নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে দুই বিচারপতিকে শপথবাক্য পড়ান।

দুই বিচারপতি হলেন বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব। এই দুই বিচারপতির শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে আপিল বিভাগে এখন বিচারপতির সংখ্যা দাঁড়াল সাত।

শপথ অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা। এ সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রির কর্মকর্তা ও আমন্ত্রিত অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন সংবিধানের ৯৫(১) অনুচ্ছেদের ক্ষমতাবলে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুবকে আপিল বিভাগের বিচারপতি পদে নিয়োগ দেন। গতকাল সোমবার এই নিয়োগসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে আইন মন্ত্রণালয়। এই নিয়োগ শপথ গ্রহণের তারিখ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়। ফলে আজ শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে দুই বিচারপতির নিয়োগ কার্যকর হলো।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ গত বছরের ১২ আগস্ট, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে প্রদত্ত তাঁর অভিষেক বক্তব্যে (felicitation address) এবং গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ইনার কোর্ট ইয়ার্ডে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগের বিচারপতিবৃন্দ ও ডিস্ট্রিক্ট জুডিসিয়ারির বিচারকগণের সম্মুখে বিচার বিভাগ সংস্কারের যে রোডম্যাপ ( Roadmap) ঘোষণা করেছিলেন তাতে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে উন্নত দেশসমূহের ন্যায় সুনির্দিষ্ট আইন প্রণয়ন এর বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছিলো।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রধান বিচারপতির উদ্যোগে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট কর্তৃক প্রতিবেশী দেশসমূহসহ বিশ্বের উন্নত দেশগুলোতে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগে যে সকল প্রক্রিয়া অনুসৃত হয় তা গভীরভাবে বিশ্লেষণপূর্বক এ সংক্রান্ত একটি অধ্যাদেশ এর খসড়া প্রস্তুত করে উক্ত খসড়া সম্পর্কে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উভয় বিভাগে কর্মরত বিচারপতিবৃন্দের মতামত গ্রহণের জন্য গত বছরের ১৪ নভেম্বর, খসড়াটি বিচারপতিদের নিকট প্রেরণ করা হয়। তৎপ্রেক্ষিতে বিচারপতিদের নিকট হতে উচ্চ আদালতের বিচারক নিয়োগ সংক্রান্ত মোট ১৫ টি মতামত পাওয়া যায়।
প্রাপ্ত মতামতসমূহ নিরীক্ষাপূর্বক সুপ্রীম কোর্টের সুপারিশটি বিগত ২৮ নভেম্বর ২০২৪ খ্রি. তারিখে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ১৬ জানুয়ারী, বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে ‘সুপ্রীম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্তভাবে অনুমোদিত হয় এবং একই বছরের ২১ জানুয়ারী, এ সংক্রান্ত গেজেট জারি হয়।
তারই ধারাবাহিকতায় সুপ্রীম জুডিসিয়াল এপোয়েন্টমেন কাউন্সিল এর সুপারিশ অনুযায়ী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ- ৯৫ এর দফা(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট, হাইকোর্ট বিভাগ-এর বিচারক বিচারপতি এ,কে, এম, আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি ফারাহ মাহবুব কে আপীল বিভাগ-এর বিচারক পদে গতকাল ২৪ মার্চ, নিয়োগদান করেছেন।