জব্দের এক সপ্তাহ পর পাটলাই নদীতে খনিজ বালি চুরিতে জড়িত ২৬ জনের নামে মামলা !

Uncategorized অপরাধ আইন ও আদালত গ্রাম বাংলার খবর জাতীয় প্রশাসনিক সংবাদ বিশেষ প্রতিবেদন সারাদেশ সিলেট

নিজস্ব প্রতিনিধি  (সিলেট) :  সীমান্ত নদী পাটলাই নদীর উৎস মুখ থেকে চুরি করা খনিজ বালি বোঝাই চার ট্রলার জব্দের এক সপ্তাহ পর ২৬ জনের নামে এক পুলিশ অফিসার বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন।


বিজ্ঞাপন

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ বাদী হয়ে বালি চুরিতে জড়িত ৪ জনের নামোল্ল্যেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি সহ ২৬ জনের নামে গেল ৩১ মার্চ থানায় ওই মামলাটি দায়ের করেন।


বিজ্ঞাপন

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার মিয়ারচর গ্রামের তাহের আলীর ছেলে শাহীনুর মিয়া,একই উপজেলার একই গ্রামের মৃত তোফাচাঁন মোল্লার ছেলে ইব্রাহিম,আব্দুর রহমানের ছেলে মন্তাজ আলী, গোলাপ মিয়ার ছেলে আল আমিন সহ অজ্ঞাতনামা ২২ জন।


বিজ্ঞাপন

মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, প্রতি দিবারাত্রীর ন্যায় গেল ২৫ মার্চ ভোররাতে বালি মহাল ইজারা বহি:র্ভুত সীমান্ত নদী জাদুকাটা-মাহারামের ত্রি মোহনায় থাকা সীমান্ত নদী পাটলাই নদীর উৎস মুখ থেকে নদীর পাড় (তীর কেটে) কয়েকটি সংঘবদ্ধ বালি খেকো চক্র ট্রলারে চুরি করে খনিজ বালি বোঝাই করছিলো।

এরপর স্থানীয় এলাকাবাসীর দেয়া তথ্যের ভিক্তিত্বে থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ সঙ্গীয় অফিসার্স ফোর্স’র সহযোগিতায় নানা টাল বাহানার পর ওই দিন সকাল সাড়ে ৭টায় খনিজ বালি বোঝাই চারটি ষ্টিল বডি ট্রলারসহ প্রায় ২০ লাখ টাকা জব্দ মুল্য দেখিয়ে জব্দ তালিকা করেন।

নদী তীরবর্তী মানুষজনের অভিযোগ, থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ নানা টাল বাহানার পর চুরি করা খনিজ বালি বোঝাই ট্রলার জব্দের পর ফের ফাঁক ফোকর খুঁজতে থাকেন মোটা অংকের ঘুস নিয়ে বালি বোঝাই ট্রলার গুলো মালিকদের ফিরিয়ে দিতে। এ কারনেই জব্দের এক সপ্তাহ পর উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নির্দেশে নিজে বাদী হয়ে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হন।

ইতিমধ্যে এসআই আবুল কালাম চৌধুরীর ঘুস দাবির অডিও কান্ড সহ নানা ঘুস দুর্নীতি , ইতপুর্বে হত্যা মামলা , বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়ের কৃত মামলায় এজাহারনামীয় আসামিদের নাম ঘুস বাণিজ্যেও মাধ্যমে অভিযোগ পত্র (চার্জশীট) থেকে বাদ দেয়ায় একাধিক অভিযোগের তদন্ত করছেন পুরিশ হেডকোয়াটার্স সহ জেলা পুলিশের দায়িত্বশীল অফিসার।

ভোক্তভোগী নদী তীরবর্তী জনপদের মানুষজন আরো জানান, মামলার অজ্ঞাতনামা আসামি থাকায় মামলার তদন্তকারি অফিসারকে ব্যবহার করে অতীতের ন্যায় মামলা, গ্রেফতার বাণিজ্যের ভয়ভীতি দেখিয়ে দু’হাতে টাকা কামানোর সুযোগ নেবেন বিতর্কিত এসআই আবুল কালাম চৌধুরী।

অভিযোগ অস্বীকার করে থানার বাদাঘাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রর ইনচার্জ এসআই আবুল কালাম চৌধুরী বলেন,কিছুটা জঠিলতা থাকায় মামলা দায়েরে বিলম্ভ হয়েছে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *