দি মেট্রোপলিটন খ্রিস্টান কো-অপারেটিভ হাউজিং সোসাইটির অফিসে সাবেক আওয়ামীলীগের প্রেতাত্মা চিহ্নিত স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এর ম্যুরাল উন্মোচন করছেন তারই আস্থাভাজন আগষ্টিন পিউরিফিকেশন।

নিজস্ব প্রতিবেদক : পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের দোসরদের পলায়নের পর, গণহত্যার অভিযোগে কয়েক’শ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতা বিদেশে পালিয়ে গেছে। যারা দেশে ছিল তাদের আটক করে সরকার আইনের আওতায় নিয়েছেন।

তবে ব্যতিক্রম দেখা যাচ্ছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কসাই খ্যাত আসাদুজ্জামান খান কামালের ঘনিষ্ঠ সহোচর এবং ডোনার আগষ্টিন পিউরিফিকেশন, নির্মল রোজারিও, বাবু মার্কুইস গমেজ, পঙ্কজ গিলবার্ট কস্তা ও হেমন্ত কোড়াইয়ার ক্ষেত্রে।

শেখ হাসিনা ও কসাই আসাদুজ্জামান খান কামালের সাথে একাধিক হত্যা মামলার আসামি হচ্ছেন ফিফ্থ ক্রিমিনাল খ্যাত আগষ্টিন পিউরিফিকেশন, নির্মল রোজারিও, বাবু মার্কুইস গমেজ, পঙ্কজ গিলবার্ট কস্তা ও হেমন্ত কোড়াইয়া। হত্যা মামলার আসামি হওয়া সত্ত্বেও উক্ত ফিফ্থ ক্রিমিনাল প্রকাশ্য দিবালোকে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এখানে শেষ নয়, উক্ত ফিফ্থ ক্রিমিনাল মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতীয় পর্যায়ের সমবায় সমিতি দি কোঅপারেটিভ ক্রেডিট ইউনিয়ন লীগ অব বাংলাদেশ (কালব) অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে।

হত্যা মামলার আসামি ফিফ্থ ক্রিমিনাল অবৈধ টাকার জোরে এবং এসবি ইন্সপেক্টর নাজমুল হকের সহায়তায় কালব এর মুসলিম নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। তাদের এলাকা ছাড়া করেছেন। যাতে কালবে তাদের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে না পারে।
এদিকে হত্যা মামলার আসামি ফিফ্থ ক্রিমিনাল গ্রেফতার না হওয়ায় রহস্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশে খ্রিষ্টানদের প্রধান ধর্ম গুরু স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছেন, যাতে “রাজনৈতিক মামলায়” খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের কাউকে হয়রানি করা না হয়। খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই পত্রের সুবাদে হত্যা মামলার আসামি ফিফ্থ ক্রিমিনাল গ্রেফতার হবার পরিবর্তে সমবায়ে দখলদারিত্ব বজায় রাখার সাথে নিরীহ মুসলিম সমবায়ীদের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। ধর্ম গুরুর চিঠি নিয়ে খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
তাদের বক্তব্য হচ্ছে, সাধারণ খ্রিষ্টানদের সাথে এক লাইনে না দেখে হত্যা মামলার আসামি ফিফ্থ ক্রিমিনাল কে গ্রেফতার করা হোক। আওয়ামী ফ্যাসিস্ট এই ফিফ্থ ক্রিমিনালের অপরাধের দায় খ্রিষ্টান সম্প্রদায় নেবে না।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পতনের পর বড় দিন উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সাথে সৌজন্য সাক্ষাতে ধর্ম গুরুর সাথে এই ফিফ্থ ক্রিমিনাল যাওয়ার পর, বাংলাদেশ খ্রীষ্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি আলবার্ট পি কস্তা লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন। তিনি এই ফিফ্থ ক্রিমিনাল কে আইনের আওতায় আনার আহ্বানও জানিয়েছেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে উষ্কানিদাতা ও অর্থায়নকারি এবং বর্তমানে দেশে সরকার বিরোধী কার্যক্রমে লিপ্ত; আওয়ামী ফ্যাসিস্ট ফিফ্থ ক্রিমিনাল কে অপরাধী বিবেচনা করে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সচেতন খ্রিষ্টান সমাজ ও সমবায়ীগণ।