নিজস্ব প্রতিবেদক : করোনা সংকটকালে সরকার ও আওয়ামী লীগ জনগণের পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি মানবিক বিপর্যয়ের এ সময়ে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে মানুষের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। সংবাদ সম্মেলনটি বিটিভিতে রেকর্ড করা হয় এবং ফেসবুক লাইভ করা হয়। এছাড়া লিখিত বক্তব্য গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে থমকে গেছে সব ধরনের স্বাভাবিক কার্যক্রম। তবে ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় মানবসভ্যতার অগ্রযাত্রা অবশ্যম্ভাবী। এই মানবিক বিপর্যয়ের মুখে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে আওয়ামী লীগের সচেতনতামূলক ও সামাজিক কর্মসূচি সারাদেশে চলমান রয়েছে। বিজ্ঞানসম্মত স্বাস্থ্যবিধি অনুযায়ী আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সারাদেশে সাধারণ মানুষের মাঝে করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী বিতরণ ও খেটে খাওয়া অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে।’
সারাদেশের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ যারা জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছেন, তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ এদেশের জনগণের সুখ-দুঃখ আবেগকে ধারণ করেই রাজনীতি করে। বৈশ্বিক এই সংকট মোকাবিলায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিকভাবে সব পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়ে যাচ্ছেন। গ্রহণ করছেন স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ও কর্মসূচি। যতদিন এই সংকট থাকবে শেখ হাসিনার সরকার ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা ততদিন জনগণের পাশে থাকবেন এবং সরকারের গৃহীত কার্যক্রম সারাদেশে অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সমাজের ধনী ও বিত্তবানদের আহ্বান জানাই— মানবিক বিপর্যয়ের এই দিনে আপনারা যার যার অবস্থান থেকে জনগণের পাশে দাঁড়ান সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।’
কাদের বলেন, অতীত ইতিহাস থেকে লক্ষ্য করা যায় এদেশের জনগণ সব সময় ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সব ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলা করেছে।
তিনি বলেন, কোনও দুর্যোগের কাছেই তারা পরাজিত হয়নি। আপনারা কোনও প্রকার গুজবে কান দেবেন না। মারাত্মক করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।ধৈর্য ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।