ডেস্ক রিপোর্ট : বিশ্বজুড়ে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। এই সঙ্কটের সামনে অনেকটাই যেন কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন বিশ্বের বড় মাপের জনপ্রিয় নেতারা।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের বছরে অর্থনৈতিক সাফল্য তুলে ধরে সাফল্যের আশায় ছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই করোনা সংকট হালকা করে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বিশ্বে সবচেয়ে বেশি করোনায় আক্রান্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ। সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪ হাজারেরও বেশি। ফলে এখন চাপের মুখে কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন তিনি। তবে বৈজ্ঞানিক ও বিশেষজ্ঞদের অবজ্ঞা করে ইস্টার সানডের আগেই পরিস্থিতি ‘স্বাভাবিক’ করে তুলতে চান ট্রাম্প। যা নিয়ে দেশজুড়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
সবে ব্রেক্সিট কার্যকর করে নিজের জনপ্রিয়তা উপভোগ করছিলেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী রিস জনসন। কিন্তু করোনা সংকট তার ঘুম কেড়ে নিয়েছে। তাই প্রথমদিকে পরস্পরবিরোধী ও বিভ্রান্তিকর অবস্থান নেবার পর জনসনও কড়া পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হচ্ছেন। কেননা ব্রিটেনের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অবকাঠামো পরিস্থিতি সামলাতে না পারলে জনসনের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়তে পারে।
এদিকে তিনি নিজেও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ অবস্থায় আইসোলেসনে থেকেই রাজকাজ সমলানোর ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
ভারতে করোনা সংকট এখনও মারাত্মক আকার ধারণ করেনি। কিন্তু সরকারের অনেক ‘লোক দেখানো’পদক্ষেপের সমালোচনা হচ্ছে সমানে। তাদের মতে, লকডাউন ঘোষণা ও জনমোহিনী ভাষণ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী সংক্রমণ কমাতে যথেষ্ট কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাদের আশঙ্কা, যথেষ্ট সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা ও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামোর অভাব ভারতকে সংকটে ফেলে দিতে পারে।
বিশ্বের অন্যান্য জনপ্রিয় বিশ্বনেতার মতো ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারো করোনা সংকট যতটা সম্ভব উপেক্ষা করে চলার চেষ্টা করছেন। তিনি বিষয়টিকে নিয়ে ‘অকারণ ত্রাস’ সৃষ্টির সমালোচনা করে থাকেন। এমনকি অবিলম্বে দেশে সব বাধানিষেধ তুলে নেবারও ডাক দিচ্ছেন তিনি। বয়স্কদের ভিত্তিহীন আশ্বাস দিয়ে বলছেন, ভয়ের কোনো কারণ নেই। এদিকে, দেশের বহু মানুসের অনেকের সন্দেহ, প্রেসিডেন্ট নিজে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতাদের ‘সীমন্তহীনতার ধর্ম’-কে বর্তমান পরিস্থিতির জন্য দায়ী করেছেন ফ্রান্সের জাতীয় ফ্রন্ট নেত্রী মারিন ল্য পেন। তার মতে, যে কোনো পরিস্থিতিতেই সীমান্ত মানুষকে সুরক্ষা দেয়। যদিও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সীমান্ত বন্ধ রাখার কোনও পরামর্শ দেননি। তবে ল্য পেনের অনুগামীরা সেই খবর রাখেন কিনা, সে বিষয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে।