নিজস্ব প্রতিবেদক : ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতা নিজের ব্যক্তিগত উদ্যোগে নীরবে করোনার বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছেন অনেকদিন যাবৎ। কখনও সাধারণ খেটে খাওয়া বস্তিবাসীদের পাশে, আবার কখনও নৌকার মাঝি কিংবা কুলি মজুরের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন সামান্য কিছু খাবার নিয়ে। আবার কখনও নিজের কাঁধে করে জীবাণুনাশক স্প্রে ছিটিয়ে যাচ্ছেন রাস্তাঘাট, পাড়া-মহল্লা কিংবা বাড়ি-ঘর, থানাসহ দোকানপাটের স্প্রে ছিটিয়ে যাচ্ছেন। আবার তিনি সচেতনতার জন্য মানুষের মাঝে লিফলেট, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ইত্যাদি সামর্থের ভিতরে দেওয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছেন। শুধুমাত্র ব্যক্তিগত উদ্যোগে মানবিকতার জায়গা থেকে। মানুষ মানুষের জন্য। জীবন জীবনের জন্য। করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) একটি বৈশ্বিক সংকট। এই সংকটের সময় সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করে যাচ্ছেন অসহায় গরীব দুঃখী, রাস্তায় থাকা মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিতে। একজন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা হিসেবে তিনি যেভাবে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়িয়েছেন, হয়তো সমাজের বিত্তবানেরা যদি আরও এগিয়ে আসে কোনো মানুষ অনাহারে থাকবেনা। করোনাকে মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ। সরকারের পাশাপাশি সবার এগিয়ে আসতে হবে। তিনি সামাজিক সচেতনতার জন্যও সরোব উপস্থিতি থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। বিশ্বের প্রায় ১৯৯ টি দেশ কোভিড-১৯ এর কাছে হিমশিম খাচ্ছে। এই মহামারী থেকে বাঁচতে হলে হোম কোয়ারেন্টাইন, বারবার সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ধোঁরার কোনো বিকল্প নাই। সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। ক্ষুদ্র প্রয়াসে হলে এইচ এম মেহেদী হাসান যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা এ এক মানবিকতার উজ্জ্বল উদাহরণ। নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অন্যদের জীবনের সুরক্ষা দিতে কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে।