সরকারি অফিস ভবন নির্মাণে অনিয়মসহ একাধিক অভিযোগে মাদারীপুরের গণপূর্ত অফিসে দুদকের অভিযান

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

!!  গণপূর্ত ও দুদকের অভিযান সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত ব্যয়ে মাদারীপুর সরকারি সমন্বিত ১০তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পায় দুদক। এ ছাড়া মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল নির্মাণ ও মালামাল ক্রয়ে ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে গণপূর্ত অধিদপ্তর মাদারীপুর কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে বার্ষিক মেরামত না করে অতিরিক্ত বিল তোলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এমনকি গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মরত ব্যক্তিরা নিজেদের ঘনিষ্ঠজনদের নামে লাইসেন্স ব্যবহার করে এই দপ্তরের কাজ বাস্তবায়ন করে বিল তোলেন। এই অনিয়মের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম খান, তৎকালীন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহরিয়ার হোসেন (বর্তমানে মাদারীপুরে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে)। বিশেষ সুবিধা দিতে ঠিকাদারদের সাথে জোগসাজশে কোটি কোটি ঘুষ গ্রহণ করেছেন ওই দুই কর্মকর্তা। এছাড়া এই কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট কাজের নথিও জব্দ করা হয়েছে। যাছাইবাছাই শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। পরবর্তীতে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে !!


বিজ্ঞাপন

মাদারীপুরের গণপূর্ত অফিসে দুর্নীতি বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছেন  দুদক  কর্মকর্তারা।


বিজ্ঞাপন

নিজস্ব প্রতিনিধি (মাদারীপুর) : মাদারীপুরে সমন্বিত সরকারি অফিস ভবন নির্মাণে অনিয়মসহ একাধিক অভিযোগে গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাদারীপুর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকালে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামানের নেতৃত্বে এ অভিযান চালানো হয়।


বিজ্ঞাপন

গণপূর্ত ও দুদকের অভিযান সূত্রে জানা গেছে, অতিরিক্ত ব্যয়ে মাদারীপুর সরকারি সমন্বিত ১০তলা ভবন নির্মাণের অভিযোগ পায় দুদক। এ ছাড়া মাদারীপুর ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল নির্মাণ ও মালামাল ক্রয়ে ব্যাপক অভিযোগ ওঠে। প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে গণপূর্ত অধিদপ্তর মাদারীপুর কার্যালয়ে এ অভিযান চালানো হয়। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি সরকারি ভবনে বার্ষিক মেরামত না করে অতিরিক্ত বিল তোলেন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন। এমনকি গণপূর্ত অধিদপ্তরের কর্মরত ব্যক্তিরা নিজেদের ঘনিষ্ঠজনদের নামে লাইসেন্স ব্যবহার করে এই দপ্তরের কাজ বাস্তবায়ন করে বিল তোলেন।

এই অনিয়মের সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামরুল ইসলাম খান, তৎকালীন উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী শাহরিয়ার হোসেন (বর্তমানে মাদারীপুরে নির্বাহী প্রকৌশলীর দায়িত্বে)। বিশেষ সুবিধা দিতে ঠিকাদারদের সাথে জোগসাজশে কোটি কোটি ঘুষ গ্রহণ করেছেন ওই দুই কর্মকর্তা। এছাড়া এই কার্যালয় থেকে সংশ্লিষ্ট কাজের নথিও জব্দ করা হয়েছে। যাছাইবাছাই শেষে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে প্রতিবেদন পাঠানো হবে। পরবর্তীতে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

দুদকের মাদারীপুর কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আক্তারুজ্জামান গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, গণপূর্ত অধিদফতরে একাধিক অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়। অভিযানে মাদারীপুর দুদকের অফিসের ৭ সদস্যের টিম কাজ করে। এসব অভিযোগ যাছাইবাছাই করা হচ্ছে। তথ্য প্রমান সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।

গণপূর্তের মাদারীপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহরিয়ার হোসেন গণমাধ্যম কে বলেন, সমন্বিত ১০তলা ভবন নির্মাণে কোনো অনিয়ম বা দুর্নীতির সুযোগ নেই। দুদক কর্মকর্তারা তাঁদের নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে আমাদের অফিসেও অভিযান চালিয়েছেন। তারা যেসব নথিপত্র চেয়েছেন, আমরা সবকিছুই সরবরাহ করেছি। আশা করছি, দুদক তথ্য যাচাই-বাছাই করলে বিষয়টি বুঝতে পারবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *