক বিভিন্ন থানায় আলাদা আলাদা এনআইডি কার্ড দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন। বিভিন্ন থানার বিভিন্ন নামের এনআইডি গুলো প্রতিবেদকের হাতে রয়েছে যা সংযুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ যে ঘটনাটি ঘটিয়েছেন সেটি অনাকাঙ্ক্ষিত। পদুয়ার ফরিদুল আলম কে ৬২/৬৩ আমিনার্সপাল মিরপুর বড় বাগের বাসা থেকে অপহরণ করে দশ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। স্থানীয়দের সহায়তায় মুক্ত হয়ে ফরিদুল আলম আদালতে মামলা করেন যা পিবিআই তদন্ত করছেন। অপহরণ চক্রের মধ্যে ব্যাংক কর্মকর্তা অনুজ দাস ,সাইদুলসহ আরো ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী রয়েছে ।
জানা গেছে এ প্রতারক মোস্তফা সর্বমোট ডজন খানেক বিয়ে করে ওই নারীদের টাকা পয়সা হাতিয়ে নিয়ে ক্ষান্ত হননি। নারীদের সঙ্গে কাটানো বিশেষ মুহূর্তগুলো কৌশলে ভিডিও ধারণ করে পরবর্তীতে তাদেরকে জিম্মি করে রেখেছেন। ওই নারীদের কাছ থেকে এখনও ভিডিও ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। মান সম্মানের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে নির্বিঘ্নে তার অপকর্ম চালিয়ে আসছে।
এসব অনিয়মের বিষয় ফেরদৌসী আক্তার গণমাধ্যমকে বলেন , এ প্রতারক লাইফ লাইন ফিজিও থেরাপিতে পিএইচডি পরিচয় দিয়ে একাধিক নারীর জীবন নষ্ট করেছেন। তবে এ কাজে সহযোগিতা করছেন ফখরুদ্দিন নামের এক ব্যক্তি। এদের কঠিন শাস্তির আওতায় আনা উচিত। আরেক ভুক্তভোগী নারী সাহানাজ পারভীন বলেন , আমি পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লেডিস হোস্টেলে চাকরি চলমান সব অর্থ এ প্রতারক নিয়েছে আবার বিয়ে করে একান্তে কাটানো মুহূর্তগুলো কৌশলে ভিডিও ধারণ করে ব্ল্যাকমেইল আবার বিভিন্ন সময় ভয় দেখিয়ে জিম্মি করে নিয়েছে অর্জিত টাকা পয়সা করেছেন নিঃস্ব । এর সঠিক বিচার করার কেউ নেই।
উল্লেখ্য যে ফিজিওথেরাপিতে পিএইচডি ভুয়া প্রমাণ হলে এখন বাইক চালক পেশায় জড়িত হয়েছেন। তবে শুধু বাইক চালক নয় বাইকের আড়ালে রয়েছে ভয়ংকর মাদক ও নারী সাপ্লাই। মাদক কেনাবেচায় রয়েছে ইয়াবা ও মরণ নেশা হিরোইন। সাম্প্রতিক মাদক ব্যবসায় বাধা দিলে স্থানীয়দের সঙ্গে ঘটে বিপত্তি।ওই ঘটনায় মারামারির অভিযোগে ডিএমপির কাফরুল থানায় একটি মামলা হয়েছে। এ মামলায় গ্রেপ্তার এড়াতে দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করছে এ প্রতারক।
এ প্রতারক কে মাদক ও নারী সাপ্লাইয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করছেন ফখরুদ্দিন আহমেদ। মিরপুরে বাসা ভাড়া নিতে গেলে ফখরুদ্দিন অভিভাবক হয়ে বাসাভাড়া নিয়ে দিতেন। ফখরুদ্দিনের বিষয় অধিকতর তদন্ত অব্যহত আছে প্রকাশ পাবে পরবর্তী সংখ্যায়।