পাবনা প্রতিনিধি : পাবনার ভাঙ্গুড়ায় ধর্ষণ মামলায় উপজেলা ছাত্রলীগ কর্মী নাইম (২২) হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ । রবিবার (৬ এপ্রিল) ভোর রাতে উপজেলার পৌরসদরের সরদার পাড়া থেকে পুলিশ নাইমকে আটক করেছে । নাইম পৌর সদরের সরদার পাড়া মহল্লার মধু মোল্লার ছেলে ও উপজেলা ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী । এর আগে ভিক্টিম(সোনিয়া) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) আইনে আদালতে একটি এজাহার দায়ের করেন । আদালত এজাহার আমলে নিয়ে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশকে মামলা রজ্জু করার নির্দেশ দেন ।

মামলা সূত্রে জানা গেছে , মোঃ নাইম ও খানমরিচ ইউনিয়নের গোবিন্দ পুর গ্রামের সোনিয়ার সাথে প্রায় ৬ মাস আগে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। কিন্তু বিবাহের ৬ মাস যেতে না যেতেই পারিবারিক কলহের জেরে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়।

কিন্তু কিছুদিন পরেই নাইম আবার সোনিয়ার সাথে মোবাইলে প্রেম -ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং সোনিয়াকে বিবাহ করিবে মর্মে প্রতিশ্রুতি দেয়।

এমতাবস্থায় আসামী গত ২৫শে জানুয়ারী ভিক্টিম তার বাবার বাড়ীতে থাকা অবস্থায় বাদীনির বাবা মা বাড়ীতে না থাকার সুবাদে আসামী মোঃ নাইম (২২) বাদীনির থাকার ঘরে প্রবেশ করে বিকালের দিকে। বিবাহের প্রলোভনে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। বাদীনির চিৎকার চেঁচামেচি করলে ওই ছাত্রলীগ কর্মী দৌড়ে পালিয়া যায়।
এ ঘটনার পর বাদীনি কৌশুলীর মাধ্যমে আদালতে হাজির হয়ে আসামী নাইম এর বিরুদ্ধে এজাহার দায়ের করলে আদালত অফিসার ইনচার্জ ভাঙ্গুড়া থানা, পাবনাকে অত্র মামলা রুজু করার নির্দেশ দেন। তার পরিপ্রেক্ষিতে রবিবার ভোর রাতে আসামী মোঃ নাইম (২২)কে ভাঙ্গুড়া সরদারপাড়া থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসেন। প্রাথমিক তদন্তে উক্ত আসামী মামলার ঘটনায় জড়িত থাকার তথ্য প্রমাণ পাওযা যাচ্ছে মর্মে পুলিশের দাবী।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মোঃ শফিকুল ইসলাম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ (সংশোধিত ২০২০) আইনে আটককৃত আসামীকে আদাতলের মাধ্যমে জেলা হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে ।