অবৈধ ও অনৈতিক সুবিধা দিয়ে চাকরিতে বহাল রয়েছেন জুয়া মাদকাসক্ত সওজ প্রকৌশলী জাহিদ

Uncategorized অনিয়ম-দুর্নীতি অপরাধ আইন ও আদালত জাতীয় ঢাকা বিশেষ প্রতিবেদন রাজধানী

নিজস্ব প্রতিবেদক  : “একটু আধটু জুয়া খেললে, মাদক সেবন করলে কি হয়, জনগণের টাকাই তো উড়াই, কিসের তদন্ত? টাকা দিলে সব খালাস ” এমন বলি উড়িয়ে বেড়াচ্ছেন সওজের এক লাগামহীন প্রকৌশলী। তিনি সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নরসিংদী সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম (উজ্জ্বল খান)।


বিজ্ঞাপন

তার বিরুদ্ধে বেপরোয়া উশৃংখল জীবন যাপন, অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ-বাণিজ্যের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত শতকোটি টাকার সম্পদ অর্জনসহ জুয়া, মাদক সেবন ও ব্যবসা করার সুনির্দিষ্ট লিখিত অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও সদা নিশ্চুপ সওজ কর্তৃপক্ষ।


বিজ্ঞাপন

অভিযোগ আছে সওজ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির নেতৃত্ব পর্যায়ের সাথে আতাত করেই টিকে আছেন স্বপদে। তাদের কেউ কেউ জাহিদের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার সঙ্গী।


বিজ্ঞাপন

সওজ ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির শীর্ষ নেতারা প্রতিরাতেই উজ্জলের নারী-জুয়া,মাদক আখড়ার খদ্দের। যাদের অনেকের বিষয়ে তথ্য প্রমান এসেছে এনবিবির কাছে।

অনুসন্ধানে জানাযায়, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) নরসিংদী সড়ক বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম (উজ্জ্বল খান) এর নামে সওজ কতৃপক্ষ ও দুদকে অনিয়ম-দুর্নীতি, ঘুষ-বাণিজ্যের মাধ্যমে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত শতকোটি টাকার সম্পদ অর্জনের স্পষ্ট অভিযোগ হওয়ার পরেও কোনো ধরনের প্রতিকার মেলেনি দুই বছরেও।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানাযায়, সওজ ও দুদকের কিছু অসাধু কর্মকর্তা দের মোটা অংকের উৎকোচ দিয়ে অভিযোগ দামাচাপা দিয়েছে প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম (উজ্জ্বল খান)। যার কারনে সওজে লিখিত অভিযোগ (ছবি সংযুক্ত) যাওয়ার পরেও গত দুই বছরেও কোন তদন্ত কমিটি তো দুরের কথা তার বিরুদ্ধে কোন নোটিশও করা হয়নি।

প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম (উজ্জ্বল খান) প্রায়ই দিনশেষে মাদক সেবন এবং জুয়ার আসরে বসেন রাজধানীর পল্টনস্থ একটি আবাসিক হোটেলে (এমএল টাওয়ার)। মদ-ফেনসিডিলি ও ইয়াবা সেবনর কিছু তথ্য চিত্র এসেছে অনুসন্ধানী টীমের হাতে।

অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে অর্জিত অবৈধ আয়ের টাকায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় প্লট, ফ্ল্যাট এবং বিলাসবহুল গাড়িও কিনেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে, এছাড়াও ঘুষ-দুর্নীতি ও কমিশন মাদক বিক্রির টাকায় রাজধানীর ফার্মগেটে কোটি টাকার ফ্ল্যাট ক্রয় করেছেন বলে জানাযায়।

উপ-সহকারী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম অবৈধ উপার্জিত অর্থে রাজধানীর আফতাবনগরে সাড়ে ৭ কাঠা জায়গার উপর চলছে বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ (ঠিকানা: প্লট-১১, ১৩, ১৫, রোড-০৫, সেক্টর-০২, ব্লক-এল) (যার মোট মালিক ১৮ জন)।

কিনেছেন টয়োটা প্রিমিও সুপারিওর ব্র্যান্ডের একটি বিলাসবহুল গাড়ি যার বর্তমান বাজারমূল্য ২২ লাখ ৭০ হাজার টাকা। টীমের কাছে গাড়ির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জাহিদুল ইসলামের গাড়িচালক। জাহিদুল ইসলামের সিন্ডিকেটের সাথে এমএল টাওয়ার আবাসিক হোটেলসহ রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সওজ প্রকৌশলীদের নিয়ে মাদক সেবন করেন বলে জানা গেছে।

গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জাহিদুল ইসলামের বাবা মো. লুৎফর রহমান খান একসময় কৃষি কাজ করতেন। ছেলে জাহিদুল ইসলাম সওজে যোগদানের পর থেকে গত ১০ বছরে তাদের সম্পদের পরিমাণ বেড়েছে বহুগুণ।

গত ১৪/১২- ২০১৩ই তারিখে সওজ প্রকৌশলী জাহিদ হোসেন উজ্জ্বলের দুর্নীতি অনিয়মের বিরুদ্ধে সড়কের প্রধান প্রকৌশলী বরাবর জনৈক জুয়েল খন্দকার নামক একজন লিখিত অভিযোগ করেন ছবি সংযুক্ত। ডিপ্লোমা প্রকৌশলী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের চাপে তদন্ত আটকে দেন প্রধান প্রকৌশলীর আস্থাভাজন সওজ এডমিন।

সরকারি কর্মচারি হয়ে সওজ প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম ওরফে উজ্জল খান-এর এহেন কাণ্ডে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে মনে করছেন সচেতন মহল। উচ্চশিক্ষিত প্রকৌশলীদের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর যেনো জাহিদ সিন্ডিকেটে দিন দিন নোংরা হয়ে যাচ্ছে। যারাই সিন্ডিকেটে যোগ দিচ্ছে তাদের অনেকেরই নামসহ অপকর্মের তথ্য প্রমাণ আসা শুরু করেছে এনবিবির কাছে।

তার এসব অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিষয়ে গত ০১ অক্টোবর ২০২৩ ইং তারিখে দুদক চেয়ারম্যান, প্রধান কার্যালয়, ঢাকা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন একজন ভুক্তভোগী। অভিযোগটি ঐ দপ্তরের কিছু অসাধু কর্মকর্তা/কর্মচারির সহায়তায় গায়েবের পায়তারা চালাচ্ছে বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানাযায়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *