সঙ্কটপ্রবণ অঞ্চলে ১৬ বছর ধরে নিরাপদ পানি সরবরাহ করে যাচ্ছে ‘প্রবাহ’

Uncategorized কর্পোরেট সংবাদ জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক   :  দেশজুড়ে আজ (২২ মার্চ) পালিত হচ্ছে বিশ্ব পানি দিবস। সুপেয় পানি সংরক্ষণ এবং নিরাপদ পানির গুরুত্ব সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নিয়ে দিবসটি পালিত হচ্ছে। একইসাথে, আর্সেনিক দূষণ ও নোনাপানি-কবলিত অঞ্চলে ধারাবাহিকভাবে নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন পানি সরবরাহ করার ক্ষেত্রে বেসরকারি খাতের উদ্যোগ ‘প্রবাহ’ এর ১৬তম বর্ষপূর্তি উদযাপন করছে। এ উপলক্ষে, সাতক্ষীরার আলিপুর ও গাবুরায় প্রবাহ উদ্যোগের অধীনে দু’টি নতুন পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের ২৫টি জেলায় এ উদ্যোগের অধীনে এ ধরনের প্ল্যান্টের সংখ্যা দাঁড়ালো ১২৬টি।


বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশের বেশকিছু অঞ্চলে শ্যালো টিউবওয়েলে আর্সেনিক দূষণ ব্যাপকমাত্রায় ছড়িয়ে পড়েছে। খাবার পানিতে আর্সেনিক ও নোনা পানির কারণে কয়েক লক্ষ মানুষ মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন এই পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলেছে; খরা ও সমুদ্র স্তর বৃদ্ধির কারণে স্বাদুপানির উৎসগুলোয় নোনাপানির অনুপ্রবেশ বাড়ছে। এই ভয়াবহ অবস্থা বাংলাদেশের জন্য বিশ্ব পানি দিবসের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।


বিজ্ঞাপন

সুবিধাবঞ্চিত কমিউনিটির মাঝে নিরাপদ পানির প্ল্যান্ট স্থাপন করার মাধ্যমে নিরাপদ পানির সঙ্কট সমাধান করতে এবং সুপেয় পানি প্রয়োজন এমন মানুষদের জন্য তা সহজলভ্য করতে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ‘প্রবাহ’। ২৫টি জেলায় ১২৬টি পানি শোধনাগার প্ল্যান্ট স্থাপন করার মাধ্যমে এ উদ্যোগটি জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় কাজ করছে এবং নিরাপদ ও সুপেয় পানি নিশ্চিতে প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলায় কমিউনিটিগুলোকে সহায়তা করছে। কুষ্টিয়া থেকে মানিকগঞ্জ, রাঙ্গামাটি থেকে সাতক্ষীরা, নিরাপদ ও সুপেয় পানির ক্ষেত্রে দীর্ঘমেয়াদী ও টেকসই সমাধান নিশ্চিত করার মাধ্যমে সঙ্কট মোকাবিলা করতে চায় ‘প্রবাহ’।


বিজ্ঞাপন

এ উপলক্ষে ‘প্রবাহ’র মুখপাত্র আহমেদ রায়হান আহসানউল্লাহ বলেন, “১৬তম বর্ষপূর্তিতে প্রবাহ দেশজুড়ে এর কার্যক্রম বিস্তৃত করার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট পানির সঙ্কট মোকাবিলা করতে চায়। নিরাপদ সুপেয় পানির দীর্ঘমেয়াদী সহজলভ্যতা নিশ্চিত করবে এমন একটি টেকসই মডেল সমাধান নিয়ে আসার জন্য কাজ করছি আমরা।”

‘প্রবাহ’র কর্মপদ্ধতির মূল ভিত্তি হচ্ছে কমিউনিটি’র অংশগ্রহণ। শোধনাগার প্ল্যান্ট পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে যেন দীর্ঘমেয়াদী কার্যকারিতা নিশ্চিত করা যায়। এই উদ্যোগের প্রভাবকে টেকসই ও বিস্তৃত করতে সকল সুবিধাভোগী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের অব্যাহত সহায়তা প্রয়োজন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *