নিজস্ব প্রতিবেদক : খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় হাইকোর্টের রিট পিটিশনমূলে ও আদেশে খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসনের দিকনির্দেশনায় ও তত্ত্বাবধানে, দীঘিনালা উপজেলা প্রশাসনের নেতৃত্বে অবৈধ ইটভাটা স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা ও বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার (১৩মার্চ) দীঘিনালা উপজেলার দুটি (ফোর বিএম ও কর্ণফুলী) ইটভাটায় অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মামুনুর রশিদ। এ সময় সংশ্লিষ্ট থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ জাকারিয়া,বনঅধিদপ্তরের দীঘিনালা রেঞ্জ কর্মকর্তা,দীঘিনালা ফায়ার সার্ভিস ইউনিট সংঙ্গীয় ফোর্সসহ উপস্থিত ছিলেন।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশন অনুযায়ী খাগড়াছড়ির সকল অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় দীঘিনালায় অবস্থিত দুটি ইট ভাটা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল,পুনরায় আবারও চালু করার সংবাদ পেয়ে আমরা আবারও আজকে অভিযান চালিয়ে স্থায়ী ভাবে বন্ধ ঘোষণ করি। যদিও ইতঃপূর্বেও স্থায়ী ভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হলেও সেই আইনটিকে অবমাননা করেন ইটভাটার মালিক পক্ষ।

এর আগে উপজেলার অবৈধ ইটভাটাগুলোকে একাধিকবার বন্ধ ও জরিমানার করলেও এবার তা স্থায়ীভাবে বন্ধ করার উদ্যোগ নেয় প্রশাসন।ভবিষ্যতে দীঘিনালাতে আর ইটভাটা চালু করতে দেওয়া হবে না বলে জানান তিনি।

হাইকোর্ট পার্বত্য অঞ্চলের তিন জেলার সকল অবৈধ ইটভাটা বন্ধের নির্দেশে প্রশাসন (ফোর বিএম – ব্রিকফিল্ড) টিও বন্ধ করে দিলে তখন প্রশাসনের চোখকে ফাঁকি দিয়ে মোহনা টিভির সাংবাদিক মোঃ আলমগীর হোসেন নিজের সাংবাদিকতার প্রভাব খাটিয়ে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করন !
উক্ত সংবাদ পেয়ে ঢাকা থেকে দৈনিক গণতদন্ত পত্রিকা থেকে পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল অবৈধ ইটভাটায় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন করতে গেলে মোহনা টিভির সাংবাদিক আলমগীর হোসেন ও খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এইস এম প্রফুল্লসাহ সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলমের যোগসাজশে তাদেরকে ছাত্রদল ও যুবদলের ছেলে পেলেদেরকে দিয়ে হামলা করে আইডি কার্ড ও পত্রিকা অফিসের এসারমেন্ট ছিনিয়ে নিয়ে পরে খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশ খবর দিয়ে তারা বিএনপির মিডিয়া সেল মেম্বার সেলের সদস্য বলে চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে পুলিশের কাছে সপোর্দ করে।
তখন ঐ সাংবাদিকরা আর আইডিকার্ড কিংবা এসামেন্ট দেখাতে পারেনি বলে ভুয়া আখ্যা দিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেন কোন পত্রিকার গণতদন্ত পত্রিকার অফিসে যোগাযোগ না করেই পুলিশ সাংবাদিক আঁত-আঁত করেই এই ঘটনা ঘটানোর অভিযোগ উঠেছে! যেই ইটভাটা হাইকোর্ট নিষিদ্ধ করেছেন উপজেলা প্রশাসন স্থায়ী ভাবে বন্ধ ঘোষণ করার পরে উক্ত ইটভাটায় চাঁদা দাবি করার আর অভিযোগ থাকে কি? তার পরেও চার সাংবাদিককে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানা পুলিশ আবার নাটকীয় ভাবে থানা পুলিশ ঐ সাংবাদিকদের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন! চোরের মাল আরেক চোর চোরি করলে সেই মাল ডাকাত লুট করলে চোর কি ডাকাতের বিরুদ্ধে মামলা দিতে পারেন? ঐ ইটভাটার বৈধতা দেখে মামলা রজু করার বিষয়ে খাগড়াছড়ি সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন ঐরকম ভাবে যাচাই-বাছাই করা হয়নি।
এই বিষয়ে সারা দেশে আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হলে মোহনা টিভির উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ আলমগীর হোসেন, খাগড়াছড়ি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক প্রফুল্ল ও সংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম এই ঘটনার দায় চাপান বিএনপির সাবেক এমপি ওদুদ ভূঁইয়ার উপরে !
গোপন সূত্রে জানা যায় যে প্রফুল্লের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বে হত্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে ১৯৯২ সালের, দিদারুল আলমের বিরুদ্ধে চেক জালিয়াতি মামলায় গ্রেফতার হওয়ারও অভিযোগ রয়েছে এছাড়াও প্রেসক্লাব নিয়েও এদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানান অভিযোগ।