শার্শার বাগআঁচড়ায় গৃহবধূ সুমাইয়ার রহস্যজনক মৃত্যু :  হত্যা না আত্মহত্যা ? 

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত খুলনা গ্রাম বাংলার খবর বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ

নিজস্ব প্রতিনিধি (শার্শা) : যশোরের শার্শার বাগআচড়ায় সুমাইয়া খাতুন (১৯) নামের এক গৃহবধূর অস্বাভাবিক মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে, ঘটনাটি ঘটেছে শার্শা উপজেলার ৮নং বাগআঁচড়া ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড বাগআঁচড়া গ্রামে। এ ঘটনার পর থেকে নিহত গৃহবধূ সুমাইয়ার স্বামী হাবিবুর রহমান পালাতক রয়েছে বলে জানা যায়।


বিজ্ঞাপন

অনুসন্ধানে জানা গেছে, যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার চাড়ালপোতার বড় খলসী গ্রামের ইবাদুল হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন। সুমাইয়ার সাথে তিন বছর আগে পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয় শার্শা উপজেলার ৮নং ওয়ার্ড বাগআঁচড়া গ্রামের বাবলু মিয়ার ছেলে হাবিবুরের সাথে। সুমাইয়া ও হাবিবুর দম্পতির ঘরে দুই বছরের একটি কন্যা সন্তান ও রয়েছে। কিন্তু হঠাৎ এই দম্পতির মাঝে কাল হয়ে দাঁড়ায় একটি অ্যান্ড্রায়েড স্মার্টফোন ও নেশার টাকা।


বিজ্ঞাপন

ঘটনার সূত্রপাত তারিখ ২৬ শে মার্চ রোজ বুধবার বিকালে স্মার্টফোন ব্যবহার করাকে কেন্দ্র করে সুমাইয়া ও হাবিবুর দম্পতির মধ্যে মনোমালিন্য সৃষ্টি হলে একপর্যায়ে স্বামী হাবিবুর স্ত্রী সুমাইয়া খাতুন কে বেধড়ক মারপিট করেন। ওই দিন সন্ধ্যা সাতটার দিকে সুমাইয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে দাবি নিহতের স্বামী হাবিবুরের পরিবারের। তবে নিহত সুমাইয়ার পরিবারের দাবি তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার পরে গলা টিপে হত্যা করা হয়েছে। পরে ওই দিন রাত ১১ টার দিকে সুমাইয়ার বাবার বাড়িতে তাদের মেয়ে অসুস্থ এই মর্মে মোবাইল ফোনে খবর পাঠালে তারা এসে সুমাইয়াকে মৃত অবস্থায় দেখতে পাই বলে সাংবাদিকদের জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্রে জানা গেছে, গৃহবধূ সুমাইয়ার মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে এবং যাতে থানায় মামলা না হয় তার জন্য মোটা অংকের টাকার লেনদেন করেছেন নিহত সুমাইয়ার স্বামী হাবিবুরের পরিবার। যে কারণে এত বড় নৃশংস মৃত্যুর ঘটনাটি চারদিন
অতিবাহিত হলেও এ নিয়ে কোন প্রতিবেদন প্রকাশ হয়নি।


বিজ্ঞাপন

নিহত সুমাইয়ার পিতা ইবাদুল ও খালু আক্তারুল ইসলাম সহ নিহতের মা, বোন ও তার প্রতিবেশী বলেন, সুমাইয়া র দুই বছরের বাচ্ছা রেখে সুমাইয়া আত্মহত্যা করেনি করতে পারে না। সুমাইয়া কে তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি মিলে হত্যা করেছে বলে জোর দাবি করেন। তাকে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। এসময় তারা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি ও জানিয়েছে।

অভিযুক্ত স্বামী হাবিবুরের পিতা বাবলু মিয়া বলেন, আমার ছেলে ও বৌমা সুমাইয়ার মধ্যে মোবাইল ফোন নিয়ে মনোমালিন্য হলে এক পর্যায়ে সুমাইয়া ঘরের দরজা বন্ধ করে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পরে ঘরের দরজা ভেঙে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।

এবিষয়ে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রবিউল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেম শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহতের দাফন ও সম্পন্ন হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পরবর্তী রিপোর্ট না আসা পযন্ত কিছুই বলা সম্ভব নয়। নিহতের বড় বোন বলেন আমার বোনাই নেশাখোর, পরক্রিয়া কারি আমরা জানতাম না। এই নিয়ে আমার বোন আমার সাথে একাধিক বার বলেছে যে ওরা আমাকে মেরে ফেলবে, আমার বোন রোজা ছিল সে আত্মহত্যা করেনি করতে পারেনা তাকে হত্যা করা হয়েছে আমি আমার বোনের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করে হত্যাকারীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করছি।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *