করোনা চিকিৎসায় দেশে পর্যাপ্ত ‘ওষুধ’ রয়েছে

এইমাত্র স্বাস্থ্য

নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনার নিশ্চিত ওষুধ হিসেবে স্বীকৃত না হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রটোকল ট্রিটমেন্টে রয়েছে ম্যালেরিয়া জ্বরে প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং ক্লোরোকুইন। বাংলাদেশেও এই ওষুধ ক্ষেত্র বিশেষে ব্যবহৃত হচ্ছে এবং ওষুধের পর্যাপ্ত যোগান রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেন্ট্রাল মেডিসিন স্টোরস ডিপো এর পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শহীদুল্লাহ।
ব্রি.জে. শহীদুল্লাহ শনিবার সকালে বলেন, যেখানে করোনা আক্রান্ত রোগী রয়েছেন, সেখানে বিশেষ অবস্থায় এই ওষুধ ব্যবহার করা হচ্ছে। এটি যে করোনাভাইরাস কোভিড-১৯ এর প্রতিষেধক, বিষয়টি এমন নয়। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাভাইরাসে আক্রান্তদের যে চিকিৎসার যে প্রটোকল পাঠিয়েছে, সেখানে এই ওষুধ ব্যবহারের পরামর্শও দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে যেহেতু ওষুধটি পর্যাপ্ত রয়েছে, সেহেতু আমরা সেটি মজুদ করছি।
তিনি বলেন, যেখান থেকে ওষুধের চাহিদা পাঠানো হচ্ছে, সেখানে আমরা ওষুধ সরবরাহ করছি। বিশেষ ক্ষেত্রে বয়স্কদের জন্যই এটি বেশি ব্যবহার করা হয়। তবে সেটি শারীরিক অন্যান্য অবস্থার ওপরও নির্ভর করে। এটি খুব সাধারণ একটি ওষুধ।
ইতিমধ্যে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতাল এবং কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে এই হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন এবং ক্লোরোকুইন সরবরাহ করা হয়েছে। বেক্সিমকো, ইনসেপটা, পপুলারসহ আর যারা এই ওষুধ তৈরি করে, তাদেরকে আমরা সরবরাহ করতে বলেছি।
কানাডা এবং ইউরোপের কিছু দেশে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইন কার্যকরী ভূমিকা রাখছে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশেও করোনাভাইরাস চিকিৎসায় ম্যালেরিয়া জ্বরে ব্যবহৃত এই ওষুধগুলো কার্যকর বলে ইতিমধ্যেই জানিয়েছে বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের বিশেষজ্ঞরা। এক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ট্রিটমেন্ট গাইডলাইন প্রণয়ন করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিয়েছে সোসাইটি।
বাংলাদেশ সোসাইটি অব মেডিসিনের সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ বিল্লাল আলম জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশে করোনায় আক্রান্তদের চিকিৎসায় ম্যালেরিয়া জ্বরে ব্যবহৃত হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরোকুইনের সঙ্গে এজিথ্রোমাইসিন সাতদিন সেবন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
বর্তমানে দেশে ইনসেপ্টা, ডেল্টা, এসিআই, জেসন, রেডিয়েন্ট ও ডেল্টা ফার্মাসিউটিক্যালস ম্যালেরিয়া জ্বরের ওষুধ উৎপাদন করে। দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে চিকিৎসাসেবা যেন ব্যাহত না হয় সেজন্য এর বাইরে বেক্সিমকো, স্কয়ার, পপুলার ফার্মাসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এ দুটি ওষুধ উৎপাদন করছে।


বিজ্ঞাপন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *