বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সাধারন সম্পাদক-সাংগঠনিক সম্পাদক একে অপরের সাথে দ্বন্দ্ব !

Uncategorized জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী রাজনীতি সংগঠন সংবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক  : বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক দল। সংগঠন একটি হলেও সভাপতি, সাধারন সম্পাদক‌ ও সাংগঠনিক সম্পাদক প্রোগ্রাম করেন আলাদা আলাদা। দ্বন্দ্বের কারণে একজনের প্রোগ্রামে দেখা যায় না আরেক জনকে। একটি সংগঠন কোনো আয়োজন করলে সেখানে সেই সংগঠনের সব নেতা কর্মীরা উপস্থিত থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এমনটি দেখা যায় না বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে।
এই কমিটির মূল তিনজন নেতা আলাদা আলাদা ভাবে আয়োজন করেন। একজন থাকেনা আরেকজনের আয়োজনে। শুধুমাত্র দলীয় আয়োজন বা কর্মসূচিতে তাদের একসঙ্গে দেখা যায়। এছাড়া এলাকায় তারা আলাদা আলাদা কর্মসূচি করেন, মিটিং মিছিল করেন। সে কারনে যে কারোরই চোখে ধরা দেয় তাদের দ্বন্দ্বের বিষয়টি। তাদের পরষ্পরের আচরণ দেখলে অনেকেই মনে করতে পারেন তারা তিনজন যেন তিন দলের। বা একে অপরের প্রতিদ্বন্দ্বী। তাদের এই দ্বন্দ্বে অনেক কর্মীর মাঝেই ক্ষোভ বিরাজ করে।
বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সেলিম সরকার জানান, যখন মূল দলের কোনো কর্মসূচি থাকে তখন সভাপতি, সাধারন সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদক আলাদা আলাদা ভাবে লোকজন জড়ো করেন। কে বেশি লোক দেখাতে পারেন তাদের মধ্যে যেন এমন প্রতিযোগিতা চলে। তাদের রোষানলে আমরা পরি বিপাকে! কার সাথে গেলে কার মন খারাপ হবে। এখন কার মন রক্ষা করব!
জানা গেছে, বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি-সাধারন সম্পাদকের কার্যালয় একসাথে আবার সাংগঠনিক সম্পাদকের কার্যালয় আলাদা। সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের কার্যালয় মহাখালী টিবি গেইটে। এবং সাংগঠনিক সম্পাদকের কার্যালয় আমতলীতে। যেটি আগে ছিল বনানী থানা যুবলীগের কার্যালয়। ৫ আগষ্টের পর বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু দখলে নেন। আগে বনানী থানা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউসুফ সরদার যা করতেন যেভাবে চলতেন এখন মিশু ঠিক তাই তাই করছেন ও সেভাবে চলছেন বলে স্থানীয়রা জানান।
সোমবার (২৪ মার্চ) বিকেলে দেখা যায়, সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু তার কার্যালয়ের সামনে বনানী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের ব্যানারে ইফতার বিতরণের আয়োজন করেন। সেখানে ছিলেন না কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
এর দুইদিন আগে সাধারণ সম্পাদক চাঁন মিয়া সরদার তার কার্যালয়ের সামনে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেন। সেখানে স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সব নেতাকর্মীদের দেখা গেলেও ছিলেন না সাংগঠনিক সম্পাদক মেহেদী হাসান মিশু। অনেকেই বলেন মিশুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
এর আগে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুবার্ষিকীতে বনানী কবরস্থানে মেহেদী হাসান মিশু তার লোকজন নিয়ে দোয়া করতে যান এখানে ছিলেন না সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। তাদের কর্মসূচি ছিল আলাদা আলাদা। তাদের দেখা যায় আলাদা আলাদা ভাবে যেতে।
এদিকে বনানীর স্বেচ্ছাসেবক দলের তরুণ কর্মীরা বর্তমান কমিটিকে বুড়োদের কমিটি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এই কমিটিতে দীর্ঘ বছর ধরে একই নেতৃবৃন্দ আছে। এটিকে ভেঙে নতুন কমিটি দেওয়ার দাবি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *