পদবঞ্চিত রোকেয়া সরকার এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। একেরপর এক বিতর্কিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে বিএনপি’র ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে নানা কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করছেন। এবং সদ্য ঘোষিত বনানী থানা মহিলা দলের কমিটির নেতাকর্মীদের নিয়ে নানান ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে করছেন মিথ্যা অপপ্রচার।
সম্প্রতি স্থানীয় সাংবাদিক হাবিব সরকার স্বাধীন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক মহিলা যুবলীগ নেতা রেশমাকে পুনর্বাসন করছেন কেন জিজ্ঞেস করলে রোকেয়া সরকার ক্ষিপ্ত হয়ে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন। এছাড়া ওই সাংবাদিকের নামে কোর্টে গিয়ে মিথ্যা মানহানির মামলা দিবেন বলে হুমকি দিয়ে আবার অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোকেয়া সরকার একজন স্বার্থলোভী। অতিরিক্ত কথা বলেন। আর বেশি বুঝেন। আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন করার বিষয়টি সবার জানা। আসলে এর পেছনের রহস্য হলো কড়াইল বস্তিতে চাঁদাবাজি ও অবৈধ ব্যবসার দখল নেওয়া। রোকেয়া সরকারের স্বামী বনানী থানা যুবদলের সাবেক সভাপতি শাহজাহান সরকার। তার বিরুদ্ধেও অভিযোগের শেষ নেই। কিছুদিন আগে শাহজাহান সরকারের বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে পদবঞ্চিত হয়ে তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন নিয়ে মহিলা দলের কর্মীর উপর আক্রমণের অভিযোগ রয়েছে রোকেয়া সরকারের বিরুদ্ধে। উক্ত অভিযোগের ভিত্তিতে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল ঢাকা মহানগর উত্তর থেকে তাকে নোটিশ প্রেরণ করা হয়।
আহ্বায়ক নায়াব ইউসুফ ও সদস্য সচিব রুনা লায়লা রুনা স্বাক্ষরিত ওই নোটিশে দলের নীতি আদর্শ পরিপন্থি কর্মকাণ্ডসহ দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্য রাখার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সাপেক্ষে অভিযোগ এবং তৃতীয় লিঙ্গের লোকজন নিয়ে দলের মহিলা কর্মীর উপর আক্রমণের অভিযোগে রোকেয়া সরকারকে যথাযথ কারণ দর্শাতে বলা হয়।