নিজস্ব প্রতিবেদক : আজ শনিবার ২৯ মার্চ, দেশবাসী ও মুসলিম উম্মাহকে পবিত্র ঈদ-উল-ফিতরের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের আমীর মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ ও মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের। আজ প্রদত্ত এক যৌথ ঈদ শুছেচ্ছা বাণীতে নেতৃদ্বয় বলেন, ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জন্য পরম আনন্দের দিন, জাতীয় সাংস্কৃতিক চেতনার প্রধান দিন। দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা ও ইবাদত বন্দেগীর মাধ্যমে অতিবাহিত করার পর এ দিনটি আমাদের জন্য খুশির বার্তা নিয়ে আসে।

ঈদুল ফিতর আমাদের রুচিশীল ও মননশীল সংস্কৃতির শিক্ষা দেয়। ঈদুল ফিতর মুসলমানদের জীবনে শুধুমাত্র আনন্দ উৎসবই নয় বরং এটি একটি মহান ইবাদত। যার মাধ্যমে মুসলিম উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রেরণা পায়। ধনী-গরীব, সাদা-কালো, ছোট-বড় সব ভেদাভেদ ভুলে যায়। এদিন ঈদ জামায়াতে শামিল হয়ে মহান আল্লাহর প্রতি শুকরিয়ায় নুয়ে পড়ে। তাই ঈদের দিন প্রয়োজন মহান আল্লাহর কাছে আমাদের নিজেদের এবং মৃত ব্যক্তিদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা। সাথে সাথে অসুস্থ ও অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘবের চেষ্টা করা। ঈদের দিন হোক নির্মল আনন্দের দিন।

শুভেচ্ছা বাণীতে খেলাফত মজলিস নেতৃদ্বয় আরো বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে ফ্যাসিস্ট শাসনে নিষ্পেষণের পর জনগণ এবার প্রথম নির্ভীক চিত্তে ঈদ আনন্দ উদযাপন করতে যাচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ ও জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের মাগফিরাত কামনা করছি। ফ্যাসিস্ট অপশক্তির নির্মম নির্যাতনের শিকার ব্যক্তি ও পরিবারগুলোতেও এবারে ঈদের নির্মল আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক কামনা করছি।

যে সমস্ত শিল্প-প্রতিষ্ঠানে শ্রমিকদের বেতন-ভাতা এখনো বকেয়া রেখেছে তা পরিশোধে মালিক পক্ষকে বাধ্য করতে সরকারের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করছি। সড়ক-মহাসড়কে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা ও দূর্ঘটনা রোধ এবং জনগণের জান ও মালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আরো তৎপর হবে বলে প্রত্যাশা করছি।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আজকে ইহুদীবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনের গাজার যে ন্যাক্কারজনক গণহত্যা চালাচ্ছে তা ইতিহাসে নজীরবিহীন। গাজায় ইসরাইলের এ নৃশংস গণহত্যা বন্ধে সবাইকে সোচ্চার হতে হবে। যুদ্ধ বন্ধ ও স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে জাতিসংঘ ও মুসলিম বিশ্বকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
আমাদের পার্শবর্তী দেশ মিয়ানমারের জান্তা সরকার কর্তৃক বিগত কয়েক বছর ধরে জাতিগত নিপীড়নের শিকার হয়ে লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা মুসলমান বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
এসব উদ্বাস্তু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে নাগরিক অধিকার দিয়ে আরাকানে ফেরত পাঠাতে বাংলাদেশ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে তার সাফল্য কামনা করছি। খেলাফত মজলিস নেতৃবৃন্দ ফিলিস্তিন, আরাকান-সহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের সকল নির্যাতিত মানুষের মুক্তি কামনা করেন।